
বছর শেষ এবং শুরুর বিষয়ে খেয়াল রাখছিলাম। অতঃপর যা দেখলাম সেটা হলো, শূন্যের পোষ্ট দিয়ে বছরটা শেষ হয়ে গেল। যদিও বছরটি মোটেও চিন্তা শূন্য ছিল না। হঠাৎ করে বিএনপি বলে বসলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাবেন, নগদ প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাবেন না। তাতে আতংকিত সরকারী দল পাহারা বসালো। এমন পরিস্থিতির কারণে জাতির মাঝে ক’দিন টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। অবশেষে কোন ঘটনা ছাড়াই শূন্য সারমর্মে বছরটা শেষ হলো।
বছর শেষ হতে না হতেই গেঁয়ো ভূতের শুভেচ্ছার পোষ্ট দিয়ে নতুন বছর শুরু হলো। আর এটা মহাজাগতিক চিন্তার মহাচিন্তার কারণ হলো। কে জানে কোন ভৌতিক কান্ড এবছর ঘটে? মহাউৎসাহে সরকার বিরোধীরা যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। সরকারী দলও সতর্ক পাহারায় রয়েছে যেন ক্ষমতার লাল ঘোড়াটা কেউ আবার লুট করে না নিয়ে যেতে পারে। পঁচাত্তরে এমন ঘটেছে। আচমকা ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়ে গেল। তারপর আবার সেসময়ের সরকারী দল একুশ বছর পরে ক্ষমতা পেল। এখন তের বছর তাদের ক্ষমতা চলমান রয়েছে। আবার ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে এরা আবার কবে ক্ষমতা ফিরে পায় বলা মুশকিল। সেজন্যই তারা রাজপথ পাহারায় আছে।
এদেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে নতুন ক্ষমতা ধরেরা দেশের সব কিছু পাল্টে ফেলতে চায়। তবে তারা আর যাই হোক জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না। সেজন্যই জনগণের কেউ কেউ ক্ষমতার পটটরিবর্তন চায় না। অবশ্য ক্ষমতার পটপরিবর্তনে ক্ষমতাসীনদের ভাগ্যের যথেষ্ট পরিবর্তন হয়। সেজন্য তারা যেকোন মূল্যে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকতে চায়। তারা কোনভাবেই ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। একদল ক্ষমতা ছাড়তে চায় না, অন্যদল ক্ষমতা কেড়ে নিতে চায়। এ নিয়ে চলে মল্লযুদ্ধ।
আমরা সুবোধ জাতি, অবোধ জনগণ। অভাব আমাদের সবচেয়ে বড় ধন। জাতীয় কবি বলেছেন, নাই নাই নাই। রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের কোন দলের কোন বিবেক-বোধ নাই। কে কারে মেরে খাবে এ চিন্তা খুব। লুট-পাটে মহাপটু লুটেরাদের সব। সামনে সুদিন হবে নেই তার আশা। সবসুখ কেড়ে নেয় চিন্তা সর্বনাশা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



