বিএনপির আত্মার সংগীত এখন- ক্ষমতা আজ কত দূরে? ক্ষমতাকে তারা এপ্রিল’২৬ থেকে ডিসেম্বর’২৫ এগিয়ে আনার চেষ্টা করছে, কিন্তু হাইজাকার পক্ষ তাদের থেকে ক্ষমতা হাইজাক করতে অপপ্রচারে লিপ্ত।এরা কারা? এদের একপক্ষ হলো ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের ভক্ত পক্ষ। এরা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের হাতেই ক্ষমতা রেখে দিতে চায়। দ্বিতীয় পক্ষ হলো নাহিদের পক্ষ এনসিপি। নাহিদ কমপ্লিট সাট ডাউন কর্মসূচী ঘোষণার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পলায়ন করেন। সেজন্য নাহিদ পক্ষ বিএনপিকে ক্ষমতা বঞ্চিত করে নিজেরাই ক্ষমতা বাগিয়ে নিতে চাচ্ছে। সেটা হলে নাহিদ হবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সি প্রধানমন্ত্রী।তৃতীয় পক্ষ হলো জামায়াত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে বিতাড়নের ক্রেডিট জামায়াতকে দিয়ে ছিলেন। সোনাগাজী বলেছেন জামায়ত আমেরিকা ও পাকিস্তানের ভাড়াটিয়া হিসাবে আওয়ামী লীগ সরকার তাড়িয়েছে।চতুর্থ পক্ষ হলো আওয়ামী লীগ। তারা তাদের হাইজাক হওয়া ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে টিউলিপ ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের সাথে বৈঠকে বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বৃটিশমন্ত্রীকে আমার যথেষ্ট চালাক মনে হয়।ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসকে রাষ্ট্রপতি করার টোপে আওয়ামী লীগ তাদের হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। উক্ত চার পক্ষের কোন এক পক্ষের ষড়যন্ত্র সফল হলে ক্ষমতা আজ কত দূরে? এটি হবে বিনিপির নিত্য বিরহ সঙ্গিত।
আওয়ামী লীগ কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার অংশ হিসাবে সেনা প্রধান ও রাষ্ট্র পতিকে স্বপদে বহাল রাখার চেষ্টা করছে। তারপর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসকে বাগানো গেলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপদে বহাল হয়ে যাবেন। তারপর যখন নির্বাচন হওয়ার কথা নির্বাচন তখন হবে। বিএনপির জন্য তখন পুরনো ইতিহাস ফিরে আসবে। সেজন্য জনাব তারেক রহমান হাসিনা বিদায়ের এতদিন পরেও দেশে ফিরছেন না। তিনি ভাবছেন দেশে এসে যদি থাকাই না যায় তবে আর দেশে ফিরে কি লাভ?
আওয়ামী লীগ সরকার এখনো ছোট গল্পের মত। শেষ হয়েও হলো না শেষ! তারা ক্ষমতায় ফিরতে পারলে জাতি একটা অট্টহাসি শুনবে।তাদের সে হাসি থামাতে চাইবে পাকিস্তান। ভারতের সাথে যুদ্ধে তারা তাদের অবস্থান ধরে রাখতে স্বক্ষম হয়েছে। এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে চীনা অস্ত্র। এ অঞ্চলে চীন হতে পারে ভারতের দুঃখ। দেশটি প্রযুক্তিতে যথেষ্ট এগিয়ে। তারপর তাদের আছে আমেরিকার সাথে টেক্কা দেওয়ার মানসিকতা।এদিকে ডক্টর মোহাম্মদের ইলনমাস্ক নামক ডালটি মনে হয় ভেঙ্গে পড়লো। তারপর তিনি জুন থেকে এপ্রিলে নেমে এলেন। তারপর চীন-জাপান তাঁর সাথে আছে। পালাতে হলে পালানোর স্থানও তিনি পাকাপোক্ত করে রাখছেন। তিনি অনেক রিস্ক নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্রে এসেছেন। তাঁর আত্মার সংগীত হলো- এ ক্ষমতা যদি শেষ না হয় তবে কেমন হতো তুমি বলতো! আমি অবশ্য ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের ভক্ত বৃন্দের এক জন। বাংলার মসনদে বসা সবচেয়ে শিক্ষিত লোক তো তিনিই। তাছাড়া তিনি আমাদের বেতন বাড়াচ্ছেন।এবার ঈদে লম্বা একটা ছুটি দিলেন। কি যে ভালো লাগে!সুতরাং ক্ষমতার আসল দাবীদার বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছেই। তারা ক্ষমতায় এসে আমাদেরকে যদি কিছু দেয়টেয় তবে তখন আমরা তাদের প্রেমে আকন্ঠ নিমজ্জিত হব সে কথা আগাম বলে রাখছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৯