
চেতনার গোডাউন আওয়ামী লীগ অপশক্তির হাত থেকে রেহাই পায় নাই। জাতির পিতা, মাতা, কাকা, ভাত্রা-ভাবী ও তাদের বান্ধব- স্বজনদেরকে অপশক্তি হত্যা করলেও তাদের হত্যার বিচার হয় নাই। কারণ জনগণ অচেতন ছিল।তারা এমনই অচেতন ছিল যে তাদের চেতনা ফিরতে একুশ বছর লেগে ছিল। পাঁচ বছর পর জনগণ আবার অচেতন হয়ে আট বছর থাকে। আবারও জনগণ অচেতন হলে তাদের চেতনা ফিরতে বহু সময় লাগবে বলে ধারণা করা হয়।
জাতির ভগ্নি অপশক্তির দত্তিকে বোতল বন্দী করে রেখেছেন। তারা এখন ফুঁসছে। এতে কোন রকমে বোতলের ছিপি খুলে বেরিয়ে আসলে আর রক্ষা নাই। তখন ভয়ে জাতি চেতনা হারাবে। তখন তারা আর জাতির কাকে হত্যা করবে বলা মুশকিল। কুল কুল কুল। ঠান্ডার কোন বিকল্প নাই। অপশক্তি ঠান্ডা রাখ। বোতলের ছিপি শক্তভাবে সেঁটে রাখ। লাঞ্চনা দূরিভূত কর। বঞ্চনাকে দেশ ছাড়া কর। আশার ফূলঝুরি ছড়িয়ে দাও। আর এভাবে চেতনাকে চাঙ্গা রাখ। যেন তা’ হয় নাঙ্গা তলোয়ারের মত। তাহলেই আওয়ামী লীহের ক্ষমতার ভীত হবে গ্রানাইটের মত শক্ত।
কিন্তু না! আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভীত যেন টলছে। জাতির অন্তর-আত্মা যেন কাঁপছে। অপশক্তি হাসছে। নেপথ্যে তাদের পদধ্বনী শুনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বলছে তারা আসছে। তারা যেন বলছে, খামুস! জাতিকি একলা আওয়ামী লীগ? কেউ কেউ ভয়ে ভয়ে বলছে, জি জনাব! আমরা শুনছি। তারা মনে হয় সেটাই বলছে। ভুল ভুল ভুল! আমরাই জাতি। আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল। এ নবচেতনা জাগ্রত কর। পুরনো চেতনার চোখে তখন ঘুম ঘুম ভাব। তাহলে পুরনো চেতনা ঘুমে অচেতন হয়ে নবচেতনা জেগে উঠবে কি? সেটা সময় বলবে। তার আগে আওয়ামী লীগকে জাতীয় সেবার মান বাড়াতে হবে। জাতীয় সেবা ছেড়ে দলীয় সেবায় ব্যস্ত থাকলে চলবে না। জনসেবার ঠেলায় জনগণ যেন চিৎকার-চেঁচামেচি না করে সেদিকে আওয়ামী লীগের খেয়াল থাকতে হবে।
আয় বাড়াও ব্যয় কমাও, জনগণ বলে। আওয়ামী লীগ পারছে না, নাকি করছে না? জনগণ যদি ভাবে দেখি ওরা পারে কিনা? এরপর জনগণ যদি ওদের সহায়ক হয়। তাহলে কোথায় থাকবে জাতি আর কোথায় থাকবে চেতনা? তখন এসব ডুবুরী নামিয়ে সাগরের তলায় খুঁজতে হবে। এদিকে ওরা ক্ষমতা কেড়ে নিবে। অতীতে ওরা ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। সেই তামশা আওয়ামী লীগ একুশ বছর চেয়ে চেয়ে দেখেছে। তখন জাতির জনক হয়েছে স্বাধীনতার স্থপতি। তারা জনগণকে বুঝালো এর আর এমন কি? এখন সে নেই। সুতরাং এখন আর তার ভাবনার দরকার নেই। যখন তারা বল হারালো। আর বল পেল আওয়ামী লীগ। তখন আওয়ামী লীগ তাদেরকে গোল দিল। আর তখন আওয়ামী লীগ বলল, জাতির পিতার ভাবনার দরকার আছে। বেশ এখন জাতির পিতা শোভা পাচ্ছেন সকল স্থানে। এদেখে তারা ফুঁসছে। আবার তারা ক্ষমতা পেলে জাতির পিতার ভাবনা বেদরকারী ভাবনায় পরিণত হবে। এখন তবে আওয়ামী লীগ কি চায়? তারা তাদেরকে থামিয়ে রাখতে হলে জনতার লাঞ্চনা, বঞ্চনা ও হতাশার প্রতিকার করতে হবে। ইউ বিলিভ অর নট, এটাই পরম সত্য। এটা যদি আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে তবে জয় বাংলা ঠিক থাকবে। নতুবা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ হবে। এতে আবার কি ক্ষতি? এটা পাকিস্তান জিন্দাবাদের সাথে মিলে। এতে পাকিস্তান পন্থীরা মন্ত্রী হয়। আর আওয়ামী লীগ তা’ অসহায়ভাবে চেয়ে চেয়ে দেখে। সুতরাং আওয়ামী লীগের মঙ্গলের জন্যই তাদেরকে জনসেবার মান আরো উন্নত করতে হবে। আমার ভোট আমি দিব-যাকে খুশী তাকে দেব, জনতার এ ইচ্ছা বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সাহসী হতে পারবে কি? জনগণ তাদের এ সাহস দেখতে চায়। ছাঁই দিয়ে মাছ ঢেকে আওয়ামী লীগ কতকাল টিকে থাকতে পারবে? সুতরাং বলি বাচা পথে এস। নতুবা বিভ্রান্ত হয়ে ক্ষমতার পথ হারাবে। তারপর তা ছুঁজে পেতে আবার অনেক সময় লাগবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



