মানুষতো দূরের কথা এআই পর্যন্ত আমেরিকা-ইসরাইলকে বিশ্বাস করছে না। তারা হয়ত আরো সফল আক্রমণের প্রস্তুতির জন্য যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিচ্ছে। আর যুদ্ধ বিরতি মানে যুদ্ধ সমাপ্ত নয়। এদিকে বিরতি ভেঙ্গে উভয় পক্ষ হালকা-পাতলা আক্রমন চালাচ্ছে।এ কয়দিনের যুদ্ধ ফলে জানাগেল ইসরাইলের আকাশে ফুটা আছে এবং ইরানের আকাশ উম্মুক্ত। প্রায় দু’শ বছর যারা বৃটিশের গোলামী খেটেছে তাদের কেউ কেউ ইরান পরাজিত হবে ভেবে উল্লসিত। জোর যার রাজ্য তার- এতো আর নতুন কথা নয়। জোরে না পারলে ইরান গোলামী খাটবে, এর বেশী আর কি হবে? আর মৃত্যু? দৈনিক বিভিন্ন প্রাণী মিলে হয়ত কোটি প্রাণের মৃত্যূ ঘটে। যারা আজ জয়ী তারাও একদা মৃত্যু বরণ করবে। আর মুসলিম কখন আল্লাহর সাহায্য পাবে সেইটার কথা বলা আছে সেটা হবে সৌদি আরবের পতনের পর। সেকালে আরবরা হাল ছেড়ে দেওয়ার পর আবাবিল এসেছে, এবারও তাদের বেহাল দশার পর আল্লাহ হাল ধরবেন। তার আগে আল্লাহ তামাসা দেখবেন। তাঁর তামাসা দেখা শেষ হলে তিনি তামাসা দেখাবেন।
ইরান হেরে যাওয়ার পর আমেরিকা-ইসরায়েল ইয়েমেনের দিকে নজর দিবে। ইয়েমেন হেরে গেলে সৌদি আরবের পালা আসবে। যে কোন অযুহাতে সৌদি আরব আক্রান্ত হবে। তখন মক্কা-মদীনা রক্ষায় আল্লাহ উদ্যোগী হবেন। তাঁর জয়ে শত্রু পক্ষের ব্যাপক পরাজয় দরকার হবে। সুতরাং আমেরিকা-ইসরায়েলের জয় মানে বুঝতে হবে কেয়ামত সন্নিকটে এবং ইহুদী বিলুপ্তি। সুতরাং ইহুদী আরো কিছুকাল টিকে থাকার জন্য তারা জয়ী না হয়ে যুদ্ধ বিরতি থাকা ভাল। যুদ্ধ চলমান থেকে তারা জয়ী হতে থাকলে হঠাৎ আল্লাহর মাইরে তারা শেষ হয়ে যাবে। এগুলো বিশ্বাসের কথা, কেউ তা’ অবিশ্বাস করলে তাকে তা’ জোর করে বিশ্বাস করানো যাবে না।
পৃথিবী যেমন আছে তেমন থাকলে পৃথিবী হয়ত আরো বহুকাল থাকবে। আর যুদ্ধ বিগ্রহ বাড়তে থাকলে আল্লাহ সহসা পৃথিবীর ইতি টানতে পারেন। আমেরিকার জন্য অশুভ সংবাদ হলো তাদের বিশ্ব শাসনের খায়েস হয়ত পূরণ হবে না। তাদের উচ্চাকাঙ্খার জন্য পৃথিবীকে অনেক মূল্য চুকাতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জয় আমেরিকাকে পাগল বানিয়ে ছেড়েছে। কারণ সেই যুদ্ধের ফল তারা একা ভোগ করতে পারেনি। এখন তারা একাই বিশ্ব শাসন করতে চায়, সাথে আছে ইসরায়েল হায়না। তারা আমেরিকার শিকারের হাড়-গোড় পায়। সঙ্গী নিয়ে বিশ্ব জয়ে নামলেও সঙ্গীদেরকেও তারা চাহিদা মত ভাগ দিবে না। এর ফাঁকে চেপে ধরা শিকার নিজেকে ছাড়িয়ে দানবে পরিণত হবে এবং আমেরিকা ও এর বন্ধুদেরকে শেষ করবে। হাদিস অনুযায়ী এসব কথা বলা হলেও এতে লজিক আছে। সুতরাং যে কোন ঘটনায় সাময়িক উত্তেজনা ঠিক না। ব্লগের এক স্যা্র আছেন তিনি বেশী উত্তেজিত হচ্ছেন। এটা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য অনিরাপদ। আর আছেন বার বার ব্যান খাওয়া প্রকৌশলী মডুর কাছে যার সকল কৌশল তুচ্ছ। তাঁর মহা ভক্ত রানু বিএনপির কোমর ভাঙ্গার গল্প শনিানোর পর দেখা গেল তারা আবা কোমর সোজা করে দাঁড়িয়েছে। একালে প্রতিটি প্রেডিকশন বেঠিক প্রমাণিত হচ্ছে। তবে গ্রেট ম্যান মোহাম্মদের (সা.) ঘোষণা বাস্তবায়িত হওয়ার পথে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪৫