
আওয়ামী লীগ বলে তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। নিন্দুকেরা বলছে তারা দেশের টাকা চুরি করার স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। তারা জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনি-মিনি খেলার স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি।তারা নিরিহ জনতার সম্পদ-সম্পত্তি লুট করার স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি।এমন কি তারা নারীর ইজ্জত লুট করার স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। তারা ঘুষ উৎসবের স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। তারা চাঁদাবাজির স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। তারা ভারতের তাবেদারীর স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি। তারমানে তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি এটা ঠিক আছে, তবে এরসাথে সকল অকাজ সংযুক্ত আছে। এরকম স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির পক্ষে জনগণ থাকার কথা নয়। অবশেষে তাদের বিরুদ্ধে জনতার আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা; এমনকি শিশু কিশোররা মোচড় দিলে আওয়ামী লীগ চিৎ হয়ে পড়ে গেল। সোনাগাজী বলছে যারা আওয়ামী লীগকে চিৎ করেছে তারা পাকি হানাদার। সেই দলে তারাও ছিল তাদের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য। ভারতের পণ্য বিক্রির বাজারে ঢুকার জন্য এ দলে বিদেশীরাও ছিল। তাই বলে কচ্ছপের মত চিৎ হয়ে থাকা আওয়ামী লীগকে উপুড় করতে কেউ আসছে না। তবে তারা এখনো আশায় আছে কেউ তাদেরকে উপুড় করতে আসবে। সেই জন্য তারা চিতাবস্থায় শত্রুপক্ষকে ভয় প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আঠারই জানুয়ারী তারা একটা সর্বাত্মক হরতাল পালন করেছিল। রাস্তায় বের হয়ে হরতাল জাতীয় কিছু দেখলাম না।
আমাদের সেই কালে এরশাদের সময় হরতাল দেখতাম। তখন দেখতাম ছেলেরা রাস্তায় নেমে ক্রিকেট খেলছে। এককালে আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা দেখে ছিলাম। এখন কেউ লীগের কথা বলে না। তারা বলে একদা আমরা লীগ ছিলাম এখন নাই।কারণ হিসাবে তারা বলছে, তারা ভাগ পায় নাই।চুরির টাকা যারা পেয়েছে সেই টাকা তাদের কাছেই থেকে গেছে, সেই টাকা সমর্থক পর্যায়ে পৌঁছেনি। সেজন্য বিপদকালে সমর্থকগণ লীগকে ছেড়ে চলে গেছে। ভোটের কাজ লীগ কিছু কামলা দিয়ে করাতো। এখন যে কাজ তাতে জীবন দেওয়ার দরকার আছে। কামলারা জীবনের বিনিময়ে কামলা দিতে রাজি না হওয়ায় লীগ এখন বড় বেকায়দায় পড়ে আছে। তাদের আটকে পড়া নেতাদের অবস্থা আটকে পড়া পাকিস্তানীদের মতই কষ্টের। এ দিকে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জল্পণা-কল্পনাও চলছে।
এবার লীগ বহু লোক হতাহত করেছে। সেহিসাবে অনেকে তাদের চেহারা পাকিদের মতই দেখছে। আর লীগ বলছে সব পাকিরা করে তাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। তারা আসলে ধোয়া তুলসী পাতা। কিন্তু ভোট নিয়ে যে তারা নয়-ছয় করেছে। সেটাও কি পাকিরা করেছে? আমি বলে ছিলাম এবার অন্তত সঠিক ভোট হোক।লীগ ভক্তগণ আমার কথা সমর্থন করেনি।তো বেঠিক ভোট করে তারা অবশেষে কতমাস ক্ষমতায় থাকলো? সঠিক ভোট করলে তাদের বিপদ আমার মনে হয় আরো কম হত।বিশ তারিখের পর তাদের একটা আশা ছিল। তার পরেও আরো পাঁচ দিন চলে গেল।দেখা যাক সামনে কি হয়। সামনে ফেব্রুয়ারী, মার্চ। সেকালে বিএনপি এমন বলতো। এভাবে তাদের দেড় যুগ চলে গেল। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে কি হবে তা’ দেখার জন্য আমাদেরকে অপেক্ষায় থাকতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



