১০০ আসন ছেড়ে দেওয়া মানে আওয়ামীলীগ ১০০ আসনে প্রার্থী দিবে না। এমন ঘোষণা শুনলে বিএনপি আসনের লোভে নির্বাচনে আসতেও পারে। যদিও আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া আসনের কিছু আসন জাতীয় পার্টিও পাবে। তথাপি বিএনপি নির্বাচনে না আসলে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী বিরোধী দল হিসাবে সংসদে বিদ্যমান থাকবে। তখন তাদের মনেও মন্ত্রীত্ব না পাওয়ার বেদনা কম থাকবে।এটুকু সাহস আওয়ামী লীগ করতেই পারে।
বিএনপি নির্বাচনে থাকায় আওয়ামী লীগের ২০০ আসনের কিছু ছুটে গেলেও আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে জোটে নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে। সংবিধান সংশোধনের দরকার না থাকলে ২০০ বা তার চেয়ে বেশী আসনের লোভ করার দরকার নাই। এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগের জয়কে তাদের উন্নয়নের ফসল বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে। দেশের নির্বাচনের বিশ্বাস যোগ্যতা বাড়লে তা দেশের আরো বেশী উন্নয়নের সহায়ক হবে।
আওয়ামী লীগ থেকে কারো ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার যে কোন মুরদ নাই সেটা তো এক যুগের বেশী সময় ধরেই দেখা যাচ্ছে। তাহলে আর আমরা আওয়ামী লীগের সাহস দেখতে পারব না কোন কারণে? আওয়ামী লীগের শেকড় জাতির অনেক গভিরে বিধায় একুশ বছর ধরে আওয়ামী লীগের শেকড় কেটেও শেষ করা যায়নি। শেষতক শেকড় থেকে উদ্ভিদ হয়ে আবার আওয়ামী বৃক্ষ মজবুতভাবে দাঁড়িয়ে গেছে। এ বৃক্ষের গোড়ায় যেন কেউ আবার কুঠারাঘাত করে ফেলে দিতে না পারে সেজন্য তাদেরকে একটু সেক্রিফাইস করতে বলছি।
আওয়ামী লীগ সেক্রিফাইস করলে কি হবে? জনগণ খুশী হবে। জনগণ খুশী থাকলে কি হবে? জনগণের মোচড় দেওয়ার ভয় কম থাকবে। যদিও রাজির নুর মনে করছেন জনগণ মোচড় দিবে না, তথাপি রাজিব নুরের কথায় ভরসা রাখা যায় না, কারণ রাজিব নুর বলেছেন তিনি রাজনীতি কম বুঝেন।
একটা সুন্দর জাতীয় সংসদ জনগণের কাম্য। বিরোধীদল বিহীন মরা জাতীয় সংসদ কারো কাম্য নয়। জনগণকে জীবন্ত জাতীয় সংসদ উপহার দিতে সেক্রিফাইস আওয়ামী লীগকেই করতে হবে। জাতির পিতার দল জাতির জন্য এতটুকু করতেই পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৪