ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে আমাদের দেশে এই নিয়া সরকারী একটা ডিক্লেয়ার ছিলো পেপারে। তো অনেকেই সন্দীহান ছিলো আসলেই এটা সত্য না মিথ্যা অথবা এতে করে আমাদের কোনো লাভ হবে কিনা। কারন ঐ যে একটাই সমস্যা, আমাদের সরকার।
একটা উদাহরন দেই।
আপনি যখন এই বোরিং পোস্ট খানা পড়ছেন তখন হয়তো ফেসবুকে আপনার গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে কেবল চ্যাটিং শেষ করলেন। ধরা যাক কাল অথবা ভবিষ্যতের কোনো এক সময় আপনারা বিয়ে করলেন সুখী একটা সংসার গড়লেন। আপনি ভালো একটা চাকুরী করেন যা দিয়ে সংসারে খুব ভালো ভাবেই চলে যায়। কিছু দিন পর ঘর আলো করে সন্তান হলো এবং দেখা গেলো আপনার সংসারের খরচ গেলো একটু বেড়ে। একটা ফ্লাটের মাসিক কিস্তির পর বাবুর দেখা শোনাটা আরও ভালো ভাবে করার জন্য আপনার স্ত্রী চাকুরী করা শুরু করলো।
দেখা গেলো আপনার এক সময় মাসিক ৩০ হাজার হলেই হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বাবু যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করলো আর বর্তমান মূল্যস্ফীতী থেকে শুরু করে সবকিছু দিয়ে ৬০ হাজারেও কুলাতে পারছেন না। চিন্তা করেন এখন আপনি আরেকটা সন্তান নিলেন। তার ভবিষ্যত থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু। আপনারা স্বামী স্ত্রী মিলে ১ লাখ কামালে হয়তো দু জন মিলে ভালো একটা ফ্লাটে থাকার কথা চিন্তা করতে পারেন। কিন্তু সন্তানের সংখ্যা যখন বাড়বে তখন এই ফ্লাটে পোষাবে না, চাকুরীতেও পোষাবে না, সবকিছু ভেঙ্গে পড়বে। সম্পর্ক থেকে শুরু করে সবকিছু। সন্তানের সংখ্যা তবুও বাড়াতে থাকলেন, তখন?
ম্যালথাসের গ্রোথ রেট বলে একটা কথা আছে যদি সেটা নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে যায় তাহলে কি কি দুর্যোগ হতে পারে সেটা নিয়েও কথা বলা আছে ম্যালথুসিয়ানিসমে । (এই তত্বটা আমার বৌ বলছে)
মনে পড়ে আইয়ুব খান বাংলাদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলো। তখন আমাদের জাতীর পিতা বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়া মন্ঞ্চে খাড়ায় দিয়া কইছিলো পাকিস্তানীরা বাঙ্গালিদের সংখ্যায় কমাইতে চাই নিশ্চিহ্ন করতে চায়। যদিও যুদ্ধের পর উনার এই ব্যাপারে বক্তব্য পাওয়া যায় নাই কিন্তু মৌলবাদীদের পেডোফিলিজমের উৎসাহ (যেটাকে আমরা সভ্য ভাষায় বলি কুসংস্কার) এবং আমাদের অজ্ঞতার বদৌলতে আজকে জনসংখ্যা মোটামোটি ১৬ কোটি।
আসেন বলি মাশাল্লাহ।
আমরা কথায় কথায় বিদেশের কথা বলি, তাদের নীতি নিয়ন্ত্রন সুযোগ সুবিধার কথা বলি। নিজের দেশটার সবকিছুতেই জ্ঞান দেই। কিন্তু একটা কথা কেউ বলে না।
আমেরিকা একটা বিশাল দেশ, আয়তনের হিসাবে বাংলাদেশের থেকে ৯৮ গুন বড় আর জনসংখ্যা ৩১ কোটি, বাংলাদেশের দ্বিগুন। পশ্চিমা উন্নত বিশ্বের মধ্যে আমেরিকাই মনে হয় সবচেয়ে বেশী জনবহুল দেশ। বাকীগুলানের জনসংখ্যার অবস্হা আমাদের চাইতেই কত গুন কম জানার উপায় নাই। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার কথা বাদ দিলাম কারন শীতের জন্য এখানে বসবাসের উপযোগী না। কিন্তু স্পেন?
মাগার আপনে যখন ইউরোপে আসবেন তারা এই এখন অবৈধ অধিবাসী ছাটাই করতেছে কারন তারা নিয়ন্ত্রন করতে পারতেছে না তাদের জীবনযাত্রার মান এবং বর্তমান রিসেশনে সেই নীতি আরও কঠোর হইতেছে। অনেক দেশে ক্রাইম রেট বাড়তেছে এবং মোটামোটি হিম শিম খাইয়া যাইতেছে অনেক জায়গার আইন শৃঙ্খলা সামলাইতে গিয়া।
একজন বাঙ্গালী ভাই কইছিলো"এই হালারা ৮০ লক্ষ ৯০ লক্ষ সামলাইবার পারে না। আমাগো মতো ১৭ কোটি লইলে হালাগো ভ্যাটকী উইঠা যাইতো। বাংলাদেশের সরকার গুলানরে আসলে গালি দেই হুদাই। এত বড় একখান জন গোষ্ঠীরে যেমনে সামলাইতেছে এইডার জন্য একটা ধন্যবাদ দেয়া দরকার। ইন্ডিয়ায় তো ক্ষুধার লিগা মানুষ মরে সুইসাইড করে, আমাগো দেশে এখনো এইডা হয় নাই!"
যাই হোউক, দেশের এত সমস্যার মধ্যেও একটা ভয়বা হ যে ব্যাপারটা হচ্ছে পরিস্হিতি খারাপ হইতেছে। মাদ্রাসার পোলাপান মরছে বাচছে সেইটা ইস্যু না, ইস্যু হইলো এই মাদ্রাসার পোলাপান গো ভবিষ্যত কি?
তারা এমন করে কেন? যখন তারা ঢুকে তাগো শিখানো হয় তাগো কোরান শিখানো হইতেছে যার মধ্যে সবকিছু আছে। এই কিতাবের মধ্যে সবকিছু আছে। পরে যখন হাদিস পড়ানো হয় তখন বলা হয় তোমাগো জন্য বেহেশত খানা ফিক্সড এখন এই সমাজের পংকিলতা তোমাগো জ্ঞান দিয়া দূর করো এবং জিহাদ করো।
যখন আরও বড় হয় তখন কিছু কিছু বিজ্ঞান পড়ানো হয় এমনভাবে যে ইহুদি নাসারারা যা আবিস্কার করছে সেইটা তেমন জানার দরকার নাই এর চেয়ে বেশী কইরা পড়ো মুত্র দেইখা কেমনে রোগ নির্নয় অথবা মেয়েদের মেনোপজ (কারন এগুলা মুসলিম বিজ্ঞানীরা ডিটেইলে বইলা গেছে)। চান তারা কিছু শিখানো হয় তাও পুরানা জামানার মুসলিম বিজ্ঞানীদের সংকলিত গ্রন্হ থিকা যেখানে কোনো কিছু ব্যাখ্যা না দিবার পারলে বলা হয় আল্লাহ সব জানেন।
পাশ কইরা যখন দেখে সমাজে তার এই শিক্ষার দাম হইলো ২০০০ টাকা বেতনে ইমামতী করা আর তারাবীর সময় ৩০০০ টাকায় খতম তারাবী আর কোরবানীর জবাই তখন মাথা ঠিক থাকে না। ইসলামী শাসন কায়েম ছাড়া আর কোনো উপায়ই থাকে না।
আমরা যখনই জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা বলি তখনই বলি আমরা কতটা অন গ্রসর। এবং সব দোষ সরকারের। কিন্তু কেউ বলি না বেসরকারী গুলান কি করতেছে। এই যে বিদেশের কথা বলি এইখানে যে বেশীর ভাগ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানই করে সেটাও কেউ বলে না। সব কাজ সরকারের করতে হবে বলেই আমরা আমাদের ভাগ্যবিধাতা হিসেবে চোর চোট্টাদের ক্ষমতায় বসাই। তারা তখন ক্ষমতা পাইয়া এমনই ভজঘট করে আর কিছু করার নাই। যখন ভালো কিছু করতে যায় তখন সেইটা নিয়াও এমন কিছু কাহিনী শুরু হইয়া যায় সেইটাও দেখার মতো বিষয়।
আপনি দুর্নীতি দূর করবেন কিন্তু এখন সেটাও সম্ভব না। দুর্নীতি আছে বলেই কয়েক লাখ লোক সেটার উপর খেয়ে পড়ে বেচে আছে। আর দুর্নীতি আছে বলেই কয়েক লাখ লোক না খেয়ে মরছে। অনেকটা এমন যে চালের দাম বাড়ালে শহর বাসী না খেয়ে থাকে, কমালে কৃষক মারা যায়, দুর্নীতি দূর করলে খাদ্যের মজুদ থাকে না (চোরাচালানী হয় নিশ্চয়ই)।
তাইলে কি করন যায়? হেফাজতীদের আমরা গালি দেই, দিলাম গালি। লাভ কি হইলো? কিছুই না।
আসলে আমাদের খুব বেশী কিছু করার নাই। একটা সময় ছিলো ম্যালথাসের এই সাইড এফেক্ট থেকে রক্ষা করবার জন্য নিও ম্যালথুসিয়ানিসমকে কাজে লাগানো উচিত কিন্তু এখন তাতেও কাজ হবে না।
পরিস্হিতি যেভাবেই হ্যান্ডল করা হোক খারাপ হতে বাধ্য।
এজন্য যখন ফফরুদ্দিন সাহেব ভালো কাজ শুরু করলো তখনও অর্থনৈতিক স্হবিরতা দেখা দিলো, আমজনতার কিছু কিছু অংশের ভালো লাগছে না। হাসিনা যখন আসলো তখন আর কি বলবো। নেক্সট টাইম যখন গোলাপী নামের নস্টা মহিলাটা আসবে, পরিস্হিতি আরও ভয়ংকর হবে।
মুক্তির উপায় হবে যখন এই অনাসৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের পতন হবে এবং পতনের পর যারা বেচে থেকে নতুন করে শুরু করার পথ দেখাতে পারবে তারাই দেশকে ভালোর দিকে এগিয়ে নিতে পারবেন
তাই আসুন একটা বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হই!