somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেঁটে-টেটে গেছি

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমরাও হেঁটে-টেটে গেছি
জীবনানন্দের মত মিছেমিছি
সহস্র বছর না-হোক
সত্যিসত্যি হ্রস্বদূর
বাতাবিলেবুর ফুল
হয়ে ফোটে আমাদের হাঁটন-দুপুর
সুগন্ধদুপুর-ঘাস খেয়ে ফুলো
চারপেয়ে রোদ-শাবকেরা।

মনে পড়ে হাঁটাপথে
আমাদের মোরগ বিষয়
মাথার খোয়াড় খুলে দিলে
পালিয়ে গিয়েছে যারা
বহুদূর পড়িমরি করে
সহকারে পিতাবাদ এক আনকমন
বিষয়ের দীর্ঘ পুরোধাতে
সমস্ত মোরগ-পাশে
কখনো দেখিনি ঘোরে ছা’রা
আমাদের ‘হুশ’ শুনে
এসেছিলো তেড়ে মুরগিই
মোরগের কোনো কিছু যেয়ে আসেনাই !

আমরা হেঁটে গেছি ব্লিচিংপাউডারগন্ধী জোৎস্নায়
মায়ের নামাজের কাপড়-জোৎস্না
আদিগন্ত দড়িতে কেউ শুকোতে দিয়েছে
আমরা তার ভেতরে
বারবার খেয়ে গেছি পাক
শিশুমত সারারাত, রে কল্প দি টাইম মেশিন !

স্পষ্ট মায়ের শোক দানাদার মটরের থোকা
দিয়ে গেছি অচেনাকে,
দিন এনে তারা দিন খায় !

পারমাণবিক-হেঁটে
আমরা আরো গেছি অনবদ্য বনে
বন্দুকের দুধ খেয়ে
দুর্দান্ত বাড়ে সেথা বাঘছানাগুলো
বুড়িগঙ্গা ধরে যায় সেই দুধ, চুরি করে খেয়ে
ঘুমিয়েছি আমরাও,
ফাটিয়েছি শিমুলফল-মাথা
কি’যে ঘোর আনন্দ আছে তুলা ওড়ানোতে !

ওরকম ঘোর-শোরে হেঁটে গেছি আরো আরো দূরে
চায়ের দোকান মেখে খেয়ে ফেলে স্লাইস স্লাইস রাত
খাবার মধ্যখানে রমণীয় দু’টো-একটি চুল-
মুখে আটকালে তুলে বোনপ্লেটে করেছি বেহাত

বাদুড়ের সাদা-ঘুমও আমরা শুয়েছি আড়াআড়ি-
তারপর- উর্বর বীজতলা দেখি গেছি হয়ে
আমাদের বুক চিরে গজিয়েছে আ্যমোনিয়াফুল
ফুলের বর্ণবাদে আলোচনা নেই তবু আমাদের লয়ে

আলোচনা হলেও যে আমাদের ছেঁড়া যেত কিছু
উঁহু, তাও নয়। তবে কেন চাওয়া এতো ?
ক্রুদ্ধ চোখের নিচে কতগুলো ঈমানদার ক্ষেত-
রুটিগন্ধা ট্রেন হয়ে রওনায়, জানা হয়ে যেত !

হেঁটে গেছি আমরাও
জীবনানন্দের মত
কথার কথা সহস্র বছর না-হোক
মোদ্দাকথাদূর তো নিশ্চয়ই
বৃষ্টির স্তন ফোলা
আমাদের পদক্ষেপ জমে
যে-দিকে হাঁ-করে আছো
ঘোড়ামত স্তন্যপায়ী কাঠ
আমারও গর্ব হয়
ঘোর কাঠপিস দেখা নিয়ে !

আমরাও হেঁটে-টেটে গেছি
যেতে যেতে দু’চোখে মেখেছি
মানুষেরা ব্যর্থ লেবু-চা বালিমাটিতে এসেছে শুকিয়ে
পাখিরা ছদ্মনামে করে ওড়াউড়ি
প্রেম মাঝেমাঝে আসে সেইন নদী দিয়ে-
ভেসে ভেসে প্লাস্টিক বোতলের মত !

হেঁটে গেছি আমরাও
একদিন আমরা গিয়ে পৌঁছালাম
এক দ্বিধান্বিত সকালে—

সেখানে মাই-গড ঈশ্বর
উদিত সূর্যের মিঠে-লাল
তামাদি পূর্বের ব্যাবিলন
নাকি-বা এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল

কারা যে প্রধানত কুম্ভীর
ভাষাতে স্বর্গীয় পাতা-সুর
হাসিতে আমোদের তুকতাক-
ভিজিয়ে খেতে দেন কর্পূর

সমাধা নীল-মাছি উড়ছে
আলতো ঠোঁটে নিয়ে রোববার
আবার কুলি করে বলছে
ও-হ্যালো, মোবারক জুম্মার

এভাবে খুলে বেড়ে যাচ্ছেই
দেখিকি শত হোলি-পৃষ্ঠা
হরফ-ব্ল্যাকহোলে ঘুরছে
এক আপেল-সকালের নিষ্ঠা

আপেলে আমি বড় আবেগী
মাছিও প্রেমী সেই চোস্তের
যদিও মাছিদের মহাড়ৎ-
নকশী-কাটা স্থানে গোস্তের !

হেঁটে গেছি আমরাও
আমরা মূলত এসব ভেবে যাইনি যে—
আমাদের করতে হবে
ভিটেমাটির খোঁজ
কোথাও আমফুলের বুক থেকে
দরজা খুলে বেরিয়ে আসবেন আম্মা
রাঁধবেন শুকতারা-চালের ভাত
নাগরিক দেয়াললিখন থেকে
অমরত্ব-ফেরজন্মমাছ
আমাদের উপর লাফিয়ে পড়লে
আমরা দাঁড়িয়ে হেসে নিয়েছি ঠা-ঠা করে
আমাদের সামনে
বেহালাবাদকের ঘ্রাণের ওপর বসেছিলো
একটি চুপচাপ প্রজাপতি
আমরা যাকে উড়িয়ে দিয়েছি তার রঙমিস্ত্রি দোষে
আমরা সুখী ছিলাম ?
ছিলাম দুখী ?
বাজে কথা, আমরা ছিলাম না কিছুই
বা নেই !

হেঁটে গেছি আমরাও
আমরা মানে— আমি আর পথ
নির্বাণের কাক এক
আমাদের সামনে ওইতো
আধভেজা ব্রেসিয়ার শোঁকে ।

২৬-১-১৯
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×