
দলের লোক দলের পদ-পদবী যাওয়ার ভয়ে দলের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারে না। সেজন্য দেশে এন্টি আওয়ামী লীগ থাকার দরকার আছে। যারা আওয়ামী লীগের ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিবে। কিন্তু একটা সমস্যা হলো আওয়ামী লীগ এমন লোকদেরকে তাদের শত্রু ভেবে জেলে ভরে রাখে। আর অন্যদেরকে জেলে ভরার জন্য তাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা দিয়ে রাখে। ফলে আওয়ামী বিরোধীরা দৌড়ের উপর থাকে।তবে রয়েসয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলে মনে হয় খুব একটা সমস্যা হয় না।
আওয়ামী লীগ প্রতিপক্ষকে খুব পিটায়। সেজন্য অনেক লোক মরেও যায়। সেজন্য একটা কথা প্রচলিত হয়েছে যে, “তুই মানুষ না আওয়ামী লীগ”। আওয়ামী লীগের তুলনা আসলে তারা নিজেরাই। তথাপি তাদের কিছু বিরোধী লোক থাকলে তাদের বদনামের ভয়ে আওয়ামী লীগ হয়ত মন্দকাজ কমিয়ে করবে।
আওয়ামী লীগের যারা পুলিশ তারা প্রতিপক্ষকে অনেক মারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে মার-পিট করলে পুলিশ কি করবে সেটা ভেবে পায় না। এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনে আওয়ামী লীগের যারা আছে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে। আওয়ামী লীগের যে পক্ষ যে পক্ষের পক্ষে কাজ করে তারা আওয়ামী লীগের অন্য পক্ষের বিপক্ষে প্রতিযোগীতায় নামে। তখন আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রতিপক্ষের একপক্ষের সাথে অন্য পক্ষের লড়াইয়ে এক পক্ষ জিতে এবং অন্য পক্ষ হারে। সেকারণে কিছু নৌকা হেরে কিছু স্বতন্ত্র জিতেছে। সেজন্য একাধীক নৌকা প্রতিক করা যায়। যেমন ডিঙ্গি নৌকা, ময়ুর পঙ্খী নৌকা, চাম্পান নৌকা, বালাম নৌকা ইত্যাদী। তাতে নৌকার হারের সংখ্যা থাকবে না। আসন সমঝোতা বাদ দিয়ে এক নৌকার সাথে অন্য নৌকার লড়াইয়ের ব্যবস্থা করা হলে নৌকার আর হারার সম্ভাবনা থাকবে না। এক দলের একাধীক প্রার্থী থাকার বিষয়টি সংবিধান ভুক্ত করে দিলেই নির্বাচনের ময়দান থেকে সব নৌকা উচ্ছেদ করা যায়। তাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ নৌকাই জিততে পারে। আর সংসদে বিরোধী দল না থাকলেও চলে। বিরোধী দল থাকবে জাতীয় সংসদের বাইরে।
আওয়ামী লীগ যদি মনে করে এন্টি আওয়ামী লীগের দরকার নাই। তাহলে সংসদের বাইরে থেকেও এন্টি আওয়ামী লীগ দূর করা যায়। কথায় বলে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। তবে আমি মনে করি এন্টি আওয়ামী লীগ থাকার দরকার আছে। তবে তাদেরকে বাড়তে দেওয়া যাবে না। কারণ সেটা হলে এন্টি আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের বিপদের কারণ হতে পারে।
এন্টি আওয়ামী লীগ থাকার দরকার মনে করেই আমি মাঝে মধ্যে কিছু কথা বলি এবং তা’ রয়েসয়েই বলি। তথাপি তাতে অনেককে নাখোশ হতে দেখি। তাদের মনভাব এমন যে আওয়ামী লীগের দোষগুলোকে সব গুণ বলতে হবে। আওয়ামী লীগ চাইলে দেশ থেকে এন্টি আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত হতেই পারে। এরমধ্যে অনেকে তাদেরকে যাদু ঘরে স্থান দেওয়ার কথা ভাবছে। যদিও আওয়ামী লীগ তাদেরকে ডাষ্টবীনে স্থান দিতে চায়। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশ এন্টি আওয়ামী লীগ মুক্ত হচ্ছে। তখন হয়ত এক নৌকার সাথে অন্য নৌকার ভোট হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



