
বাঙ্গালী চিরকাল স্বাধীন থাকতে চেয়েছে। মানসিং এখানে যুদ্ধ করতে এসে ঈসাখাঁর বীরত্বে ফিরে গেছে। ইংরেজের সাথেও মোহন লাল ও মীর মদন বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছে।তীতু মীর, শরিয়তুল্লাহ, দুদু মিয়া ইংরেজ শাসনের প্রবল বিরোধীতা করেছে। নজরুলের বিদ্রোহী কবিতায় বাঙ্গালীর ত্যাজ প্রকাশ পেয়েছে।অবশেষে পাকিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাঙ্গালী স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছে।বহুদেশ হজমকারী ভারত এখন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও রংপুরে কামড় বসাতে চায়। আরকান আর্মির নজরও নাকি চট্টগ্রামের দিকে।কিন্তু বাঙ্গালী তাদের স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী।তারা তাদের স্বাধীনতা রক্ষায় সদা প্রস্তুত।
পুচকে মনিপুর স্বাধীন হতে চায়। তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন থাকতে চাইবে না কোন কারণে? বাঙ্গালীর স্বাধীন ইচ্ছায় ভারতীয় এজেন্টদের শুধুই জ্বলে। তারা বাংলাদেশকে অপ্রস্তুত রেখে হঠাৎ আক্রমন করে ঘায়েল করতে চায়। তবে বাংলার বাঘকে আহত করলে তারা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে। তাদের কিছুই না থাকলেও তাদের আছে স্বাধীন থাকার প্রবল ইচ্ছা। সুতরাং তারা পরাধীনতা কিছুতেই মেনে নিবে না। দখলদারকে তারা কিছুতেই সহ্য করবে না। দখলদারের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চলবে অবিরাম।
বাঙ্গালী মানে বাঙ্গালী। এখানে মীর মদন ও মহনলালেরা একসাথে মিলেমিশে বসবাস করে। এখানে তৃষা আক্তার ও বৃষ্টিমিস্ত্রীরা একসাথে দোলখায়। অন্য দেশের দালালরা এখানে মারখায়। জগৎশেঠ ও মীরজাফরদের বাঙ্গালী ঘৃণা করে।ষড়যন্ত্রীরা তখন জগৎশেঠের হিন্দু পরিচয় সামনে আনে। এসব য়ড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই বাঙ্গালী সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে পরিচিত।
সিরাজেরাও এখানে সম্মান পায় যখন তারা বাংলাদেশী হয়ে থাকে।যেসব বাঙ্গালী ভারতীয় তারা বাংলাদেশী বাঙ্গালীকে অসম্মান করে। কা্রণ তাদের নিজেদের কোন সম্মান নাই। তাদের সম্মান কেমন করে হবে? কারণ তারা স্বজাতির নামে স্বাধীন নয়। তারা হলো জাতি সংঘের মতই জাতি পুঞ্জের নামে স্বাধীন। ওরা হলো একটা বৃহৎ জাতির অংশ। আর বাংলাদেশীরা নিজেরাই একটা জাতি। আমাদের এ জাতীয় চেতনা সমৃদ্ধ হোক। যারা এর ব্যাঘাত ঘটাবে তাদেরকে তস্কর আখ্যা দিয়ে শাস্তি দেওয়া হোক। দেশের যে কোন যোগ্য নাগরিক দেশের শাসক হোক। ভারত, মায়ানমার ও রাখাইন আমাদের সুপ্রতিবেশী হিসাবে বিদ্যমান থাকুক। তবে প্রতিবেশী কোন রাষ্ট্রের প্রভুত্ব আমরা মানি না, মানব না। এমন বেয়াদবী কেউ আমাদের সাথে করতে এলে আমরা তাদেরকে উপড়ে ফেলে দেব- ইনশাআল্লাহ।আমি বাংলাদেশী চেতনা ধারণ করি বলে ভীন দেশী ও তাদের দালালরা আমাকে অসম্মান করে। তবে তাদের এসব অসম্মানের আমি কোন পরোয়া করি না। কারণ আমার নিকট সবচেয়ে বেশী দামী আমার বাংলাদেশী চেতনা।
# ছবির মেয়ে দু’টি হিন্দু-মুসলিম। বাংলাদেশী চেতনার কারণে তাদেরকে ভালোবাসি। চাঁদের কণা কবিতাটি মুসলিম মেয়েটিকে নিয়ে লেখা। তাকে নিয়ে তার অনুমতি থাকায় তাকে নিয়ে মাঝে মধ্যেই কবিতা লিখি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


