ইলিয়াস কমল
লালঘুড়ি
তালপাতায় মুখরিত ঘরে ঝুলে থাকে স্তন্যপায়ী মন
বাবাকে জেনেছি পিতা- মাকে শৈশব
মনোরাজ্যের ভাসান তোলা মন্দ্রিত খেয়াল উড়িয়ে
দিয়ে ঘুড়ির মতো
দূরের ঠিকানায় বসে থাকে জাদুকরÑ
একে একে তাবুতে ফিরে যাওয়া সকল মৃগ
নির্বাসীত মোহনার মাঠে- বাজুক ইস্রাফিলের বাঁশী
আমি তখন আকাশে উড়াই কার্পাস তুলা হৃদয়!
হাওয়া
এবারও যখন তোমার শেষ বাক্য বলার সময় হবে,
তখনও তুমি বলবে-
এইবারই তোমাকে শেষবারের মত মারছি;
এবং এও জানি আমি আবারও মরবÑ
তোমার হাতেই।
তাই তোমাকে মৃত্যুর কোমলতা ছাড়া
অন্য কিছু ভাবি না।
আরো পূর্বেÑ
যখন আমাকে শতবার মেরে ফেলে দিয়েছ
পূর্ণজাগরণের খাঁচায়; তখনও
আমি তোমাকে বলেছিলাম
আবারও তোমার মৃত্যুর খাঁচায় আমাকে পুড়ে রাখবে তুমি।
এই রকম ভবিষ্যৎ বাণী অনেক করেছি!
একটা শূন্যস্থানও অপূর্ণ থাকে নি
কেবল তোমার মৃত্যুর খাঁচা ছাড়া।
আমি আবারও মরব তোমার কোমল অভিমানের ভয় নিয়ে ...
তারপর নীরবতার সুরে সকল সন্ধ্যার কীর্তন
তোমাকে দিয়ে দিলেও আমি কোন কিছুই নেব না প্রতি উত্তরে।
আমাকে তখনও কোন না কোন
সূরার আসর ডেকে তুলবে ...
তুলবে নিজস্ব ঐতিহ্যের সীমানা অতিক্রম করে দেবার জন্য।
আমি কোন কিছুই নিজস্ব ঐতিহ্যের বলে মনে করি না।
জানি
তোমার মৃত্যুর খঁচার চেয়ে আমার বড় কোন কোমলতা নেই।
না, কেউ না
না, কেউ না। সূত্র পড়! বীজগণিত অথবা পাটিগণিত সূত্র পড়!
সূত্রের ভেতর পেয়ে যাবে নিশ্চয়ই কোন না কোন সূত্র।
এখানে সময় মন্থর গতিতে আগায়।
আগায় ধূলোমাখা পথের সীমা অতিক্রম
করে করে এবং নীরবচ্ছিন্ন।
ঘড়ির কাঁটার উল্টোপথের পথিকের মতো
কোন না কোন আপনজনের ঠিকানা সম্ভাবনা মেলেও
কেউ না কেউ ঠিকই সীমান্তে অপেমান
সূত্রধার হয়ে।
আমাকে অকারণ
কেন তবে মিছি মিছি সরলাংকের জটিলতায় ভোগা।
আমি তবে রাজহাঁস, পাহাড়ি ময়ূরের পাখা।
মহামায়া বিদ্যার দেবী স্বরঃস্বতি- তোমার পদ
চুম্বনের যে স্বাদ ভুলে যায় কর্পোরেট,
আমি তাকে কেন দিতে চাই শাস্তি? আমি কি তবে-
ভুলে যাই কোন এক কর্পোরেট সন্ধ্যার জন্য
তুলে রাখা আমার সত্ত্বার নির্মিতি?
কোন কারণ নেই তার।
তবুও কেবল অভিনয়।
ভোরের নির্দিষ্টতা থেকে সকল সম্ভাবনা পর্যন্ত আমাকে-
হ্যা, আমিই চিহ্নায়ন করি রাজ্যের ঘুনের ছিদ্র।
না। তারপরও কেউ না। কোনদিনও না।
কোন সকালের সূর্যকে লালের মতও না।
আমাকে মিথ্যে প্রলোভন- না।
নির্বাক ভূমিপুত্রের কোলেই যদি আমি নিজস্বতার আড়াল করি।
কালো, তবে কোথায় তুমি সূত্রধার?
আমাকে প্রশ্ন কর- কেন আমি লুটোপুটি খাই শূন্যতায়?
রাষ্ট্র ব্যাংকের সাদা চেক আমার পকেটে।
সমস্ত সংবাদ মাধ্যম ও তাদের সম্পাদকের বিবির সেলফোন নাম্বারও!
কোথাও কোন সংবাদ নেই তোমার! তবে কি বাঘে খাওয়া অতীত সূত্রধার?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



