সরকারের উপর জনগণ খুব খুশী হলে তারা নাচতে নাচতে সরকারকে ভোট প্রদান করতে ভোট কেন্দ্রে যেত। কারণ সরকারকে ভোট প্রদান করা ছিলো তাদের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের অন্যতম প্রধান উপায়। তাহলে অধিকাংশ জনগণ কি নিমক হারাম? নাকি সরকারের প্রতি জনগণের অখুশী থাকার পিছনে যথেষ্ট কারণ আছে?
বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক বেশী ভোট পড়ার বহু দৃষ্টান্ত আছে। সেতুলনায় এবারের ভোট যথেষ্ট কম। অনেকে বলছে, বিএনপি ভোটেন আসলে তারা সত্তর-আশি আসন পেত। তো তৃণমূল বিএনপি ভোটে এসে কয়টি আসন পেয়েছে? উত্তর হলো একটিও না। তারা বলছে বিএনপির সবচেয়ে অজনপ্রিয় ব্যক্তি হলো তারেক জিয়া। সে তো নির্বাচনে আসেনি। বিএনপির দরবেশগণ এসে তো একটা আসনও পেল না।
বাংলাদেশের ইতিহাসে দলীয় সরকারের অধীনের নির্বাচনে কখনও বিরোধী দল জয়ী হয়নি। তাহলে জয়ী হতে চাইলে দলীয় সরকারের অধীনের নির্বাচনে বিএনপি কেন আসবে? যারা বিএনপি করে না, তারা বলছে বিএনপি বিলুপ্ত হবে। তো বিএনপি বিলুপ্ত হলে তাদের ক্ষতি কি? এটা তো তাদের জন্য আরো লাভ জনক।বিএনপি নির্বাচনে না আসলে তারা আরো নির্ভার থাকছে। তাদের শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। করুক না তারা শক্তিশালী বিরোধী দল। স্বতন্ত্র ঐক্যজোট গঠন করে সহজেই শক্তিশালী বিরোধী দল বানানো যায়। ডামি নির্বাচনে ডামি বিরোধী দল হলে ক্ষতি কি? সরকার ও বিরোধী দল একই সুরে গান গাইবে, আর জনগণ তন্ময় হয়ে শুনবে।
বিএনপির নির্বাচনে আসা নিয়ে যখন এতই আক্ষেপ, তখন তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন করলেই তো হয়ে যেত। দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচনে তাদেরকে হারিয়ে দেওয়া হবে বলে তারা অভিযোগ করেছে। তো যারা নির্বাচনে এসে হেরে গেছে তারা তো সে হারিয়ে দেওয়ার কথাই বলছে। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্ররা তো তাদেরই লোক। তাদের যরা হেরেছে তারাও তো’ বলছে তাদেরকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কে কি বলছে সেটা বিষয় নয়। বিষয় হলো অধিকাংশ জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ভোট যা পড়েছে তাতেও অনেকের ভোট কিছু সংখ্যক লোক দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সুতরাং সরকারকে এমন পরিস্থিতি তৈরী করতে হবে যেন সরকারকে ভোট দিতেই জনগণ দল বেঁধে ভোট কেন্দ্রে যায়। বিএনপি ভোটে দাঁড়ায় নাই তো কি হয়েছে, সরকারতো ভোটে দাঁড়িয়েছে। তো ৮০% ভোটার সরকারকে ভোট দিলে এমন কি ক্ষতি হতো? জনগণের ভোট প্রদানের আগ্রহ কেন নেই, সেটা সরকারকে ভাবতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪২