
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের নিশ্চয়তা রয়েছে। তথাপি জনগণ তাদের নিকট সুষ্ঠ নির্বাচন চায়।তারা চায় যারা ভোট দেবে না তাদের ভোট যেন কাষ্ট দেখানো না হয়। কোন ভোটারকে যেন ভোট দিতে বাধ্য করা না হয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা মনে করছে সুষ্ঠ ভোট হলে তাদের অনেকেই জয় লাভ করবে। সুষ্ঠ ভোট না হয়ে পরাজিত হলে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এবং জাতীয় পার্টির ভোটাররা কষ্ট পাবে। যারা পনের বছর ধরে আওয়ামী লীগের সাথে আছে তাদেরকে খুশী রাখতে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠ নির্বাচন করতে পারে। তথাপি বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। কিন্তু কেন হচ্ছে? ভোটে তো খুনী তারেক ও তার সহযোগীরা নেই।
কেউ কেউ মনে করছে, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ নির্বাচন। কিন্তু তিনি শতায়ু হলে তিনি এমন আরো বহু নির্বাচনের আয়েজন করতে পারেন এবং তাতে তিনি অংশগ্রহণও করতে পারেন। বিগত সময়ে একদা হাফিজ্জী হুজুরের নির্বাচনী সভায় গিয়ে দেখলাম বহু লোক তাঁকে পাঁজাকোলা করে নির্বাচনী স্টেজে তুলছেন। এমন বয়স কালেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের উন্নয়ন করতে চাইবেন না, এমন কথা কেমন করে বলি? তিনি জাতির জনকের কন্যা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর দিক থেকে আমরা জাতির উন্নয়নের আশা করতেই পারি। সেজন্য তাঁর বিরোধীদেরকে বলব, অন্তত আরো কুড়ি বছর তাঁর হাত থেকে তারা যেন নিস্তারের আশা না করে।
চৌদ্দ ও আঠারোর পর চব্বিশের নির্বাচন। কেমন হচ্ছে এ নির্বাচন সে বিষয়ে অনেকের ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনটি চৌদ্দ এর মত হচ্ছে না সেটা এর মধ্যে নিশ্চিত হয়েগেছে। নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এটি আঠারোর মতও হচ্ছে না। কারণ এবার স্বচ্চ ব্যালট বাক্স কেন্দ্রে যাচ্ছে ভোটের দিন সকালে। সেজন্য বিরোধীরা জনগণকে ভোট না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে লিপলেট বিতরণ করছে। তারা হয়ত মনে করছে নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে। জনগণ ভোট না দিলে তারা বলতে পারবে নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক হয় নাই।নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক করতে সরকার যদি ব্যাপক ভোটের আয়োজন করে আর সেই ভোট যদি সরকারী মার্কায় পড়ে তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে, এটা বলা যাবে কি? ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে সুষ্ঠ হলে অংশগ্রহণ মূলক হয় না এবং অংশগ্রহণ মূলক হলে সুষ্ঠ হয় না। অংশগ্রহণ মূলকের জন্য নির্বাচন সুষ্ঠ না হলে এবং বিরোধীরা যদি এর যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারে তবে তারা বলতে পারবে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় নাই।সরকার তবে এবার কোন দিকে যাবে? সুষ্ঠ নির্বাচন, নাকি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন। সুষ্ঠ নির্বাচনে অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন হলে বিরোধীদের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটবে। তখন সরকার বলতে পারবে পরাজয় অনুমান করতে পেরেই বিরোধীরা নির্বাচনে আসেনি।সুতরাং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিছুই না, আবার অনেক কিছু এ দু’ভাবনায় জাতি এখন বিভক্ত।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



