একজন বলল, গাজীপুরে লাউ হেরেছে, কদু জিতেছে। ওবায়দুল কাদের বললেন, আগামী সকল নির্বাচন গাজীপুরের মত হবে। তারমানে কোথাও লাউ জিতবে এবং কোথাও কদু জিতবে? কদু জিতলে বলবে, নির্বাচনে আসলে লাউ জিতেছে, হেরেছে লাউয়ের প্রার্থী। তারমানে ভোটাররা লাউ মার্কায় ভোট দিতে গিয়ে প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় কদু মার্কায় ভোট দিয়ে চলে এসেছে। সেজন্য লাউ মার্কা হেরেগেছে?
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কি হবে? লাউয়ের আসনে যদি সরকার গঠন করা না যায়, তবে কি কয়টা কদুর আসন লাউয়ের সাথে যোগ করে সরকার গঠন করা হবে? এদিকে লাউ দলীয় ভোটাররা বলছে, তারা আমিরিকার ভিসা চায় না তারা চায় বিএনপি-জামায়াত মুক্ত বাংলাদেশ। তাদের এ আশা পূরণ হবে কি?
আমি বিছুকাল যাবত বিএনপি খুঁজে পাচ্ছি না। তবে কিছু জামায়াত খুঁজে পাচ্ছি। তারা তাদের নেতাদের সাথে জান্নাতুল ফেরদাউসে দেখা করার চিন্তা-ভাবনা করছে। তবে তাদের এ জান্নাত যাত্রার পদ্ধতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলেই মনে হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইদানিং আয়রন লেডী খেতাব পেয়েছেন। সেজন্যই মনে হয় বিএনপি তাঁকে টলাতে পারছে না। একজন বলেছিল, বিএনপি মানে বেসিকালি নো পার্টি। সেজন্য মনে হয় তারা এদিক সেদিক বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘুরাঘুরি করছে। অবস্থা দেখে তাদেরকে ভবঘুরে না বলে উপায় নাই। জামায়াত যদি শহীদ হওয়া এবং জেল খাটার মধ্যে তাদের মানজিলে মাকসুদ খুঁজে পায়, তবে আর তাদেরকে আন্দোলনে কিভাবে পাওয়া যাবে? বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থা দেখে লাউ পার্টিও বিরক্ত। তারা খিঁচ দিয়ে বলছে, খেলা হবে। অথচ খেলতে গিয়ে দেখে প্রতিপক্ষের কেউ নেই। সেজন্য অবশেষে তার নিজেরাই লাউ-কদু দু’দলে বিভক্ত হয়ে খেলছে। তবে তাতে তারা কোন মজা পাচ্ছে না। মজা করে একটু খেলতে পারলে তাদের শরীরটাও তো একটু চাঙ্গা হতে পারতো।
এক দল বলছে জনগণ খুব কষ্টে আছে। তো তাদের সে কষ্ট লাঘব করবে কে? লাউ-কদু পার্টি বলছে জনগণ উন্নয়নের নৌকায় চড়ে উন্নয়নের সাগরে ভাসছে এবং হাসছে। বাস্তবে কি হচ্ছে? তারা কি হাসছে নাকি কাঁদছে? অনেকে অবশ্য হো হো করে কাঁদে তাতে কাঁন্দাটাকেও হাসি বলেই মনে হয়। সেজন্যই মনে হয় লাউ-কদু পার্টি বলছে জনগণ হাসছে। ঘটনা হলো লাউ-কদু পার্টির একক রাজত্বে তারা যা বলবে সেটাই অন্যদেরকেও বলতে হবে। এখানে অন্য কথা বলা আসলে ঠিক না। কিছু তিৎপুঁটি বলতে পারে, সব ঝুট হ্যায়। কিন্তু তাদের কথা শুনার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং জয় লাউ-কদু।