পাকিস্তানিদের রক্ত যতদুর পর্যন্ত গেছে ততদুর পর্যন্তই কুলসিত! আরো কমপক্ষে দুই যুগ হয়তো লেগে যাবে আমাদের! কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রায় তিন যুগ ধরে রক্তগুলো চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মিশে গেছে! পাশাপশি তারা তরুন প্রজন্মের বিশাল একটা অংশের মস্তিস্ককে বধির করে ফেলেছে! এদের সঠিক কিছু বলতে চাইলে কিংবা শেখাতে চাইলে তারা শুনতে পায়না এবং এরা সঠিক কিছু জানতেও চায়না এবং এরা বধিরই থাকবে!
খুবই হতাশাজনক হলেও এটা একটা আগলি ট্রুথ! প্রায় তিন যুগ ধরে একটা গোটা জাতিকে শিখতে দেয়া হয়নি! এবং এর পুরো কৃতিত্ব আমি পাকিস্তানকে দেই কারণ তাদের যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা তথা পোস্ট ওয়ার স্ট্র্যাটেজী সফল হয়েছে পুরোপুরি! এই পুরো খেলাটা পাকিদেরই! যেমন তারা ফেলে গেছে ভূমি মাইন, তারা রেখে গেছে রাজাকারদের খুবই শক্ত একটি দল! সেনাবাহিনীতে রেখে গেছে তাদের তৈরী করা গোয়েন্দাদের একটি দল! উল্লেখ্য তাদের মধ্যে এমন কিছু অফিসার ছিলো যারা বাংলা বলতে পারতো কিন্তু লিখতে কিংবা পড়তে পারতোনা!
এখনও বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে উর্দু বই পড়ানো হয়! আমরা এখন পর্যন্ত ঐ জায়গাটাতে পুরোপুরি হাত দিতে পারিনি। এই দেশের কোমলমতি শিশু যারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে মাদ্রাসায় পড়ে তাদের সঠিকটা শিখতে দেয়া হয়না! তারা আল-কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার চেয়ে তারা পাকিস্তানিদের তৈরী করা কিচ্ছা কাহিনীর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়! এটা পরিলক্ষিত হয় এবং পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যাবে যখন আপনি পৃথিবীর নামকরা ইসলামিক পন্ডিত কিংবা স্কলারদের ওয়াজ কিংবা বক্তব্য শুনবেন এবং বাংলাদেশের এই শ্রেনীর মওলানাদের ওয়াজ শুনবেন!
উল্লেখ্য একই ধরনের দূষণ প্রায় সবগুলো ধর্মতেই হয়েছে, কি সনাতন কি খ্রিস্টান ধর্ম!
৪৬ বছরেও কি আমরা এই জায়াগটাতে হাত দিতে পেরেছি? সেই পাঠ্যপুস্তক গুলোকে বাংলায় রূপান্তর করতে আমরা এখনও পারিনি! আমরা কি স্বাধীন? আমরা কাগজে কলমে স্বাধীন হয়েছি কেবল এর চেয়ে বেশি কিছু নয়! আমাদের আরো বহুকাল যুদ্ধ করে যেতে হবে!