somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শাফিউর রহমান ফারাবী
ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাংলাদেশের প্রান্ত হতে আপনাকে হাজার সালাম! ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পিতা মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক

"কামসূত্র" বই টা কোথা থেকে এল ? এর ইতিহাস কি আপনি জানেন ?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বইয়ের দোকানে "কামসূত্র" নামে একটা মোটা বই বিক্রি করা হয়। আমরা ছেলেরা তো অনেক মজা করে এই বইটা পড়ি কিন্তু আমরা কি জানি কত নির্যাতিত নারীর কান্না লুকিয়ে আছে এই কামসূত্র বইটার প্রতি পাতায় পাতায়। আপনারা কি জানেন এই কামসূত্র বইটার ইতিহাস কি ? এই কামসূত্র বইটার ইতিহাস জানতে হলে আগে আমাদের দেখতে হবে এই কামসূত্র বই টা কত আগে লেখা হয়েছে। কামসূত্র বইটা লেখা হইছে সংস্কৃত ভাষা। কমপক্ষে ৩০০০ হাজার বছর পূর্বে এই বইটা লেখা হয়। তো সেই সময় ভারত বর্ষে পড়াশুনা লেখালেখি করত কারা ? অবশ্যই ব্রাক্ষণরা। হ্যা ক্ষত্রিয়রা পড়াশুনা জানত তবে সেটা শুধু রাজ্য চালানোর জন্য যতটুকু দরকার হয় ঠিক ততটুকুই। কিন্তু ক্ষত্রিয়রা কখনই লেখালেখির জগতে ছিল না। প্রাচীন ভারতে লেখালেখির কাজটা শুধু ব্রাক্ষণরাই করত।

ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েরা বিয়ের আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসাবে কাজ করতে হতো। মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু করে মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিতদের শয্যাসঙ্গী হওয়া এরকম প্রায় সব কাজই তাদের করতে হত। তো এই ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা এই নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রতিদিন উপুর্যপুরী FREE SEX করতো। এই মেয়েরা কিন্তু ব্রাক্ষনদের কেনা দাসী ছিল না, তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টা এই মন্দিরে কাজ করতো সেবা দাসী হয়ে। বিয়ের পর এই নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা আর মন্দিরে যেত না। ব্রাক্ষণ পুরোহিতরা তখন চিন্তা করে আমরা যে এত মজা করে FREE SEX করছি আমাদের উচিত এই SEX এর ক্রিয়াকৌশল গুলি ভবিষ্যত্‍ প্রজন্মকে জানানো। তখনই মন্দিরের এই ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা কামসূত্র নামে এই বইটি লিখে। তাছাড়া কামসূত্র বইটি একদিনে লেখা হয় নি আর শুধুমাত্র বাৎস্যায়ন নামক এক ব্যক্তি এই বইটা লিখেন নি। অনেক জনের হাত দিয়ে অনেক সময় নিয়ে কামসূত্র বইটি লেখা হয়েছে তা বইটি উল্টাইলেই বুঝা যায়। আজও দক্ষিত ভারতের অনেক মন্দিরের গায়ে উলঙ্গ নারী পুরুষের এই কাম কলাগুলি প্রস্তর চিত্রের মাধ্যমে ফুটে আছে। [ তথ্যসূত্র: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, অতুল চন্দ্র রায়, নিঊ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি, ৮/১ চিন্তামণি দাস লেন, কল্কাতা-৭০০০৯]

হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র মতে শুদ্ররা ব্রক্ষার পা থেকে জন্ম নিয়েছে। আমির খানের একটা অনুষ্ঠান নাম "সত্যমেভ" STAR PLUS CHANNEL এ কিছুদিন আগে প্রতি রবিবারে হত। সেইখানে একবার হিন্দু ধর্মের জাত প্রথা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সেইখানে এক মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিত তার পা দেখিয়ে বলেছিলেন এই দাস রায় ভদ্র দত্ত পাল এই নিম্ন বর্ণের জাতের লোকেরা ব্রক্ষার পা থেকে জন্ম নিয়েছে। আমরা ব্রাক্ষণরা এদের কোন হিসাবেই ধরি না। তাই আজও দক্ষিন ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামে এখনো সেবাদাসী প্রথা টা রয়ে গেছে।

আপনি জানেন কার মাধ্যমে ব্রাক্ষণদের কাম লালসার হাত থেকে এই নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা মুক্তি পেয়েছিল ? উমাইয়া খিলাফতের সময়ে মুহাম্মদ বিন কাসিম যখন রাজা দাহির কে পরাজিত করে পাকিস্তানের সিন্ধু জয় করেন তখন মহান মুসলিম সেনাপতি মুহাম্মদ বিন কাসিম প্রথম ভারত বর্ষে
এই সেবাদাসী প্রথা বন্ধ করেন। নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েরা তখন কৃতজ্ঞাতায় মুহাম্মদ বিন কাসিমের মূর্তি বানিয়ে পূজা শুরু করে দিয়েছিল। পরে অবশ্য মুহাম্মদ বিন কাসিম নিজ হাতে উনার সকল মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেন। [ তথ্যসূত্রঃ আল-বেরুনীর ভারত তত্ত্ব] এই জন্যই স্বামী বিবেকানন্দ দাস বলেছিলেন- “ ইসলাম তো ভারত বর্ষের নিপীড়িত জনগণের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। “

চিন্তা করুন ইসলাম যদি এই ভারতবর্ষে না আসতো তাইলে কি যে হত! আমি খুব অবাক হই যখন নেট জগতে ব্রাক্ষণ ছাড়া অন্যান্য গোত্র যেমন দাস রায় ভদ্র দত্ত পাল এই বংশের হিন্দু মেয়েরা ইসলাম ধর্মকে গালিগালাজ করে। আরে ইসলামই তো এইসব নিম্ন বর্ণের হিন্দু মেয়েদের কে ব্রাক্ষণদের লালসার হাত থেকে বাচিয়েছিল। সত্যিকথা বলতে কি ইসলাম যদি ভারতবর্ষে না আসত তাইলে আমরা এখনো ব্রাক্ষণদের দাস হিসাবে থাকতাম। আর এই কারণে ব্রাক্ষণ ছেলেদের ইসলামের উপর এত রাগ। কারন ভারত বর্ষে ইসলাম আসার কারনেই তো তাদের FREE SEX করার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ব্রাক্ষণদের নৃশংসতা জানার জন্য আমার এই লেখাটাও পড়তে পারেন সতীদাহ প্রথা সরাসরি দেখার এক দুর্লভ অভিজ্ঞতার কথা শুনুন

ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন
আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব
পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথাকে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে
বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা
ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল
স্টালিনের নৃশংসতার স্বীকার এক বাঙ্গালী বিপ্লবী
মাওসেতুং এর সময় চীনা মুসলমানদের দূর্দশতার কথা শুনুন

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
৬৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×