
সহিহ বোখারী ৭ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পাঁচটি ভিত্তির উপর ইসলাম প্রতিষ্ঠিত। ১। সাক্ষ দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল ২।সালাত কায়েম করা ৩।জাকাত দেওয়া ৪। হজ্জ ৫। রমজানের রোজা রাখা।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* ম্যাজেঞ্জার মহানবির (সা.) ম্যাসেজ অনুযায়ী কোন দেশের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে ইসলামের পাঁচ ভিত্তি মজবুত থাকলে সেদেশে ইসলাম কায়েম হবে। আল্লাহ জানতেন এমন স্থান ইয়াসরিব। সেজন্য আল্লাহ মহানবিকে (সা.) ইয়াসরিবে (মদীনায়) হিজরত করতে আদেশ করলেন। মহানবি (সা.) যখন মদীনায় ইসলাম কায়েম করলেন তখন মদীনার সর্ববৃহৎ দলের মাঝে ইসলামের পাঁচ ভিত্তি মজবুত ছিল। তখন মহানবি (সা.) তাঁর মদীনার রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব দিলে কেউ বিরোধীতা করেনি। কারণ তখন তাঁর বিরোধীরা বুঝেছে তখন তাঁর বিরোধীতা করে মূলত কোন লাভ নেই। সেজন্য মহানবি (সা.) সর্বসম্মতিক্রমে মদীনার রাষ্ট্রপতি হলেন। পরে তাঁর বিরোধীরা তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে তাঁর শত্রুদেরকে ডেকে আনে। তারা মহানবির (সা.) সাথে পরাজিত হওয়ার পর মহানবি তাঁর মদীনার শত্রুদেরকে একে একে নির্মূল ও বিতাড়িত করেন। পরে তাঁর মদীনা একটা সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। মূলত ইসলাম প্রতিষ্ঠার এটাই নিয়ম।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে ইসলামের পাঁচ ভিত্তি মজবুত হওয়ার পর এখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জিহাদ শুরু হবে। তার আগে এখানে জিহাদ হলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দলের মাঝে ইসলামের পাঁচ ভিত্তি মজবুত করার জিহাদ। ইসলামের পাঁচ ভিত্তি বাংলাদেশের ৫% লোকের মাঝে মজবুত নয়। সুতরাং এখানে এখনো ইসলাম প্রতিষ্ঠার জিহাদের সময় শুরু হয়নি। আর সময়ের আগে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য লোকেরা যা করছে এটাকে জিহাদ বলা যায় না। কারণ ইসলাম প্রতিষ্ঠ হবে ইসলামের নিয়মে। কোন লোকের মনগড়া নিয়মে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে না। যারা বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম করতে চায় তারা বাংলাদেশের জনগণের সর্ববৃহৎ দলে পরিণত হোক। তাদের মাঝে ইসলামের পঞ্চভিত্তি মজবুত হোক। তখন যদি সে দল এদেশে ইসলাম কায়েমের ঘোষণা দেয় তবে তখন তাদেরকে কেউ প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসবে না। তখন শান্তিপূর্ণভাবেই ইসলাম কায়েম হবে। তার আগে ইসলাম কায়েমের জিহাদ হলো ইসলাম পরিপন্থি চেষ্টা যা জিহাদ হিসাবে নয়, বরং জঙ্গিবাদ হিসাবে অবিহিত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ২:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


