★★ইতিহাস★★
--------------------------
তোমারে যতই ঠেলি শত শতাব্দীর প্রান্ত সীমায়,
তুমি ততই নিকট সীমান্তে হুমড়ি খেয়ে পড়।
তোমার ভাবনায় নষ্ট আমার যতগুলো বিনিদ্র রাত,
আলোর ডানায় তারও অধিক স্বপ্নের কুয়াশা তুমি।
সমুদ্রের অতলান্তে ডুব সাঁতারে ক্লান্ত ডুবুরি আমি,
তুমি দ্বীপান্তরের পরিযায়ী, অন্তিম অাশ্রয় দিকভ্রান্ত নাবিকের।
তোমার উপখ্যানে সাম্রাজ্যের গৌরবও ম্লান-নাজুক;
সেই কীর্তি কীর্তনেই আমি যুগান্তরী পথিক।
মহাকালের মধুর বাসরেও কুৎসা রটায় সাম্রাজ্য সারথি,
ক্ষমতার গড়িমায় পাল্টে দেয় চৌদ্দ পুরুষের নাম
কালান্তরের সংসারে দেয় বিচ্ছেদের আগুন।
ধর্ষণকে নৈমিত্তিক করছে কতো সেনানী,
বীর্যের সাগরে কতো রাজযুবা উড়িয়েছে প্রেমের পাল।
এমন করে বটে মানুষ, সময়ের আলোয় সে দেখে না পথ।
রাতের ক্লান্ত অাধারে একদিন মিলিয়ে যায় কোলাহল।
প্রাসাদের মলিন ইট তবু টিকে থাকে আরো ঢের দিন;
কিংবা যে প্রান্তরে ঘাসেরা নত মস্তক, তারাও মাথা তুলে হঠাৎ।
যে নারীর রূপ কোনো দিন দেখেনি সূর্যডানা,
কোনো দিন শুনে নি ভোরের বাতাস---সে হাসিও অাছড়ে পড়ে তীরে।
যে পরিচয়ের আশায় তুমি দেশান্তরী ফেরারি ---
প্রাপ্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সে কার্পন্য করে না কখনো।
১৬/০৪/২০১৫
সখিপুর।