অনেক দিন আগে একটা ১শত বছর পুরনো বট গাছের মগডালে একটা ৫হাজার বছর বয়সী আসম্ভব ভয়ঙ্কর বিধবা মা ভূত এবং তার চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম ভয়ঙ্কর একটা বাচ্চা ভূত বাস করত।
একদিন ভর দুপুরে মা ভূতটা ফ্রিজ থেকে গত সপ্তায় আনা ফ্রোজেন হাতিটা বের করে রান্নাডালে বসে কেটেকুটে সেটা রান্না করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আর বাচ্চা ভূতটা তার পাশে বসেই দুইটা মানুষের কঙ্কাল পুতুল নিয়ে ঘাড় মটকা মটকি খেলছিল।
খেলার মাঝখানে হঠাৎ বাচ্চা ভূতটার মনে হল গাছের নিচ দিয়ে মানুষের মত কিছু একটা হেটে যাচ্ছে। ভয়ে ভয়ে সে নিচের দিকে তাকাতেই দেখল যে গাছের নিচের ছোট ছোট গাছগুলি নড়াচড়া করছে, তার পাশ দিয়ে মানুষ আকৃতির লম্বা কালো একটা ছায়া বিদ্যুৎ গতিতে ছুটে গেল।
ভয় পেয়ে সেই বাচ্চা ভুতাটা ''মানুষ মানুষ'' বলে চিৎকার করতে করতে রান্নাডালে ছুটে গিয়ে মা ভূতটাকে ঝাপটে ধরল। মা ভূতটা কি হয়েছে জিজ্ঞাস করতেই সে ভয়ে হাপাতে হাপাতে বলল-
-মা মা আমি এখন একটা মানুষ হাইটা যাইতে দেখলাম
এই শুনে তার ভয়ঙ্কর ভূত মা রেগে গিয়ে কানাপট্টি বেড়ায়া ঠাডায়া এক থাবড়া দিয়ে বলল,
-তোরে আমি কইছি না, এই দুনিয়ায় মানুষ বলতে কিচ্ছু নাই। সব তোর মনের শয়তানি কাউয়ার বাইচ্চা কাউয়া...
যা এখন চোখের সামনে থাইকা
বাচ্চা ভূতটা কাদতে কাদতে সেখান থেকে চলে গেল।
অতঃপর ভয়ঙ্কর মা ভূতটা বালতি দিয়ে ঝোল তুলে আপন মনে হাতি তরকারির লবন টেস্ট করতে লাগলো, আর বাচ্চা ভূতটা কঙ্কাল পুতুল গুলো নিয়ে ঘাড় মটাকা মটকি খেলতে খেলতে একসময় কান্না ভুলে গেলো...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




