
এটা কোন হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দৃশ্য নয়। নয় কোন বাসাবাড়ির দৃশ্য।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনে চলমান সম্মান ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষায় সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রের দৃশ্য এটি।অসুস্থতার কারনে সিক বেডে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে দুই পরীক্ষার্থী।এদের মধ্যে পায়ে ব্যান্ডেজ করা পরীক্ষার্থীকে কেউ না চিনলেও কালো বর্ণের অপর পরীক্ষার্থী বরিশালের অনেকের কাছেই পরিচিত।তার নাম সৈয়দ শামসুদ্দোহা আবিদ। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আনিছুর রহমানের ছেলে সে। আবিদের বড় বোন সৈয়দা ফাতেমা মমতাজ মলি সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। আবিদের নিজেরও একটি রাজনৈতিক পরিচয় আছে।সে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।অভিযোগ রয়েছে, অসুস্থ না হয়েও কেবল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সিক বেডে পরীক্ষা দিচ্ছে এই ছাত্রলীগ নেতা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সারা দেশব্যাপী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সম্মান ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়।আবিদ সরকারি বিএম কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হওয়ায় তার পরীক্ষার সিট পড়ে সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে। পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই অসুস্থতার কথা বলে সিক বেডে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। এমনকি পরীক্ষা চলাকালে সবটুকু সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থান করে তার বোন ছাত্রলীগ নেত্রী মলি।এব্যাপারে নিজের ছাফাই দিতে গিয়ে সৈয়দ শামসুদ্দোহা আবিদ বলে, আমি যখন রাজনীতি করি আমার কাগজপত্র তো ঠিক থাকতেই হবে। আমাকে সিভিল সার্জন নিজেই অসুস্থতার সার্টিফিকেট দিয়েছেন। সেই সার্টিফিকেট বরিশাল কলেজ প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার পরেই তারা আমাকে সিক বেডে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দিয়েছে।অসুস্থতার ব্যাপারে আবিদ বলে, সে জন্ডিসে আক্রান্ত। এছাড়া কয়েক দিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় পা সোজা করে বসতে পারে না।সিভিল সার্জন ডাঃ অনিল চন্দ্র দের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অসুস্থতার সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমার মনে পড়ছে না। তবে সার্টিফিকেট দিয়ে থাকলে তা কাগজেই প্রমাণ থাকবে।এ ব্যাপারে সরকারি বরিশাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম মজিবুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগ নেতা আবিদ প্রথমে কোন একজন চিকিৎসকের সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিলো। তবে ওই সার্টিফিকিটের মাধ্যমে সিক বেড বরাদ্দ দেওয়া যাবে না বলে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়।অধ্যক্ষ বলেন, এর পরে কি হয়েছে আমার সঠিক জানা নেই। কারণ, আমি সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে প্রচ- আঘাত পেয়েছি। ডাক্তার ১০ দিন বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তাই কলেজে যেতে পারছি না। তবে শুনেছি- সে সিভিল সার্জনের কাজ থেকে অসুস্থার সার্টিফিকেট এনে আবেদন পত্রের সাথে জমা দিয়েছে।বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭,
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




