
একাত্তরে আমেরিকাকে মোকাবেলা করা গেছে ভারতকে সাথে নিয়ে। পাকিস্তান থেকে দেশ আলাদা করে দিয়ে ভারত তার দায় সেরেছে। পঁচাত্তরের পর আমেরিকার বন্ধুদের তাড়াতে ভারত আসেনি। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে আবার ক্ষমতার নাগাল পেয়েছিল আওয়ামী লীগ। এখন আবার তাদের সামনে আমেরিকা। ভারত কি এবার আসবে আমিরিকা সামলাতে সরকারকে সহায়তা করতে? ভারতকে মনে হচ্ছে আমেরিকার সামনে সরকারকে একা ছেড়ে দিতে। সরকারের হাল ছাড়ার আভাস তো পাওয়া যাচ্ছে। তথাপি তারা আমেরিকা জয়ের চিন্তাও করছে বলে মনে হয়। একাজে কে আসবে তাদের সাথে? রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যস্ত। আর জনগণ? দ্রব্য মূল্যের চাপে তারা কুকুরের মত জিহবা বের করে হাঁপাচ্ছে।সরকার পক্ষে তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে মনে হয় না।
আমেরিকা যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করিয়েই ছাড়বে, তাহলে হয়ত তারা সরকারকে এ বিষয়ে বাধ্য করতে পারে। বিএনপি আওয়ামী লীগের সহজ প্রতিপক্ষ হলেও আমেরিকা তাদের সহজ প্রতিপক্ষ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে আমেরিকা হারলেও তারা সব সময় হারে না। যেখানে দেশের একটা পক্ষ আমেরিকার সাথে আছে সেখানে আমেরিকার হারার কারণ দেখি না। সুতরাং আমেরিকা+দেশীয় একপক্ষ > সরকার বলে মনে হয়। সংগত কারণে এবার সরকারের আমেরিকা মোকাবেলায় জয়ী হওয়ার আশা নিতান্তই কম। আমার নিকট প্রতিবেশী ছাত্রদল নেতার ঘটক হওয়ায় আমি মানে মানে তাকে জামাই বানিয়ে নিয়েছি। কারণ বাধ্য হয়ে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার চেয়ে মানে মানে মেয়ে বিয়ে দেওয়া ভালো। জামাই বাবাজী এখন কত সুন্দর করে বাবা ডাকে। বাধ্য হয়ে মেয়ে বিয়ে দিলে হয়ত এমন মধুর সম্বোধন শুনা যেত না। সরকার তাদের কাজ মানে মানে করবে না বাধ্য হয়ে করবে সেটা সরকার জানে। কেউ যদি বুঝে তাকে কোন কাজ বাধ্য হয়েই করতে হবে তবে তাকে মানে মানে সেই কাজ করে ফেলা ভালো।
আমেরিকা অন্যদেশে গিয়ে যুদ্ধও করে। আর অন্যদেশের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হওয়া তাদের চিরাচরিত অভ্যাস। বিশ্ব মোড়ল হিসাবে বজায় থাকার জন্য তারা অন্যদেশের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও তারা স্পষ্টভাবে যুক্ত আছে। তারা হেরে গেলেই হারিয়ে যায় না, বরং তারা বার বার ফিরে আসে। আমার জামাই বাবাজীকে এবার বেশ খুশী খুশী মনে হলো। সে বলল, দেখবেন বাবা এবার কিছু একটা হবে। আমি আবার খালি চোখে স্পষ্ট দেখতে পাই না। আমাকে চশমা দিয়ে দেখতে হয়। দেখার মত কিছু হলে না হয় চশমা পরে দেখে নেব।
আমেরিকা বলেছে, তারা সেন্টমার্টিন চায়নি। হয়ত সেটা লবিস্ট চেয়েছে। আর এভাবে তারা একটা দেশের সরকার প্রধানকে ভুয়া কথার লোক বানিয়ে দিলো। এমনটাই হলো আমেরিকার নমুনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



