
বঙ্গবন্ধু যে চোরের খনির জন্য আতংকিত ছিলেন সেই চোরের খনির জন্য এখন জাতি আতংকিত। এরা মজুতদারী করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে নিয়ে যায়, ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে ব্যাংকগুলোকে দেওলিয়া বানানোর চক্রান্ত করছে। সুতরাং সরকারের জন্য এখন মেঘাপ্রকল্প হলো এদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে সুরক্ষা প্রদান। এ প্রকল্পে সরকার সফল হতে না পারলে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ মোচড় দিতে পারে। জনগণ এখন কিছু বলছে না এরমানে জনগণ সরকারকে সময় দিচ্ছে। এরপর জনগণের ধৈর্যে্র বাঁধ ভেঙ্গে গেলে সরকারের বিরুদ্ধে জনস্রোত সৃষ্টি হলে সে স্রোতে সরকার ভেসে যাবে।
জনগণ ঘরে থাকলে সরকার ক্ষমতায় থাকবে। জনগণ ঘরছেড়ে বেরিয়ে আসলে সরকারকে বিদায় নিতে হবে। শ্রীলংকায় কিছু দিন আগে এমন ঘটনা ঘটেছে। সরকার বলছে একদা বিএনপির বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে। তো কথা হলো যে ঘটনা বিএনপির বিরুদ্ধে ঘটেছে সে ঘটনা সরকারের বিরুদ্ধেও ঘটতে পারে। সরকার কি বুঝাতে চায় তাদের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটা নাজায়েজ নাকি? বাস্তব সত্য হলো জনজাগরণ কারো ক্ষেত্রে না জায়েজ নয়। সেজন্য সময় থাকতে সাধন করতে হবে। সময় গেলে সাধন হবে না। তখন দৌড়ের উপর থাকতে হবে। জাতির সেবা করে দৌড়ের উপর থাকা দুঃখ জনক। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটুক কোন দেশপ্রেমিকের এটা কাম্য নয়। দেশ-প্রেমিক জনতা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের শুধু সাফল্যই দেখতে চায়। দেশ-প্রেমিক জনতা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের অক্ষমতা দেখতে পেলে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে দু’বার ভাববে না। কারণ দেশ প্রেম অহেতুক কারো প্রেম নয়। জনতার প্রেম-ভালোবাসা পেতে হলে দেশ ও জনতার জন্য কাজ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা আওয়ামী লীগের একুশ বছর ক্ষমতা থেকে নির্বাসন ঠেঁকাতে পারেনি। জিয়ার ভালোবাসার পরেও বিএনপির ষোল বছরের নির্বাসন চলছে।জাতীয়পার্টি তো মনে হয় বত্রিশ বছরের নির্বাসনের পর এখন বিলুপ্তির পথে রয়েছে। সুতরাং অন্যের জনপ্রিয়তা ভেজে খাওয়ার বদলে রাজনৈতিক দল সমূহের নিজস্ব গুণ দেখানোর সময় এখন।
একটা টিভি চ্যানেলের নাম দেখলাম ‘এখন’। হ্যাঁ এখন সরকার দেখাবে তারা জাতির জন্য ঠিক কি করতে পারে। আর বিরোধী দল সমূহ বলবে তারা এখন জাতির জন্য কি করতে পারবে। ‘লুটেরা দমন প্রকল্প’ এর পিপি উপস্থাপন করুক বিএনপি। পিপি পছন্দ হলে হয়ত জনগণের একটা অংশ বিএনপির পক্ষে যাবে। আর সকারের কাজ শুধুই লুটেরা দমন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন। সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অক্ষম হলে জনগণ এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব বিএনপিকে দিলেও দিতে পারে। আর তেমন সময় যদি হয় তাহলে জনগণ বিএনপির পক্ষে এবং সরকারের বিপক্ষে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। তখন এত্ত বিপুল সংখ্যক জনগণকে সামাল দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না। কথাটা যেন সরকারের মনে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


