
সবচেয়ে নিরাপদ ব্লগিং-
সবচেয়ে নিরাপদ ব্লগিং হলো- অবোলোকন। ব্লগে প্রবেশ করে সব কিছু দেখবেন। কিচ্ছুটি বলবেন না। বেশ আপনি নিরাপদ। কেউ আপনাকে কিছু বলবে না।
সহজ ব্লগিং-
মন চাইলে আপনি কোন পোষ্ট পড়তে পারেন। ঘটনা এ পর্যন্ত। এর পর আর কিছুই করবেন না। যাদের পোষ্ট আপনি পড়লেন আপনি তাদের দোয়া পাবেন।
কিছুটা কঠিন ব্লগিং-
পোষ্ট পাঠ করে তাতে লাইক দেওয়া কিছুটা কঠিন। কারণ কোন কোন পোষ্টে লাইক দেওয়ার কারণে লোকে আপনাকে অবিবেচক ভাবতে পারে। যদিও যার পোষ্টে লাইক দিলেন তিনি খুশী হবেন। আর যার পোষ্টে আপনি লাইক দিলেন না তিনি আপনাকে লাইক সিন্ডিকেটের সদস্য ভাবলেও ভাবতে পারে। অনেক সময় বলা হয় আপনি আসলে মাল্টিনিক। আর মাল্টি হয়ে আপনি আসলে নিজেই নিজের পোষ্টে লাইক দেন।
একটু বেশী কঠিন ব্লগিং-
ব্লগে কোন পোষ্ট দেওয়া একটু কঠিন বটে। কারণ পোষ্ট দেওয়ার পর যদি আপনি দেখেন আপনার পোষ্ট কেউ পড়ছেনা। লাইক দিচ্ছে না। কোন ভালো মন্তব্য করছে না। মন্তব্য করলেও সে মন্তব্য আপনার হৃদয় এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়। এমতাবস্থায় আপনি মানসিকভাবে আহত হবেন।
সবচেয়ে বেশী কঠিন ব্লগিং-
লাইক ও ভালো মন্তব্য পাওয়ার জন্য অনেক অনেক পরিশ্রম করে পোষ্ট দেওয়া সবচেয়ে বেশী কঠিন ব্লগিং। এতে প্রচুর লাইক ও মন্তব্য পাওয়া যায়। আর মন্তব্যের জবাব দিতে দিতে জীবনটা ভাজা ভাজা হয়ে যায়। এরপর সৌজন্য বশত যাদের লাইক ও মন্তব্য পাওয়া যায় তাদেরও একটু খোঁজ খবর রাখতে হয়।
মহাকঠিন ব্লগিং-
মডু অবশেষে যে কাজের কথা বলেছেন, অর্থাৎ বিভিন্ন কেটাগরিতে সেরা ব্লগার মনোনয়ন। এবার কি করতে হবে? পড়ে পড়ে সব ব্লগারের ব্লগিং মনোযোগ সহকারে অধ্যায়ন। এরপর তাদের ব্লগিং মূল্যায়ন করে মনোনয়ন প্রদান। এ কাজে একসাথে ছাত্র এবং শিক্ষক হতে হয়। ছাত্র জীবনে ইস্তফা দিয়ে মনটা অনেকটা হালকা হয়ে ছিল। এরপর পরীক্ষার খাতা মাঝে মধ্যেই কায়দা করে অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বড্ড বাঁচা বেঁচে যাই। আর এখন মডু কায়দা করে একসাথে ছাত্র-শিক্ষক বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
ব্লগারগণ যত অভিজ্ঞ হন তত তাঁরা সবচেয়ে নিরাপদ ব্লগিংয়ে আত্ম নিয়োগ করেন। তবে যাদের ঘরের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানোর ব্যাধি রয়েছে তারা কঠিন থেকে কঠিনতর ব্লগিংয়ের পথে হাঁটে। আহাহা ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু একজন কঠিন ব্লগার ছিলেন। এরজন্য তাঁকে অনেক হেয়নেস্ত হতে হয়েছে। তাঁর এ ত্যাগের জন্য ব্লগারগণ এখন তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। কিন্তু তাঁর এ প্রাপ্তির ঢল তিনি ভোগ করছেন না। সেজন্য বুদ্ধিমান ব্লগাররা ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরুর তরিকা অবলম্বন করছেন না।
ব্লগিং করে আমিও জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি। সেসব হিসাব করতে করতে আমার অনেক সময় কাটে। হ্যাপি ব্লগিং- অনেকেই নতুন ব্লগারদেরকে উৎসাহ দিতে বলে থাকেন। এরপর ব্লগিং করে কে কতটা হ্যাপি হতে পারে সেটা সেই বুঝে। ব্লগার রাজীব নূরকে একজন হ্যাপি ব্লগার বলে মনে হয়। যদিও অনেক ব্লগার তাঁকে পোড়া মরিচের মত অনেক টালা টালেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



