somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনগণের একটি বড় অংশ কোন রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সম্পত্তি নয়

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একাত্তরে যারা ঘোরতর আওয়ামী লীগ ছিল চুহাত্তরে তাদেরকে আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করতে দেখাগেছে।দুই হাজার এক সালে যারা ঘোরতর বিএনপি ছিল এখন তাদের অনেককে বিএনপির পক্ষে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু নিজস্ব সম্পত্তি সব সময় নিজের থাকে। কিন্তু এ জনগণের অনেকেই অনেক সময় অনেকের নিজের থাকে না। এ কচুপাতার পানির মত টলটলে জনগণ বাকশাল গঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের পিছন থেকে সরে পড়ে। কি কারণে? কারণ বাকশাল তাদের পছন্দ ছিল না। সেজন্য রাজনীতিতে জনগণের মন বুঝে তাদের পছন্দের কাজ করতে হয়।

মিলিটারী আকাশ থেকে টুপ টুপ করে ঝরে পড়ে না। এরা জনগণের ঘর থেকেই বেরিয়ে আসে। হাতে অস্ত্র থাকায় এরা কোন বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। আর যাদের হাতে অস্ত্র থাকে না তারা অস্ত্রধারীদেরকে সমর্থন যোগায়। বাকশাল গঠিত হওয়ার পর অস্ত্রধারীদের যারা আওয়ামী লীগের সমর্থন ত্যাগ করেছে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পঁচাত্তরে বিদ্রোহ করেছে।সুযোগ বুঝে জিয়া তাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে। তারাই সিপাহী বিপ্লব সম্পন্ন করে জিয়ার হাতকে শাক্তিশালী করেছে। এন্টি আওয়ামী লীগরা তখন জনগণের আওয়ামী বিদ্রোহী অংশের সমর্থন পেয়েছে বিধায় তাদের নিয়ে দল করে জিয়া ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসে। তখন এন্টি আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী বিদোহীদের সিদ্ধান্ত হয় নৌকা ঠেঁকাও। তারা একুশ বছর নৌকা ঠেঁকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়।

বাকশাল ও চুয়াত্তর এখন অনেক দূরের গল্প। এসব গল্পে এখন আর নতুন প্রজন্মকে উত্তেজিত করা যায় না, সেজন্য একাত্তর ঐতিহ্যে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে এবং একাধারে একযুগের বেশী সময় ক্ষমতায় আছে।মিলিটারী মোট তেত্রিশ বছর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা বঞ্চিত রাখতে পেরেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ইস্যুতে কাজ হচ্ছে না বিধায় আওয়ামী বিরোধীদের বজ্রাহত বকের দশা ঘটেছে। তারা মাঝে মাঝে ঠোঁট নাড়ে তো মাঝে মাঝে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। এখন আওয়ামী লীগের কাজ আওয়ামী বিরোধী নতুন কোন ইস্যু যেন তৈরী না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা। কারণ জনগণের যে অংশ কোন রাজনৈতীক দলের অংশ নয় সে অংশটি আওয়ামী লীগের পিছন থেকে সরে গেলে আওয়ামী লীগ বিপদে পড়বে। এ ক্ষেত্রে শ্লোগান হচ্ছে, নেতা তুমি এগিয়ে চল আমরা নাই তোর পিছে।

আওয়ামী লীগ মনে করছে তারা ভালো কাজ করছে এমন হলে হবে না। আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করছে এটা জনগণকে মনে করতে হবে। বাকশাল গঠন করার কাজও আওয়ামী লীগ ভালোকাজ মনে করেছে। কিন্তু জনগণ সেটাকে ভালো কাজ মনে না করায় আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। জনগণের নিরপেক্ষ অংশের লোকেরা কারো পক্ষে কথা বললে বেকুব লোকেরা তাদেরকে সেই পক্ষের লোক মনে করে। যেমন কেউ কেউ আমাকে আওয়ামী লীগ মনে করে। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমি তাদের ভালো কাজ গুলো পছন্দ করছি। ঘটনা এমন নয় যে আমি তাদের মন্দ কাজগুলো অপছন্দ করব না। ভালোর দিকে তাদের পাল্লা ভারী মনে করে আমি সাকুল্যে তাদের পক্ষে কথা বলছি। কিন্তু ভালো কাজের বদলে তাদের মন্দের পাল্লা ভারী হলে আমি কি করব? তখন আমি যাদের ভালোর পাল্লা ভারী দেখব তাদের পক্ষে কথা বলব। এ উপলক্ষে কেউ আমাকে, ‘বসন্তের কোকিল’ বললেও আমি বেশী ভালোর পক্ষে কথা বলা ছাড়ব না। কারণ আমি আওয়ামী লীগের নিজস্ব সম্পত্তি নই।

দলের অন্তপ্রাণ নেতা কর্মীরা সব সময় দলের থাকে। সাধারণ জনগণ কোন সময় কোন দলে আটকে থাকে না। এ সাধারণ জনগণ মোচড় দিলেই ক্ষমতার মোড় ঘুরে যায়। এরা যেন মোড়া-মুড়ি না করে আওয়ামী লীগ সে দিকে খেয়াল রাখলে চব্বিশের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের জয় হবে। এবার সে জয় যেভাবে হোক।

বিএনপি বলছে জনগণ আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষুব্ধ। তবে সেটা আওয়ামী লীগকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামানোর মত ক্ষুব্ধ নয়। সুতরাং বিএনপির অধীক আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। তাদের বরং ব্যক্তিগত কাজে মন দেওয়া ভালো।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×