ফার্স্ট ইয়ারে উঠলেই নাকি সবার পাখা গজায়। আমারও গজিয়েছিলো। না, প্রেম-ট্রেমের ব্যাপার না। খুব ঘুরাঘুরি করতাম। আমাদের বেশ হই-চই টাইপ একটা ফ্রেন্ড সার্কেল হয়ে গিয়েছিলো। খালি আড্ডা আর আড্ডা। আমি বলতে গেলে একেবারেই পড়াশোনা করিনি প্রথম দুই সেমিস্টারে। তার ফলও পেয়েছি। এখনও সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি। সিজিপিএ তুলতে জান বের হয়ে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যেও কয়েকজন বেশ সিরিয়াস ছিলো। পরে ওদের দেখে শিখেছি কিভাবে পড়াশোনা আর বাঁদরামি একসাথে করতে হয়।
খুব ক্লাস মিস দিতাম তখন। সার্কিট থিওরির ক্লাস তো বলতে গেলে করতামই না। সবচেয়ে প্রিয় ছিলো ল্যাব। বাসায় নেট কানেকশন ছিলো না। ল্যাবই ভরসা। স্যার পড়াতেন আর আমরা ইন্টেরনেটে ঘুরাঘুরি করতাম। একদিন তো জন আব্রাহামের ওয়ালপেপার ডাউনলোড করতে গিয়ে ধরা পড়লাম এক ইয়ং টিচারের কাছে। উনিও বেশ মজা পেয়ে মিটিমিটি হেসে বললেন, 'এগুলো দিয়ে কি পাস করা যাবে?'!
ইউনিভারসিটি লাইফের মজা হছে কনসার্ট, মুক্তমঞ্চের নাটক আর ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। কনসার্টগুলো সাধারণত হতো বৃহস্পতিবার রাতে। আমি বৃহস্পতিবার বাসায় চলে আসতাম তাই অনেকগুলো কনসার্ট মিস করেছি। নাটকও খুব বেশী দেখা হয়নি। তবে সিনামা দেখেছি প্রচুর। প্রায়ই ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অডিটোরিয়ামে মুভি দেখতে যেতাম।
গত চার বছরে একটা জিনিসের নেশা বেশ ভালো ভাবে ধরেছে তা হলো চা। পিচ্চি পিচ্চি ছেলেরা ফ্লাস্ক ভরা চা নিয়ে ঘোরে। ছোট্ট কাঁচের গ্লাসের সেই লিকার চা- জটিল টেস্ট। যে খায়নি তাকে বুঝানো যাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




