২০০৬ সালে ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়ার সাথে শাহরিয়ার নাফিসের সেই সেঞ্চুরির কথা খেয়াল আছে?
অস্ট্রেলিয়ার সেই বোলিং অ্যাটাকের সামনে সেই বিধ্বংসী ব্যাটিং তো কারো ভোলার কথা না!
২০০৫ সালে অভিষেক হয় এই ক্রিকেটারের। বলা হচ্ছিল দেশের ইতিহাসের সেরা অপেনার হবেন তিনি। এগোচ্ছিলেন সেই পথেই। ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টেস্টে ৩০ ইনিংস এ ব্যাট করেন। রান সংগ্রহ করেন ৮০০!
আসেন এবার ওয়ানডে স্ট্যাটস টা দেখি ২০০৮ সাল পর্যন্ত! ৪৪ ম্যাচ খেলে রান করেন ১৮৫৮! এক পঞ্জিকাবর্ষে ১০০০ রান করা প্রথম বাংলাদেশী তিনি, ২০০৬ সালে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করে সে খেতাব পান। ২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তে দলের সহ-অধিনায়ক ও ছিলেন তিনি।
অসাধারন খেলোয়ার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছিলেন। অনেক বড় বড় ক্রিকেটার তাকে নিয়ে অনেক আশা করেছিলেন। কিন্তু বিপত্তিটা বাধে ২০০৮ সালে। অন্যান্য কিছু খেলোয়ারের সাথে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন আইসিএল খেলার জন্য!
শাহরিয়ার নাফিসের কাছে থেকে দেশবাসি এটা আশা করেনি কোনভাবেই!
দেশ তাদের ক্ষমা করে দেয়। তাদের আবার ফেরার সুযোগ করে দেয়। ১৮ মাস পরে আবার দলে ফিরে আসেন শাহরিয়ার। ২০১০-২০১১, এই দুই বছরে মোট ওয়ানডে খেলেন ১৫টি। ৩৪৪ রান করেন এই সময়ে। ৯টি টেস্ট ও খেলেন এর মাঝে। ৪৫৭ রান সংগ্রহ করেন এর মাঝে। কিন্তু ব্যাটিং এ সেই আগের মত জৌলুস টা দেখা যাচ্ছিল না। এদিকে ইমরুল কায়েস ভাল করতে শুরু করেন, এনামুল হক বিজয় ও দলে ডাক পেয়ে নিজেকে জাহির করেন। এর কারনে ২০১১ সালের পর ওয়ানডে দলে আর তাকে দেখা যায়নি। টেস্ট এ তাকে অন্যতম ভরষা ভেবে নেয়া হচ্ছিল, কিন্তু পারফর্মেন্স এর অভাবে ২০১৩ সালে দল থেকে বাদ পরেন। এরপর আর দলে দেখা যায়নি তাকে।
২০১২ সালে শাহরিয়ার নাফিস বিপিএল এ অংশ নেন বরিশাল বার্নার্সের অধিনায়ক হিসেবে। ২০১৩ সালে ছিলেন খুলনা রয়াল বেঙ্গলস এ! সর্বশেষ বিপিএল এ বরিশাল বুলস এর হয়ে খেলেন। ৫ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে রান করেন ১০৪। সাউথ জোন এর হয়ে খেলে যাচ্ছেন জাতীয় লিগ এ।
ঘড়োয়া ক্রিকেটের পারফর্মেন্স খুব একটা খারাপ যায়না শাহরিয়ার নাফিসের। কিন্তু বর্তমান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তা নগন্য।
তাও আমরা আশা রাখি, মাত্র ৩০ বছর বয়স্ক শাহরিয়ার নাফিস আবার জাতীয় দলে খেলবেন
সৈয়দ রাসেল
আফতাব আহমেদ
এনামুল হক জুনিয়র
নাজমুল হোসেন
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮