somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই রুমে চোথা পাওয়া যায় !!!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের ভার্সিটিতে অনেক ছেলে আছে যারা রাতে জেগে থাকে আর দিন এর বেলা ক্লাস টাইম এ ক্লাস এ বসে ঘুমায়।আমি তাদের থেকে ও খারাপ কারন আমি রাতে ও ঘুমাই আবার ক্লাস এ গিয়ে সবার আগে হাই তুলি।সারা দিন ঠিক কিন্ত ক্লাস এ গেলেই এই সমস্যা,পরে আমি অনেক চিন্তা করে বের করলাম স্যারদের লেকচার এর মাঝে কি এমন জিনিস আছে যা আমার এই হেন সমস্যার জন্য দায়ী। এক ক্লাস টেস্ট এর সময় আমার এক বন্ধুকে মাথা নিচু করে ঘুমাতে দেখে আমার মনের অজান্তে বলে ফেলি এত ঘুম ঘুমায় কিভাবে?এই ঘুম এর রহস্য খুজতে হলে আমাকে সেই আদি কাল এ যেতে হবে, যেদিন আমি হল এ উঠি নোটিশ বোর্ড এ তাকিয়া দেখিতে পাইলাম “... এই রুম এ চোথা পাওয়া যায় “ আমি ভাবলাম চোথা হয়ত কোন এক অশ্লীল শব্দের পরিমার্জিত রূপ,অনেক জ্ঞান খরচ করে যা জানিতে পারিলাম তাহা হইল এই খানে নাকি যাবতীয় ক্লাস নোট ই চোথা, অনেক ভাল একটা জিনিস শিখেছি তাই পুলুকিত হলাম, পরে এই চোথার মহিমা ও গুরুত্ব দেখে ভাবলাম এই খানে দেখি নিজের জীবন এর থেকেও এর দাম বেশী,যারা চোথা বানায় তারা মোটামুটি অন্য গ্রহের প্রাণী হিসাবে বিবেচিত হয়, আর যারা ওঁদের থেকে ওই গুলা ফটোকপি করে পরীক্ষার খাতায় উগলায় ওদের স্থান যে জাহান্নাম এর সর্ব নিম্ন স্তর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।আমি ওই নিম্ন স্তর এর প্রাণী, সারা কুয়েট লাইফ এ এতো ফটোকপি করছি তা দিয়া যদি একটা ফটোকপি মেশিন কিনে নিজে দোকান দিতাম তাইলে এত দিনে আমার একটা কনসট্রাকশন ফার্ম থাকতো, যদিও ১ম বর্ষে বাবা কে বলছিলাম “ বাবা আমাকে ধর্ম সাগর পাড় একটা দোকান দিয়া দাও তবু আমি কুয়েট পড়মু না, পরে নিজে নিজে ই চিন্তা করিয়া দেখলাম দোকানদার হইলে বিয়া করিতে ব্যাপক সমস্যা , আমাদের গ্রাম এর এক দোকানদার এর বিয়া তো দুর ওরে গ্রাম থাইকা বের করে দিসে, বের করার আগে এমন মাইর দিসে তা দেখে আমার এই খায়েশ ছাই চাপা দিলাম, ওই দোকানদার এর কি এমন অপরাধ??? তার দোকানটা ছিল গাঁজার দোকান, এই কারনে মারবে? আমার মন তা মানতে পারে নি।কি আর করা সারা দিন শুধু চোথা আর চোথা, ক্লাশ এ তো কোন কালে মনোযোগ দেই নি তাই কারো হাতে কোন কিছু দেখলে ই ভাবতাম ওরে শিওর ওর হাতের চোথা থেকে ই পরীক্ষায় সব কিছু কমন পরব, আর কই যাই, করাও ফটোকপি, এমন ও আছে এক ই জিনিস ৩ বার ও করছি,চোথা ফটোকপি করলে যদি cgpa বাড়ত তাইলে ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার আগে ই আমারে স্যার বানানোর জন্য মন্ত্রী পরিষদ আবেদন করত।এতো দিন এ আমি ক্লাস নিতাম আর পোলাপান রে কানে ধরাই দাড়া করিয়ে রাখতাম।অনেক এর মনে একটা ভুল ধারণা আছে যে শুধু মাত্র চোথা বানাতে ই যত কষ্ট, আমি তো মনে করি চোথা ফটোকপি করা তার থেকে বড় কষ্ট,কত্ত ঝামেলা, দোকানে যাওয়া, গেলেও দেখা যাবে কারেন্ট নাই। এতো দিন স্যাররা যে পরিমাণ assignment দিসে ওই গুলা যদি কপি না করতাম তাইলে রাস্তা ঘাটে, এমন কি টয়লেট এ ও লিখতে থাকতাম।আমি সকল প্রকার কপি ই অনেক মনোযোগ সহকারে করতাম , কপি করায় এতো ই মগ্ন থাকতাম যে অন্নের নাম রোল পর্যন্ত কপি করতাম।স্যাররা ও কম যায় না কেও যাতে কপি না করতে পারে ওই কারনে সবার জন্য সব কিছুর মান আলাদা করে দিত, এতে আমার সাময়িক সমস্যা হলে ও আমি খুব তাড়াতাড়ি এই থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ বের করলাম, সব মান আমার গুলা ই বসাতাম কিন্ত যখন calculation আসতো তখন ই অন্নের টা কপি স্টার্ট করতাম। আর যায় কই ? মান ঠিক তো সব ঠিক। কুয়েট এ আইসা আমার কিছু না বাড়লে ও আমার ইমাজিনেশন পাওয়ার এমন বাড়া বাড়ছে যে কোন প্রকার calculator ছাড়া লিখতে পারি।৩য় বর্ষে rcc তে d এর মান বের করতে হলে সুপার কম্পিউটার হলে ভাল হয়, সেই calculation আমি অনুমান করে বাসাইছি।এই খানে পড়ার জন্য যে কষ্ট অরা লাগে এর থেকে ফাকি দেয়ার সিস্টেম বের করতে ই বেশী টাইম লাগে, কিছু দিন আগে নিজে ক্লাস নোট লিখছিলাম পড়তে গিয়ে দেখি মন ভরে না ,ফটোকপি ছাড়া আমি এখন কিছু পড়তে পারি না, তাই কি আর করা অন্নের ক্লাস নোট ফটোকপি করে এখন পড়তে বসব, ভাবসি কুয়েট থেকে বের হওয়ার পরে অতি দ্রুত ডাক্তার এর কাছে যাব,তখন হয়ত ডাক্তার এর কাছে গিয়ে বলব” আমি দিনে তো ঘুমাতে পারি ই না রাত এ ও আমার ঘুম হয় না “

১৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×