দেশে রেমিটেন্স বেশী আসছে নাকি দেশথেকে বেশী বৈদেশিক মূদ্রা পাচার হচ্ছে সেই হিসাব সরকারকে রাখতে হবে। মেঘাপ্রকল্পে টাকা ঢেলে খাবর কিনার টাকা না থাকায় দূর্ভিক্ষ হলে জনগণ সরকারকে দোষারফ করবে। কারণ জনগণ সবার আগে খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে চায়। জনগণ না খেয়ে মরলে তারা উন্নয়ন দিয়ে কি করবে? কে যেন বলে ছিল, ভাতদে হারামজাদা, না হয় মানচিত্র চাবায়ে খাব। জনগণ না খেয়ে মরলে চেতনার জারিগান দিয়ে জনরোষ থামিয়ে রাখা যাবে না। সুতরাং সরকারকে যা করার সময় থাকতে করতে হবে। সময় গেলে সাধন হবে না। ব্যাংকে লালবাতি জ্বললে পাবলিকের মাথা গরম হবে। তখন, আমি কি অর্থনীতি পড়েছি নাকি, অর্থনীতিতে লালবাতি জ্বললে আমি কি করব বললে হবে না। তখন জনগণ বলবে, এটাই যদি না পারবি তবে ক্ষমতা নিলি কেন? তখন জনগণের কথার উত্তর কি হবে? সুতরাং ক্ষমতা যখন নিয়েছে তখন সরকারকে তার কাজ করতেই হবে। সরকারের অক্ষমতা জনগণ ক্ষমা করবে না। ৭৪ সালে জনগণকে বলতে শুনেছি, শেখ মুজিব ভাষন দেয়, ভাত দেয় না। অতঃপর একুশ বছর ছিল আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষমতা না পাওয়ার ইতিহাস। আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আমলে আরেকটা দূর্ভিক্ষের মধ্যে জাতি পড়লে আওয়ামী লীগ কত বছরের জন্য ক্ষমতা হারায়, আল্লাহ মালুম।
রাজনীতি অক্ষমদেরকে ক্ষমা করে না। রাজনীতির নীতি হলো বীরদেরকে মান্য করা। বাংলাদেশের ৫১ বছরের ৩৩ বছর মেলিটারী ও তাদের পরিবারের শাসন চলেছে এবং আওয়ামী লীগের শাসন চলেছে ১৮ বছর। বহু দলের অন্যরা ছিল ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। বাকশালের পর আওয়ামী লীগ একাধারে ২১ বছর ক্ষমতা থেকে দূরে ছিল। সুতরাং বাকশাল আওয়ামী লীগের জন্য লাভ জনক হয় নাই। বহু দলকে সাথে নিয়ে মহাজোট করে আওয়ামী লীগ লাভবান হয়েছে।সুতরাং এদেশে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাদেরকেও সমিহ করতে হবে। ছাগলেরা সর্বভূক প্রাণী। তাদেরকে যা দিবেন তাই খাবে। সুতরাং যা পারেন দেন, তবু তাদেরকে সাথে রাখেন। তথাপি বিদেশীরা বুঝবে একদলীয় শাসন অন্তত হচ্ছে না।
একজন তন্ত্র খুব একটা ভালো তন্ত্র নয়। কথায় বলে দশেমিলি করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ। বাংলা প্রবাদগুলো রাজনীতি বীদদের নিকট এসে মুখ থুবড়ে পড়ে কেন বুঝতে পারি না। অনেক দেখেছি যারা রাজনীতি করে তারা পড়া লেখা করে না। সেজন্য এদের কাজ প্রবাদের সাথে মিলে না। এরা তো প্রবাদ পড়েনি তার সাথে তাদের কাজ মিলবে কেমন করে? সেজন্য এরা একএকি কাজ করে আর দোষারফে পড়ে। এক জনের জ্ঞান যত বেশী হোক তা অনেকের সম্মিলিত জ্ঞান থেকে কম। সেজন্য একজনকে অনেকের জ্ঞানকে মূল্যায়ন করতে হয়। মূল্যায়ন না করায় এদেশে জ্ঞানীগণ কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে। মূল্যায়ন করলে জ্ঞানীগণ কথা বলবেন এবং তাতে জাতি উপকৃত হবে। সব কটি জানালা খুলে দাও না। আবদ্ধ থেকো না। বায়ূ দোষণ ঘটবে। তাতে জাতি মারা পড়বে। জাতি মরতে থাকলে তারা সরকারকে ভালোবাসবে না। বুঝলে বুঝ পাতা আর না বুঝলে ত্যাজপাতা। ত্যাজপাতা হইলে পাবলিক রাইন্দা ফালায়ে দিবে কানইন্দা কুল পাবা না।অল্পস্বল্প গল্প করে বেশী বেশী কাজ করতে হবে। তাহলেই সবার মঙ্গল।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৭