
আমাদের দেশের ইতিহাস তো আর ১৯৭১ পরের ইতিহাস না, এর আগেও এর অনেক ইতিহাস আছে। আর সে ইতিহাসের সাথে পাক-ভারতের ইতিহাত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আমরা ১৯০ বছর ছিলাম ব্রিটিশ-ভারতের অংশ আর এরপরের ২৪ বছর ছিলাম পাকিস্তানের অংশ। ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের জন্ম হলেও এখনো পাক-ভারতের সাথে আমাদের গভীর সম্পর্ক আছে।
ওদের সাথে আমাদের সম্পর্কের গভীরতা টের পাওয়া যায় সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। চলচ্চিত্র জগত ও সঙ্গীত জগত নিয়ে। ১৯৪৭ এ আলাদা হলেও ওপার বাংলা আর এপার বাংলা একই সংস্কৃতির ধারক। আর এর পরের ২৪ বছরে পাকিদের সাথে আমাদের একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমাদের অনেকেই পাকিস্তানের লাহোর-করাচিতে গিয়ে আস্তানা গেড়েছেন পেটের দায়ে।
১৯৭১ সালের পূর্বে আমরা পাকিস্তানের অংশ ছিলাম, তাই সেই সময়ে পাকিস্তানের এই অংশের কেউ ঐ অংশে গিয়ে কাজ করেছে, সুনাম করেছে - এতে কোন সমস্যাই নেই। কিন্তু সমস্যা হল এদের অনেকেই ১৯৭১ বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না, এমনকী বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পাকিস্তানেই থেকে গিয়েছেন। খুব সম্ভবত এদের কাছে জাতীয়তা বোধের চাইতে পেটের দায়টাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল। অনেকেই ১৯৭১ এর পরপরই বাংলাদেশে ফিরে না আসলেও ১৯৮০-৯০ এর দিকে ফিরে এসেছেন। বাহ্যিকভাবে দেশের টান দেখানো হলেও মূল কারণটা আসলে ঐদেশের চলচ্চিত্রের বাজারে ধ্বস যার শুরু জেনারেল জিয়াউল হকের পাক-সংস্কৃতির নতুত করে মুসলমানী করণে। অনেকেই অন্য কারণেও বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।
ফিরে আসাদের মাঝে শীর্ষ চরিত্র শবনম, রুনা লায়লা। এরা ফিরে আসলেও থেকে গেছেন আলমগীরের মতন সঙ্গীত শিল্পীরা। এদের নিয়েই চলবে এই লেখা।



মুল লেখকঃ
(চলবে...)
মুল লেখক- দেবা ভাই

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


