somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোহাম্মদ (সা.), আল্লাহ ও কোরআনের কথা অস্বীকার করব কোন কারণে?

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মোহাম্মদ (সা.) বললেন, কোরআন আল্লাহর বাণী। কতিপয় বলল, কোরআন মোহাম্মদ (সা.) ও কতিপয় মিলে রচনা করেছে। আমি তাদেরকে বললাম, তোমরা এবং কতিপয় মিলে এমন কিতাব রচনা কর। তারা বলল, একজনের কিতাব অন্য জনের কিতাবের মত হয় না। আমি বললাম, সেটা লাগবে না। তোমরা শুধু এমন কিতাব রচনা করে বলবা এটা আল্লাহর কিতাব তাতেই চলবে। আমি দেখব তাতে কোন অসংগতি আছে কি না? কারণ আল্লাহ বলেছেন, তাঁর কিতাবে অসংগতি থাকে না। কেউ কেউ কোরআনে অসংগতি বের করে বলতে চেয়েছে, এটা মোহাম্মদ (সা.) ও কতিপয় মিলে রচনা করেছে। পরে দেখা গেছে তারা যেটাকে অসংগতি বলেছে সেটা আসলে অসংগতি নয়। সুতরাং আমি মোহাম্মদের (সা.)কথায় বিশ্বাস করলাম যে কোরআন আল্লাহর বাণী। রমজানে আমি এর সাতাশ পারা পাঠ শেষ করেছি। তাতে আমার সুদৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে কোরআন আল্লাহর বাণী। আর যারা কোরআনকে আল্লাহর বাণী নয় বলে তাদের বিষয়ে আমার সুদৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে তারা আসলে মিথ্যাবাদী।

আল্লাহ বলেছেন, তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। কতিপয় বলছে, সবকিছু এমনি এমনি হয়েছে। তাহলে আল্লাহ এমনি এমনি হয়ে সব কিছু সৃষ্টি করলে সমস্যা কি? সব কিছু এমনি এমনি হলে সমস্যা নাই শুধু আল্লাহ এমনি এমনি হতেই কি শুধু সমস্যা? সুতরাং আল্লাহর কথা অস্বীকার করার সংগত কোন কারণ নাই।

কোরআনে বালা আছে তাতে কোন ভুল নাই। তো কোরআনে কে কোন ভুলটা খুঁজে পেয়েছে? দেড় হাজার বছর ধরে কোরআনে তন্ন তন্ন করে ভুল খোঁজা হলো। কিন্তু কোন ভুল পাওয়া গেলো না। তাহলে আর কোরআনের কোন কথা অস্বীকার করব কোন কারণে?

সেই কোরআনে বলা আছে হাসরে আল্লাহর অবাধ্য লোকদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন মোহাম্মদ (সা.), আল্লাহ ও কোরআন বিরোধী কথা কোন কাজে লাগবে? কতিপয় বলছে মোহাম্মদ (সা.), আল্লাহ ও কোরআন অস্বীকার করতে তাদেরকে বহু কষ্ট করতে হয়েছে। তাদের এ কষ্টের দাম আল্লাহ দিবেন। তিনি তাদের চিরস্থায়ী কষ্টের ব্যবস্থা করবেন। তাদের কষ্ট কোন দিন লাঘব হবে না। তাদের কষ্ট চিরকাল বাড়তেই থাকবে। কেউ বিশ্বাস করুক অথবা না করুক ঘটনা এটাই ঘটবে। সুতরাং সময় থাকতে সবাইকে চিন্তা করতে হবে তারা আসলে কি করবে? সময় গেলে সাধন হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:২৫
১৬টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে কোনটি মত এবং কোনটি মতভেদ?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কতভাগ ব্লগার মহা-ডাকাত তারেককে সরকারে দেখতে চায়?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১২



জিয়া মিথ্যা হ্যাঁ/না ভোটে সামরিক এডমিনিষ্ট্রেটর থেকে আইয়ুবের নতো দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো, ৫% ভোটকে মিথ্যুকেরা ৯৮% বলেছিলো ; আওয়ামী লীগ বাধা দিতে পারেনি। জিয়ার মৃত্যুর পর, বেগম জিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৯

রাষ্ট্র যখন হত্যার দর্শক
দায়হীন সরকারের শাসনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে?


দিপু চন্দ্র দাস মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন—
“আমি নবীকে নিয়ে কিছু বলিনি, আমাকে মারবেন না।”
রাষ্ট্র তখন কোথায় ছিল?

আগুনে পুড়তে পুড়তে ছোট্ট আয়েশা চিৎকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটি ডায়াটের গল্প, যেভাবে ওজন কমিয়েছিলাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮


১৬ ডিসেম্বরের খাবার ছিল। উপরের চায়ের ছবিতে ফেসবুকের দুই গ্রুপে দুটো পুরস্কার পেয়েছি প্রতিযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ।

মোবাইলে পোস্ট, ভুল ত্রুটি থাকিতে পারে, মার্জনীয় দৃষ্টিতে রাখবেন।

জব করি বাংলাদেশ ব্যাংকে। সারাদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

'আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান'

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯



১। মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের মহাত্মা গান্ধীর কর্মকান্ড লুথার খুবই পছন্দ করতেন। ১৯৫৫ সালে লুথার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×