
ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ হলে পাকিস্তান বাংলাদেশের সাথে থাকতে চায়। কারণ একাত্তরে পাকিস্তান-বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের সাথে ছিল। তখন পাকিস্তান পরাজিত হয়ে ভারতের নিকট আত্মসমর্পন করে ছিল। এবার ভারত পরাজিত হয়ে পাকিস্তানের নিকট আত্মসমর্পন করা পাকিস্তানের একান্ত কাম্য। সেবার বাংলাদেশের ত্রিশ লক্ষ শহীদ হয়ে ছিল। এবার বাংলাদেশের কত লক্ষ শহীদ হয় সেটা যুদ্ধ হওয়ার পর বুঝা যাবে।সেবার বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে ছিল। এবার হয়ত ভারতের দাদাগিরি থেকে রক্ষা পাবে। আর ইসরাইলের মত ভারতের খানিকটা যদি দখল করে নিতে পারে সেটা বাড়তি লাভ। তবে যুদ্ধ হলে বাংলাদেশের জঙ্গী গুষ্ঠির হাতে প্রচুর অস্ত্র উঠবে। যুদ্ধে লাভ ছাড়া এরা ঘরে ফিরবে না। বিষয়টা হয়ত ভারতীয়রা বুঝতে শুরু করেছে সেজন্য তাদের উত্তেজনা কমতে শুরু করেছে। এখন তারা যদি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশকে দিয়ে দেয় তাহলে অবাক হব না।
যুদ্ধ হলে হিন্দুরা সব ভারতে গিয়ে উঠবে। যুদ্ধে ভারত হারলে এসব হিন্দু বাংলাদেশ আর নিবে না। ভারতের পণ্যের সহজ ক্রেতা বাংলাদেশ। এটা ভারত বুঝতে শুরু করেছে। বাংলাদেশও জানে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যের সহজ বিক্রেতা ভারত। সুতরাং দেশ দু’টির মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা উচিত। পাকিস্তান বাংলাদেশে তাদের পণ্যের বিক্রেতা হতে চায়। সেজন্য ভারতের সাথে যুদ্ধে তারা বাংলাদেশকে পারমাণবিক অস্ত্রও দিতে চায়।
একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ভারত বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করলে বাড়তি হিসাবে তাদেরকে পাকিস্তানের সাথেও যুদ্ধ করতে হবে। আর বোনাস হিসাবে তাদেরকে যদি চীন ও আফগানিস্তানের সাথে যুদ্ধ করতে হয় তাতেও অবাক হব না। তাহলে ভারতকে সব দিক থেকে আক্রান্ত হতে হবে। তখন আবার তাদের স্বাধীনতা কামীরা জেগে উঠে তাদের গোদের উপর বিষ ফোঁড়া তৈরী করবে। তাতে করে সোভিয়েত রাশিয়ার মত তাদেরকে ভেঙ্গে পড়তে হতে পারে। এত ভেজালে না পড়ে ভারতের বরং বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্ব অব্যাহত রাখা উচিত।
যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়। সুখে থাকতে ভুতে কিলালে মানুষ যুদ্ধে জড়ায়। শেখ হাসিনার জন্য ভারতের বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করা ঠিক নয়। উগ্র হিন্দু, উগ্র মুসলিম যুদ্ধ চায়। শান্তিপ্রিয় নাগরিক যুদ্ধ চায় না। তারা শান্তি চায়। যুদ্ধ যেন না হয় সে বিষয়ে শান্তি প্রিয়দের সজাগ দৃষ্টি থাকতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

