
জনগণের গণতন্ত্র হলো, আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশী তাকে দেব। বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র হলো, আপনাদের ভোট আমরা দেব যাকে খুশী তাকে দেব। নির্বাচন কমিশনের গণতন্ত্র হলো, যার ভোট যে দেন যাকে খুশী ভোট দেন। কিছু জনগণের গণতন্ত্র হলো, টাকা দিবে যেই জন ভোট পাবে সেই জন।
বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া ও তাতে টিকে থাকার তন্ত্র হলো তাদের গণতন্ত্র এবং তাদের বিরোধী পক্ষের ক্ষমতায় যাওয়া ও তাতে টিকে থাকার তন্ত্র হলো সৈরাচার। ক্ষমতা পাওয়ার জন্য তাদের নিকট তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদরের ধন। ক্ষমতা পেয়ে যাওয়ার পর তাদের নিকট তত্ত্বাবধায়ক সরকার মহাশত্রু। এখন বিএনপিকে ক্ষমতা পেতে হবে সেজন্য তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় যদিও এককালে তারা এটার বিরোধী ছিল। এভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিবীদরা হলো গিরগিটি রাজনীতিবীদ। এরা ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। জনগণ যে গণতন্ত্র চায় তা’ উক্ত তিন দলের কোন দল চায় না। সেজন্য জনগণ এখন গণতন্ত্রের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছে।
বিএনপি এখন গণতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না করছে। আওয়ামী লীগ কোন ক্রমে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হলে তারাও আবার গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করবে। নূর হোসেনরা জীবন দিয়ে গণতন্ত্র আনবে, এরা গণতন্ত্র পেয়ে সৈরতন্ত্র কায়েম করবে। তো এদের খায়েশ মিটাতে জনগণ কতবার জীবন দিবে? এককালের সৈরাচারী বিএনপি এখন কোন গণতন্ত্রের জন্য গণআণ্দোলন কামনা করে? যে গণতন্ত্রকে তারা বার বার লাথি মেরেছে সে গণতন্ত্রের জন্য তারা গণআন্দোলনের দাওয়াত দিলে তাদের সে দাওয়াত জনগণ কেন গ্রহণ করবে? সুতরাং ক্ষমতা যাদের দরকার সরকারের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করুক। তাদের কথা শুনার মত জনগণের কোন টাইম নাই।
জনগণের নিরবতায় সরকারের বেশী খুশী হওয়া ঠিক নয়। কারণ দেয়ালে পিঠ ঠেঁকে গেলে জনগণ একটা মোছড় দিবে। তখন জনগণের মনভাব হবে কে ক্ষমতা পায় তা’ দেখার টাইম নাই। আগে তো তোমরা বিদায় হও। এমন কোন ঘটনায় যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হয় তাহলে তারা আবার সহজে ক্ষমতায় ফিরতে পারবে বলে মনে হয় না। কারণ বিরধী দলের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতি চিরকাল কঠিন। এখানে গিরগিটির মত গণতন্ত্র সৈরতন্ত্রে রূপ বদলায়, এটাই মহাসমস্যা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


