শিয়ারা হলো হযরত আলীর (রা.) দল। বনু কোরায়জার হত্যাকান্ডের জন্য রাসূলের (সা.) পর তাঁর জামাতা হযরত আলীর (রা.) প্রতি ইসরায়েলের সব চেয়ে বেশী ক্ষোভ।খায়বরের পতন হযরত আলীর (রা.) হাতে হওয়ায় শিয়ায়ে আলী বা আলীর দল শিয়ার প্রতি ইসরায়েলের ক্ষোভ আরো বেড়েছে। বনু নাজিরের কারণে খ্রিস্টানরাও মুসলিমদের শত্রু। মুর্তি পুজা উৎখাতের কারণে হিন্দুরাও মুসলিমদের ভালোমানের শত্রু। ইসরায়েলের শত্রু হামাসের প্রধান মিত্র শিয়াগুষ্ঠি। সেজন্য শিয়ারা ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ। ইরানের পর তারা হুতিদেরকে ধরবে। তারপর সৌদি আরবের দখল নিয়ে তারা কাবা ঘরকে আয়ত্বে নিবে। কারণ কাবা তাদের পূর্ব পুরুষ ইব্রাহীমের (আ.) তৈরী। তারপর হজ্জোর ইমাম হবে ইহুদী। তখন মুসলিম হজ্জ করতে চাইলে করবে না করতে চাইলে না করবে তাতে ইহুদীর কি? তবে তারা আলাদাভাবে মুসলিমদেরকে হজ্জ করতে দিলেও দিতে পারে। আর ভারত চাইবে কাবাকে শিব মন্দীর বানাতে। সেটা হলে হয়ত মুসলিম হজ্জ্ব করা থেকে বিরত থাকবে। মুসলিম হজ্জ্ব করুক আল্লাহ এটা চাইলে তিনি মক্কা-মদীনা ইহুদী দখল মুক্ত রাখবেন।
রাসূলের (সা.) চার প্রিয় সাহাবা ও উম্মল মুমিনিন আয়েশার (রা.) প্রতি শিয়াদের মহাবেয়াদবীর কারণে শিয়া ছাড়া অন্য মুসলিম শিয়াদেরকে পছন্দ করে না। তথাপি তারা ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে ইরানের পক্ষে। কারণ শিয়া ও এন্টি শিয়া সবার ধর্ম ইসলাম। ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে সকল মুসলিম ইরানের জয় কামনা করে। মুসলিমদের মধ্যে যারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থ্যা মোসাদের চর তারা ইসরায়েলের জয় কামনা করে। তারা যার নুন খায় তার গুনগেয়ে তারা তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। অমুসলিমদের মধ্যে ইরানের পক্ষের লোক খুব কম।
ইসরায়েল গাজা যুদ্ধই তিন বছরে শেষ করতে পারেনি। ইরানের যুদ্ধ ত্রিশ বছরে শেষ করতে পারে কিনা সন্দেহ আছে। ইরানের অস্র ইসরায়েলের আরন ডোম ভেদ করায় তাদের হারার সম্ভাবনাও আছে। আমেরিকা বিশ বছরে আফগান যুদ্ধ শেষ না করতে পেরে রনে ভঙ্গ দিয়েছে।কিন্তু ইরানকে তারা ইরাকের মত মনে করেছে। তবে ইরান মনে হয় ইরাকের মত সহজ প্রতিপক্ষ নয়। ইরাককে সাহায্য করার মত কোন রাষ্ট্র না থাকলেও ইরানকে সাহায্য করার মত রাষ্ট্র আছে। কাজেই আমেরিকা-ইসরায়েল ইরানে শান্তিতে থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। হামাসের মত এরা হয়ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে। অস্ত্রের সক্ষতায় ইসরায়েলের সাহস অনেক বেড়েছে। দেখা যাক এ সাহস নিয়ে তারা কতদূর যেতে পারে। তবে এখনই তাদের সাফল্য বেশী হলে মনে করতে হবে কেয়ামত আর বেশী দূরে নয়। কারণ তারা সৌদী আরব দখল করলেই ইমাম মাহদী (আ.) আসবেন। যিনি আমেরিকা-ইসরায়েলের মিলিত শক্তিকে পরাজিত করবেন। এমনকি তাঁর হাত থেকে আমেরিকা-ইসরায়েলের বন্ধুরাও রক্ষা পাবে না। এটা মুসলিদের বিশ্বাস। তাদের এবিশ্বাস কতটা সঠিক হয় সেটা সামনে দেখা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪