
হিরোকান্ড এবং নুরুকান্ডে বোধগম্য বাংলাদেশে শক্তিশালী কারা? বাংলাদেশে এ শক্তিশালীগণের তন্ত্রের নাম গণতন্ত্র। এখানে দূর্বলগণের মতামত কোন ক্ষেত্রে বিবেচিত হয় না। পরিবার সমাজ রাষ্ট্র কোন ক্ষেত্রে দূর্বলগণের মতামত এদেশে বিবেচিত নয়।
শক্তিশালীগণ খাজনা তুলবে এবং দূর্বলগণ তাদেরকে খাজনা দিবে। ভরাপেট নাহি খাই তবু রাজকর দেওয়া চাই। ইত্যাকার নীতিকথা এখন বাস্তবায়িত।সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠায় শক্তিশালীগণ এখন আঙ্গুল বাঁকা করে সব ঘি উঠায়ে ফেলছেন। দূর্বলগণের জন্য কোন ঘি থাকছে না। তারা শক্তিশালীগণের ঘি খাওয়া দেখছে এবং মনে মনে ঘি খাওয়ার কল্পণা করে এমনি এমনি আঙ্গুল চুষছে।
দূর্বলগণ আল্লাহর নিকট বিচার দিচ্ছে। ওদিকে শক্তিশালীগণ আল্লাহ না থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। কারণ তারা বুঝতে পারছে আল্লাহ নামক কেউ থেকে থাকলে তিনি তাদের এভাবে খাওয়া বন্ধ করে দিতেন। নিরুপায় দূর্বলগণ বলছে তাদেরটা তারা পরকালে পাবে। শক্তিশালীগণ বলছে ওকে তোদেরটা তোরা পরকালে নিস, আমাদেরকে এখন শান্তিমত খেতে দে। গোলমাল করলে হয়ত উপরে, নয়ত জেলে অথবা হাসপাতালে যাবি।
ওদিকে একপক্ষ বলছে তারা পরিবারতন্ত্র চায় না।তারা কি চায় আর কি চায় না এটা কে হিসাব করে? শক্তিশালীগণ সেই তন্ত্র চান যেই তন্ত্রে তাঁরা শান্তিমত খেতে পারেন। তাদের শান্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করার নাম সন্ত্রাসবাদ। এদের ঠাঁই শক্তিশালীগণের নিকট নাই।
একদা জেনারেলরা ছিলেন শক্তিশালীতন্ত্রের ধারক ও বাহক। তাদেরকে হটিয়ে একদল লাঠিয়াল বাহিনী শক্তিশালীতন্ত্র দখল করেছে। তা’দেখে জেনারেলরা হতবাক অথবা বাকরুদ্ধ। এরা সেই বাহিনী যারা একাত্তরে পাক বাহিনীকে তাড়িয়ে ছিলো। এরা প্রথমে পাকিদের দোসরদেরকে খতম করেছে। তারা এবং তাদের মিত্ররা মিলে এখন সবকিছু দতারকি করছে। একদা জেনারেলরা তাদেরকে কাঁদিয়ে ছিলো। সেই শোক এখন শক্তিতে পরিণত। জেনারেলরা সেই শক্তির কাছে মাথানত করতে বাধ্য হয়েছে।
শোক যখন শক্তিতে পরিণত হয় তখন সেই শক্তি হয় অপ্রতিরোধ্য। সেটাই এখন দেখছে বাংলার মানুষ। আর সবি ভুল তারা শুধু ঠিক। এটা মানতেই হবে। না মেনে তাদের লাথি গুতা কে খাবে বলেন? নীতিকথা থাকুক পুস্তকে। পুস্তক থাকুক উঁই পোকার দখলে। শক্তিশালী তন্ত্রে শক্তিশালী গণ উন্নত হচ্ছেন। এটাকে বলতে হবে আমরা উন্নত হচ্ছি। নতুবা গালের দাঁত থাকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


