
কথা ছিল ১০ তারিখের সমাবেশের পর থেকে দেশ খালেদা জিয়া চালাবে। কিন্তু দশ তারিখ পার হলেও দেশ খালেদা জিয়ার হুকুমে চলছে না। মনে হচ্ছে কথাটা কোন পাগলা আদমী বলেছে। একাত্তরে পাগলা আদমী বলতো দেশ স্বাধীন হলে দেশ ভারত নিয়ে নিবে। সুতরাং দেশ স্বাধীন করে লাভ নাই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন দেশ ভারত নেয় নাই, তখন পাগলা আদমী বলল, পঁচিশ বছরের চুক্তি হয়েছে। পঁচিশ বছর পর দেশ ভারত নিয়ে নিবে। পঁচিশ বছর পার হওয়ার পর দেশ যখন ভারত নেয় নাই পাগলা তখন নির্বাক। তারপর জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিল। তারপর পাগলা বলল, আওয়ামী লীগ থাকলে ইসলাম থাকবে না। জনগণ আবার আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরালো। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাড়িয়ে যারা ক্ষমতা পেল তারা জনগণকে বিরক্ত করলো। সুতরাং আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতা পেল। এখন পাগলা আদমী বলছে, আওয়ামী লীগ থাকলে ব্যাংক থাকবে না। কিছু জনগণ তাতে ভয় পেল। তারা আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরাতে শুরু করলো। তারা সফল সমাবেশ শুরু করলো। পাগলা আদমী বুঝলো হিসাব ঠিক আছে, সেজন্যই পাগলা আদমী বলল, ১০ তারিখের সমাবেশের পর থেকে দেশ খালেদা জিয়া চালাবে। কিন্তু এবার আর হিসাব ঠিক হলো না। দেশ খালেদা জিয়ার হুকুমে চলছে না
আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে হবে। সেজন্য রাসেলকেও হত্যা করা হলো। কিন্তু রয়ে গেলেন, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। অত:পর পাগলা আদমী শেখ হাসিনাকে পথের কাঁটা মনে করলো। তারা মনে করলো শেখ হাসিনাকে শেষ করলেই রাস্তা পরিস্কার। পাগলা চেষ্টা করলো, কিন্তু সফল হলো না। এখন শেখ হাসিনার পরেও আছেন অনেক অনেক জন। তথাপি পাগলের মনে বোধ মানে না। এরে কামড়ায় তো ওরে কামড়ায়। এভাবেই চলছে পাগলের কান্ড।
গণতন্ত্রে বিশ্বাস থাকলে পঁচাত্তরের হত্যাকান্ডের দরকার ছিল না। আওয়ামী লীগকে সরিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন করলেই হতো। তাতে আওয়ামী লীগ জিতলে তাদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিলেই হতো দেশ প্রেম। পাকিস্তান আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিলে সেটা হতো দেশ প্রেম। কিন্তু তা’ না করে তারা হানাদার হলো। পাগলা আদমী হানাদারের পক্ষ নিলো। পাগলা বলল, স্বাধীন হলে দেশ নাকি ভারত নিয়ে নিবে। সেই পাগলা এখন খালেদা জিয়ার সাথে আছে। সেজন্য তারা বলে দিল দশ তারিখের পর দেশ খালেদা জিয়া চালাবে।
আমরা মনে করেছি পাগলা বুঝি তলে তলে সব গোঁছগাঁছ করেই খালেদার ক্ষমতা লাভের কথা বলেছে। এখন দেখি পাগলা দাঁত কেলিয়ে হাঁসছে আর বলছে সরকার ভয় পাইছে। সরকারকে ভয় দেখালে জাতির কোন উপকারে লাগে? প্রধানমন্ত্রী বললেন, মারতে আসলে হাত ভেঙ্গে দিবেন। সুতরাং সরকার ভয় পায় নাই।
পাগলার কাজ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার। অতীতে তারা এমন বহু মাছ শিকার করেছে। জনগণ সাবধান না হলে তারা ভবিষ্যতেও ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে। তবে এখন মনে হয় জনগণের গুজবে কান দেওয়ার মাত্রা কমেছে। এটা শূণ্যের কোটায় পৌঁছা দরকার। নতুবা জাতির উন্নয়নে এটা বাধা হয়ে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


