
কোন দলের জাতীয় সংসদের দুইশ’র বেশী আসনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হলে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য কমপক্ষে একশত জন হবে। আর তখন জাতীয় সংসদের অধিবেসন জমজমাট হবে। আর তখন সরকারের কাজের জমজমাট সমালোচনা থেকে সরকার তাদের ভুল সংসোধনের সুযোগ পাবে। আর সব আসনে সব দলের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলে বিরোধীদল মুক্ত জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ারও সুযোগ থাকবে।
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে অধিকাংশ সময় নামমাত্র বিরোধীদল পাওয়া গেছে। আর নামমাত্র বিরোধীদল বিশিষ্ট জাতীয় সংসদের প্রতি জনগণের আগ্রহ ছিল না। জনপ্রতিনিধি বিশিষ্ট জাতীয় সংসদের প্রতি জনগণের আগ্রহ না থাকেলে বিষয়টা কেমন হয়? যদি কোন রাজনৈতিক দল মনে করে এইবার কোন আসনে তারা অংশগ্রহণ না করায় সেই আসনে তাদের সমর্থকগণ দলীয় সাংসদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাহলে পরের বার তারা আগেরবার অংশগ্রহণ না করা আসনে অংশগ্রহণ করবে এবং আগেরবার অংশগ্রহণ করা একশত আসনে পরের বার অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে।
কোন কোন রাজনৈতিক দল সকল আসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে একটি আসনও পায় না। বিষয়টা বিরক্তিকর।নতুন পদ্ধতি চালু হলে এমন বিরক্তিকর দলের একশত প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে জাতি রক্ষা পাবে। আর যে দল যে আসনে জামানত হারাবে সে দলের সে আসনে পরেরবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ থাকতে হবে।আর যে স্বতন্ত্র প্রার্থী একবার জামানত হারাবেন তাঁর জন্য বাকী জীবন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে হবে। কেউ সখের বসে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সেটাকা জনহিতে ব্যায় করলে মানুষ উপকৃত হবে।
অনেকে আবেগের বসে নির্বাচনে প্রার্থী হয়। তাদের জনপ্রিয়তা না থাকায় তারা হাস্যকর বিবেচিত হয় এবং এতে তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। এমন হাস্যকর কাজ বার বার করার সুযোগ থাকা ঠিক নয়। কারণ মানুষের সহ্যেরও একটা সীমা থাকে। সখের বসে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে অহেতুক জনগণের কান ঝালাপালা করবে, এমনটা হতে দেওয়া ঠিক না। সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে একটা একটা করে বেঠিক কাজ অপসারন করতে হবে। তাতে সমাজ ও রাষ্ট্র আরো উন্নত হবে। জাতীয় সংসদের মত এমন একটি সুন্দর স্থানের পরিবেশ আরো সুন্দর করতে বিজ্ঞজনদের চিন্তা-চেতনা আরো চমৎকার করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



