
একাত্তরের স্বাধীণতার পক্ষে ছিল বা আছে এবং এখন ভারতের সাথে যুক্ত হতে চায় না- দেশের রাজনীতির মাঠে এমন পক্ষের উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন, কিন্তু তারা গর হাজির। পাকিস্তান পক্ষের লোকেরা ভারত পক্ষের লোকদেরকে তাড়িয়ে ক্ষমতা হস্তগত করতে মরিয়া, কিন্তু বাংলাদেশ পক্ষের লোকেরা নিদ্রামগ্ন। ঘটনা কি হলো?
আমাদের এক পক্ষ পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পরেই পাকিস্তান প্রেমে আক্রান্ত হয়েছে এবং অন্যপক্ষ ভারতের কৃতজ্ঞতা স্বীকারে ভারত প্রেমে মগ্ন হয়েছে। নিখাঁদ বাংলাদেশ প্রেমের বিষয়টি এখনো উপস্থাপিত হয়নি। সোনাগাজী আল্লাহ-মোল্লা বাদ দিয়ে নিখাঁদ বাংলাদেশ প্রেমের বিষয়টি উপস্থাপন করতে চায়, কিন্তু ৯০% মুসলিমের দেশে সেটা সম্ভব হবে কি? আল্লাহ-মোল্লা পক্ষের নিখাঁদ বাংলাদেশ প্রেমির ঐক্য আবার সোনাগাজী পক্ষ মেনে নিবে না। সোনাগাজী পক্ষকে আল্লাহ-মোল্লা পক্ষ মেনে নিবে না। সুতরাং এবার ভারত পক্ষের পর পাকিস্তান পক্ষ ক্ষমতার দ্বার প্রান্তে; অবশ্য ভারত পক্ষ পালিয়ে গেলেও এখনো হাল ছাড়েনি।নোবেল লরিয়েট এসেছেন অতিথি হয়ে। তারপর তিনি ফিরে যাবেন নিজ গন্তব্যে। অথবা তিনি চলে যাবেন পরপারে। কারণ তাঁর বয়স হয়েছে।
মোল্লাপক্ষ প্রিয়দের থেকেই দেশের স্বাধীণতাকামীদের ঐক্যবদ্ধ করার মত পক্ষের উত্থান অবশেষে ঘটবে। কারণ এটা সম্ভব। সোনাগাজী বা রানু যা চায় সেটা এদেশে অন্তত সম্ভব নয়। কারণ মানুষের বিশ্বাস/অবিশ্বাস বদলানো দূরহ কাজ- ভারতীয় উপমহাদেশের সনাতনী বিশ্বাস থেকে সেটা স্পষ্ট। এখানে মুসলিম আসলো, ইংরেজ আসলো, তথাপি অধিকাংশ মানুষ সনাতনী থেকে গেল। এখন তথাকতিথ বিজ্ঞান পক্ষ সকল পক্ষকে তাদের দিকে টানছে। সেই পক্ষের একজন সোনাগাজী পরপারে যাওয়ার অপেক্ষায়, অন্যজন রানু এ বিষয়ে দূর্নিবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের পক্ষে জনতার সাড়া নিতান্ত হতাশা জনক। কারণ ধর্মের প্রেম ছাড়তে না পারা। অবশ্য ধর্ম প্রেমীরাও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পরস্পর কামড়াকামড়িতে লিপ্ত। তারমধ্যেও আমাদের দেশটা স্বাধীন আছে এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা। স্বাধীনতার পতাকা একবার ভারত পক্ষ উড়ায়, আবার পাকিস্তান পক্ষ উড়ায় এবং নিখাঁদ বাংলাদেশ পক্ষ নিরবে ঘুমায়।
ভারত পক্ষ পালিয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান পক্ষের ক্ষমতা ভাগাভাগির হিসাব নিকাস চলছে। পাকিস্তান এখানে ব্যবসা করার জন্য মুখিয়ে আছে। ব্যবসা হারানোর আশংকায় ভারতের মনখারাপ। তারা ঠিক কি করবে সেটা তারা ভাবছে। এত্ত পার্টিশনের মধ্যে আসলে খুববেশী ভালো কিছু আশা করা যায় না।
# পোষ্টের শিরনাম সোনা গাজীর কথা থেকে কাটছাঁট করে নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



