
হযরত মোহাম্মদকে (সা.) তাঁর দেশবাসী বিশ্বস্ত খেতাব দিয়ে ছিলো। সেজন্য তাঁর নিকট জনেরা খুব সহজে তাঁর নবুয়তের কথা বিশ্বাস করে। কিন্তু নবুয়তের কথা বলায় এতদিন যারা তাঁর কথা বিশ্বাস করতো তাদের অধিকাংশ লোক তাঁর কথা অবিশ্বাস করে বসে। অবিশ্বাসীরা হযরত মোহাম্মদ (সা.) ও তাঁর অনুসারীদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। বাধ্য হয়ে হযরত মোহাম্মদ (সা.) নবুয়তের তের বছরের মাথায় অনুসারীদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। তখন অবিশ্বাসীরা সংকিত হয়ে তিনি শক্তিশালী হওয়ার পূর্বেই তিনি ও তাঁর অনুসারীদের নিশ্চিহ্ন করতে তাঁদেরকে আক্রমণ করে বসে। হানাদারদের তিন ভাগের একভাগ জনবল নিয়ে হযরত মোহাম্মদ (সা.) হানাদারদের পরাজিত করে তাদের সংকা আরো বাড়িয়ে দেন। জয়ের কারণ হিসাবে হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেন, আল্লাহ তাঁকে সাহায্য করেছেন। তারপর অবিশ্বাসীরা তাঁর বিরুদ্ধে আরো বহুবার যুদ্ধ করে পরাজিত হয়। অবশেষে হযরত মোহাম্মদ (সা.) ছেড়ে যাওয়া নিজের দেশ জয় করেন। মাত্র দশ বছরে তিনি একটি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর অনুসারীগণ সেই সাম্রাজ্যের আয়তন দেড় কোটি বর্গ কিলোমিটারে পরিণত করে যা সাড়ে তেরশ বছর টিকে থাকার পর বিলুপ্ত হলেও তাঁর অনুসারীরা সাতান্নটি দেশ শাসন করছে। এদিকে হযরত মোহাম্মদের (সা.) অনুসারী সংখ্যা বেড়েই চলছে।
অবিশ্বাসীগণ নানান বাহানায় হযরত মোহাম্মদের (সা.) কথা অবিশ্বাসের কথা বলছে। কিন্তু তাদের কথায় বিশ্বাসীদের উপর কোন প্রভাব পড়ছে না। ব্লগে রানু বিশ্বাসীদের বিশ্বাস নিয়ে অনেক তামাসা করছে। এ বিষয়ে বিশ্বাসীগণ তাকে কেয়ার করার প্রয়োজন বোধ করে না। এসব লেখা পড়ে তার দলের লোকেরা কিছুটা সুখবোধ করে। বিশ্বাসীরা এসব হিসাবযোগ্য মনে করে না। কারণ পৃথিবীর সব মানুষ কোন দিন একমতে আসেনি। এখানে সব সময় ভিন্ন মতের মানুষ আছে। ভিন্নমতের মানুষ তাদের মতে থাকুক এবং বিশ্বাসীরা তাদের বিশ্বাস নিয়ে থাকবে এটাই বিশ্বাসীদের কাম্য। আমি মাঝে মধ্যে বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের পক্ষে দু’চার কথা বলি। কারণ আমি নিজেও একজন বিশ্বাসী। আমি বিশ্বাস করি আমার বিশ্বাসের বিষয় শতভাগ সঠিক। সুতরাং অবিশ্বাসীরা এটাকে যতই বেঠিক বলুক না কেন আমি তাদের কথা বিশ্বাস করি না। আর অবিশ্বাসীদের কথা বিশ্বাস না করার কারণেই আমি বিশ্বাসী।
অবিশ্বাসীরা বিশ্বাসীদের হুর পাওয়া নিয়ে অনেক তামাসা করে। অথচ বিশ্বাসীরা বলছে অবিশ্বাসীরা হুর পাবে না। তো তারা যখন হুর পাবে না তাহলে তাদের আর হুর নিয়ে চিন্তা কি? হুর ভালো হোক বা মন্দ হোক এটা বিশ্বাসীদের বিষয়। এটা নিয়ে অবিশ্বাসীদের মাথা ব্যাথার কোন কারণ আছে বলে মনে করি না। রানু বলেছে সে জাহান্নামের বিভিন্ন রকমের সাজা ইনজয় করবে। এখনো কি ইনজয় করতে কেউ জেলে যায়? জাহান্নামও যে ইনজয় করার স্থান সেটা রানুর কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। যারা জাহান্নামে ইনজয় করতে চায় আমি মনে করি তাদের সে সুযোগ থাকা্ উচিত। বিশ্বাসীদের তাদের ইচ্ছা পূরণে বাধা দেওয়া উচিত নয় বলে আমি করি। তবে আমার বিশ্বাস নিয়ে যে যতই তামাসা করুক তাতে আমি আমি আমার বিশ্বাস ছাড়ছি না- ইনশাআল্লাহ। আমি বিশ্বস্ত হযরত মোহাম্মদের (সা.) বিশ্বাসী অনুসারী হিসাবে অনেক সুখবোধ করি। রানু যা বলে বলুক। আমি রানুর কথার কেয়ার করি না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



