
সরকার যে গণতন্ত্রের ব্যবস্থা করেছে তাতে তাদের দলের লোকেরাই ভোট দিতে যায় না। আবার তাদের গণতন্ত্রে অন্যদল নির্বাচনে প্রার্থীও হয় না। বিনাভোটে নির্বাচিত এমপি দিয়ে সরকার গঠন করে তারা দেশ চালায়। যেমন গণতন্ত্রে অন্যদল নির্বাচনে প্রার্থী হবে, জনগণ ভোট দিবে তেমন গণতন্ত্রের ব্যবস্থা সরকার করছে না। সরকার পক্ষের লোকজন বলছে গণতন্ত্রের দরকার নাই। এতে বুঝাযাচ্ছে গণতন্ত্রের নামে যা চালু আছে সেটাকে তারাও গণতন্ত্র মনে করছে না। তারা বলছে জনগণ গণতন্ত্রের যোগ্য নয়। তাহলে জনগণ গণতন্ত্রের যোগ্য হওয়া অবধি গণতন্ত্র বন্ধ থাকলেই হয়। তবে সরকারের জন্য জনসম্মতি জানতে হ্যাঁ-না ভোট করলেই হয়ে যায়। বাংলাদেশে এর নজির আছে। ভোটে জিজ্ঞাস করা হবে সরকার কি আরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে? জনগণ হ্যাঁ ভোট দিবে। বেশ সরকার আরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
সরকার পক্ষের বিপরীতে বিরোধী পক্ষ বলছে গণতন্ত্র লাগবেই। কিন্তু সরকার পক্ষ বলছে তারা কিছুতেই গণতন্ত্র দিবে না। গণতন্ত্রের নামে তারা যা চালাচ্ছে সেটাই চলতে থাকবে। এদিকে এক নিরুদ্দেশ পথিক গণতন্ত্রের প্রয়োজনিয়তার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। মন্তব্য নিস্প্রয়োজন বলে তিনি তাঁর পোষ্টে মন্তব্য করা বন্ধ রেখেছেন। সামু দেখেশুনে সেই পোষ্ট টিকি করেছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেখলাম। তিনি নাকি চলমান গণতন্ত্রের ছবক নিয়েছেন বিরোধী পক্ষের নিকট থেকে। তিনি একজন শোকাহত মানুষ। তিনি ভুলে গেছেন বঙ্কিম চন্দ্রের কথা। তিনি বলেছিলেন, তুমি অধম হইবে বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? কেউ না লিখলেও এদেশের মানুষ কেউ অধম হলে অন্যজন তারচেয়ে বেশী অধম হতে চেষ্টা করে। এ যেন অধম হবার দূর্বার প্রতিযোগিতা।
ইদানিং গণতন্ত্রের জন্য বিরোধী পক্ষ জোর দাবী জানালে সরকার পক্ষ বলে, খেলা হবে। তারমানে সরকারের সাথে খেলে তাদেরকে পরাজিত করে বিরোধীদেরকে ক্ষমতার মহামূল্যবান ট্রপি ঘরে তুলতে হবে। সরকার পক্ষ বলছে নতুবা বিরোধী পক্ষ ক্ষমতার স্বাদ পাবে না।
ক্ষমতা হলো মজাই মজা। এত্ত মজা সরকার এমনি এমনি বিরোধী পক্ষের হাতে ছেড়ে দিবে নাকি? আরে সরকার পক্ষ কি গাঞ্জা খেয়েছে নাকি? পনের বছরের অভুক্ত বিরোধী পক্ষের গায়ে বল-বুদ্ধির অভাব দেখা যাচ্ছে। সরকারকে এখনো বলবান দেখা যাচ্ছে।
দেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হওয়ায় সরকারকে কোন রকম একটা গণতন্ত্রের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। তবে সেটা এমন গণতন্ত্র যাতে সরকারের জয়ের নিশ্চয়তা থাকতে হয়। তারজন্য সরকার হিরো আলমের সাথেও ভিলেন হয়ে যায়। দুইটা মাইয়াকে বলতে শুনলাম সরকার নাকি জনগণ শুধু নয় জনগণের ছায়া দেখলেও ভয় পায়। সরকারের কিসের এত ভয়। তাদের উন্নয়নের জোয়ারে দেশ যেখানে ভাসছে? নাকি জোয়ারের স্রোতে তাদেরকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সেই ভয়ে তারা ইন্তিজার?
গণতান্ত্রিক দেশে বাস করে মরার আগে আমি আর একবার ভোট দিতে পারব কিনা ভাবছি। কেউ মাইন্ড কইরেন না। আমি মনে মনে বলছি, শুধু একবার শুধু একবার বল ভোট দিতে দিবে। আহারে ভোট, কাগজে আছে আসলে নাই। আর কতকাল আমি রইব ভোটের পন্থের পানে চাইয়া। তথাপি আশায় বুকবাধি। একদিন এ দেশে ভোট হবে। আমরা দল বেঁধে ভোট কেন্দ্রে যাব। তবে আমি যদি মারা যাই। আমি যদি ভোট নাও দিতে পারি। তবে তখন তোমরা সবাই ভোট দিও হে দেশ বাসী। জয় ভোট।
বি:দ্র: ঘটনা চক্রে সরকারকে যদি ক্ষমতা ছেড়ে যেতেই হয় তখন কি তারা এখনকার বিরোধীদের সুরেই কথা বলবে? খুব জানতে ইচ্ছে করে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


