বাংলাদেশের খ্যাতনামা একটি প্রতিষ্টানের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় টেলিভিসনে আজকাল । এক গাড়ীর সেলস ম্যান স্বভাবসুলভ গাড়ির ভাল গুন গুলো বলার পর বলতে বাধ্য হয়,গাড়ীর ৯৯% ই ওকে কিন্তু ব্রেকটা মাঝে মাঝে ঠিকমত কাজ করেনা। ঈশপের গল্পের মতো এই বিজ্ঞাপনের নীতিবাক্য ছিল- একটি খারাপ গুন অনেক ভালো গুণকে ম্লান করে দিতে পারে, অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কথা সত্য..
আমি রাজনীতি খুব একটা ভালো বুঝি তা বলবোনা। এতটুকু বুঝি এটি আমার জন্যে নয়। যদিও সীমিত জ্ঞান নিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করা সম্ভবপর,ইচ্ছাটায় বড়কথা। রায় ঘোষনা করার আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা উচিৎ হয়েছে অথবা সরকারী দল কাজটা খারাপ করেছে এই বিতর্কে আমি যাবোনা। আমার আলোচনার বিষয় হরতাল নিয়ে।
একটা সময় ছিল, যখন আমারা স্কুল-কলেজে,এমনকি যখন িশ্ববিদ্যালয় এ পড়তাম, হরতাল হলে খুব ই আ্নন্দ লাগতো, ঈদ ঈদ মনে হতো। সারাদিন আরাম করে ঘুমাবো, কি মজা। অন্যদিকে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতো, দিন আনি দিন খাই অবস্থা,বেসরকারী প্রতিস্টান গুলো যেখানে হরতালের সময় আসা বাধ্যতামূলক তাদের জান খারাপ হয়ে যেত। হরতাল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, এই বিষয়ে সন্দেহের কনো অবকাশ নাই। তবে শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করলে কি ভালো হতো না?
কি দোষ, রাস্তায় জীবিকার খোঁজে বের হওয়া বাসগুলোর!! গাড়ীগুলোর!! সরকারের উপর রাগের জন্যে কেনো সাধারণ মানুষ
ভুক্তভুগী হবে!! হরতাল সংস্কৃতিটায় এখন খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতায় থাকলে হরতালের বিরোধী আর বিরোধীদল হলে হরতালের পক্ষে এই মনোভাব পরিহার করতে হবে।
বাংলাদেশের অবস্তা আর এমন নাই যে আন্দোলন করে সরকারকে নামানো যাবে, সেটা গতবারে আওয়ামীলীগের ট্রাম কার্ড অথবা এবার বিএনপির অলাউট, যেই লাউ সেই কদু।
বাংলাদেশে আন্দোলন করে একবার ই সরকারকে নামানো গিয়েছিলো, তা ও স্বৈরাচার এরশাদকে নামানোর জন্যে এবং লক্ষনীয় বিষয় সেটা সম্ভবপর হয়েছিলো, আমাদের দুই নেত্রী এক হয়েছিলো বলে। ভেবে দেখেছেন, দুই নেত্রী এক হলে দেশের কতো মঙ্গল! আমি প্রবল নৈরাশ্যবাদই মানুষ, তবুও ৯৯% হতাশার মধে্য ১% আশা তারা কোনোএকদিন এক হয়ে দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




