মনে সংশয়, সংক্ষিপ্ত সময়, পায়ে পায়ে হেঁটে চলা। ভুলে ভরা পথ। অবয়ব আংশিক, অস্পষ্ট তার কণ্ঠস্বর। আর তার ভাঙা ডানায় ওড়ে লক্ষ্য শঙ্খচিল।
…
ঘোরের ঘূর্ণিপাকে বাঁধা পড়ে গেছে সে। ঘূর্ণিপাকের গতি বাড়ে। বাড়তে বাড়তে টর্নেডোতে রূপ নেয়। বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে শূণ্যে উঠে যায়, ঝাপসা হয়ে আসে পৃথিবী। ছাইরঙা ধোঁয়া ঢেকে ফেলে চারদিক। সে আর কিছুই দেখতে পায় না। একসময় টের পায় গতি কমছে টর্নেডোর, শূণ্যে থেকে নামছে সে। পা ঠেকে যায় । ধোঁয়ার পর্দা সরে গিয়ে সামনে আসে অন্ধকার। চোখ সয়ে নিতে সময় নেয়। একটা করিডোর, বৃত্তাকার। হঠাৎ মনে হলো সামনে একটু আলো। আলোর উৎস খুঁজতে এগিয়ে যায়। আবছা, অস্বস্তিকর এই করিডোরে দম বন্ধ হয়ে আসতে চায় তার। বের হতে চায় সে । কিন্তু দরজাটা কোথায় ,খুঁজে পায় না।
…
ভাঙাচোরা পথ ধরে কেউ একা হেটে যায়। হয়ত সে পথের পাশে ফেলে গেছে একটি স্বচ্ছ রঙিন ছাতা, যে ছাতাটি সূর্যের থেকে আলো নিয়ে ছড়ায় লাল-নীল বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির টুপ টাপ শব্দে কেউ একা বুনে যায় একটি রঙিন স্বপ্ন।
স্বপ্নের হাত ধরে সে একা হেটে যায়।