এই প্রশ্নটা সত্যিই খুব গুরুত্বপূর্ণ যে- ইসলামের কোন তরিকানুযায়ী বা কোরআনের কোন আয়াতে বলা হয়েছে অন্যের ঘরবাড়িতে অগ্নিসঙযোগ কিঙবা লুটপাট করার কথা? যদি তা না হয়- তবে কেনো এই নীরবতা? কিছুদিন আগেও যারা জিহাদি জোশে নানা পন্থায় রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দেবার বিষয়ে উচ্চকিত ছিলেন তাদের তো কোনো দেখা পাই না, ভুল ছবি-ভুল তথ্য দিয়ে যারা বার্মার ঘটনাকে বাঙলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের সাথে সঙশ্লিষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন রামুর ঘটনায় তাদের কোনো রা নেই। একেই বলে সভ্যতা!
অন্য দেশের ‘মুসলিম’ আক্রান্তের ঘটনায় মুমিন মুসলমানরা যতোটা সোচ্চার হয়েছিলেন, নিজের দেশের ‘মানুষ’ আক্রান্তের ঘটনায় তাদের এই বিভৎস নীরবতা সত্যিই সন্দেহজনক। যারা শুধু ‘মুসলমান’ চেনেন কিন্তু ‘মানুষ’ চেনেন না- তাদের আসলে রিটায়ার্ড করার টাইম চলে আসছে।
রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে তৎকালীন সময়েই নানা জনে নানা জিহাদি বক্তব্য দিয়েছে, রামুতে বৌদ্ধ বসতি আক্রান্ত হবার ঘটনায় তাদের প্রচ্ছন্ন মদদ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। অস্বাভাবিক যে নয় তার দুটো কারণের একটি হলো- ওইসব জিহাদি স্ট্যাটাসধারীদের নীরবতা, আর অন্যটি হলো- রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকিয়ে সরকার ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী’র কূটচালের বাড়া ভাতে ছাই ছুড়ে দিলো। রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী’ সারাদেশে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ায়, মধ্যপ্রাচ্যে বাঙালি শ্রমিকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবঙ সবশেষে ‘দাড়িপাল্লা’ ভারি করে।
সেই ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী’র নাম জামায়াতে ইসলাম। অনলাইন গণমাধ্যম পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে-
“জামায়াতের লোকজন হামলার জন্য আবার জড়ো হওয়া চেষ্টা করছে।”
অতএব সাধু সাবধান!- মারুফ
.........................................
এখন আরেকটা পোস্ট দেখি:
নাস্তিকদের বাড়াবাড়ি = রামু'র সাম্প্রদায়িক সহিংতা ( ব্লগস্ফিয়ারের হর্তাকর্তারা এখনই সচেতন হোন)
সেই পোস্টে আমার কমেন্ট-
এদিকে, কয়েকজন ফেইসবুক ইউজার জানিয়েছেন, উত্তম বড়ুয়া নামের রামুর যুবকের ফেইসবুকে কোরআন অবমাননাকর ছবিটি তার পোস্ট করা নয়। এরজন্য উত্তম কোনোভাবে দায়ী নয়। ‘
নির্দোষ লোকদের উপর অত্যাচারকে ডিফেন্ড করতে নাস্তিকদের চুলকানীর সামনে আইনা প্রমাণ করলেন আপনার মুখোসের আড়ালেও একজন জিহাদী বাস করে ।
পোস্টের কোথাও যাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে তাদের প্রতি সহানুভুতিও নাই , আর কাজটা করেছে যতটুকু শোনা যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর লোকজন তাদের কর্মকান্ড ডিফেন্স করতাছো তুমি।
তুমি যে ছাগু সেটা আবার ও প্রমানিত হইলো।
আর আমাদের ব্লগের আরেকজন জামাতিদের সেই আক্রমণকে হাইড করতে নাস্তিকতা জুজু যখন সামনে আনে তখন একটাই কথা মুখে আসে-
লেন্জা ইজ ডিফিকাল্ট টু হাইড