সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ৫৬ নং হতে ৬১ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৬। সেই সকলের মাঝে রয়েছে বহু আনত নয়না, যাদেরকে পূর্বে কোন মানুষ অথবা জ্বীন স্পর্শ করেনি।
৫৭। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৫৮। তারা যেন পদ্মরাগ ও প্রবাল
৫৯।সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৬০। উত্তম কাজের জন্য উত্তম পুরস্কার ব্যতীত কি হতে পারে?
৬১। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ৭০ নং হতে ৭৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭০। সেই উদ্যানসমুহেন মাঝে রয়েছে সুশীলা সুন্দরীগণ।
৭১।সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৭২।তারা হুর, তাবুতে সুরক্ষিতা।
৭৩। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৭৪। এদেরকে ইতিপূর্বে কোন মানুষ অথবা জ্বীন স্পর্শ করেনি।
৭৫। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
৭৬। ওরা হেলান দিয়ে বসবে সবুজ তাকিয়া ও সুন্দর গালিচার উপর।
৭৭। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে।
সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
* উভয় বলতে জ্বীন-ইনসান, নারী-পুরুষ সকল জান্নাতিকে বুঝায়। সুতরাং সকল জান্নাতি হুর পাবেন। কোরআন সহজ বিধায় আমরা সহজভাবে এটা বুঝি। শুধু পুরুষ হুর পাবে এমন কোন স্পষ্ট প্রমাণ কোরআনে নাই।আর সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া ইসলামে কোন বক্তব্য সাব্যস্ত হয় না। সুতরাং শুধু পুরুষ হুর পাবে আমরা এমন বক্তব্য বাতিল ঘোষণা করছি।
নারী হুর দিয়ে কি করবে? তারা যদি বালিকা মনের হয় তবে সখি বান্ধবী যে কাজে লাগে হুর নারীদের সেকাজে লাগবে। ভাত-কাপড়ের জন্য নারীরা আবুলের বাপদের সাথে ঘর বাঁধে। জান্নাতে ভাত-কাপড়ের জন্য নারীদের আবুলের বাপদের দারস্থ্য হতে হবে না। সুতরাং তারা তাদের হুরদের সাথে সুখেই থাকবে। তবে আবুলের বাপদের কথা মনে পড়লেই তারা তাদের কাছে এসে হাজির হবে।
একটা সময় আমরা কুকুরদেরকে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি খুব আকৃষ্ট দেখি। অন্য সময় আমরা তাদেরকে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি খুব একটা আকৃষ্ট দেখি না।তো পুরুষের প্রতি আকৃষ্টই যদি নারি না থাকে তবে আবুলের বাপদের নিয়ে তাদের কি কাজ? আবুলের বাপদের ছাড়াও তারা হুরদের সাথে জান্নাতে সুখে-শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারবে। গরু ঘাস খায় আমি ঘাস খাই না। সুতরাং ভোগ-উপভোগ রুচি অনুযায়ী হয়ে থাকে। আমার পছন্দের গান আমার স্ত্রীর পছন্দ নয়, আর আমার স্ত্রীর পছন্দের গান আমার পছন্দ নয়। তো নারীর পছন্দ পরিবর্তন হয়ে যদি তারা তাদের পছন্দ মতই সব পেয়ে যায় তবে আবুলের বাপেরা কি পেল তা’ নিয়ে নারীর কি কাজ?
আমি যখন খুব উত্তেজিক হয়ে ক্রিকেট খেলা দেখি তখন আমার স্ত্রী-কন্যা রেসিপি দেখে। অথচ রেসিপি দেখে আমি কোন মাজা পাই না। ক্ষণিক আগেও আমার স্ত্রী আমাকে খুব আগ্রহ সহকারে একটা রেসিপি দেখালেও মুলত আমি সে রেসিপি দেখা কোন দরকারী কাজ মনে করিনি। তো আবুলদের মায়েরা জান্নাতে কি নিয়ে ব্যস্ত থাকবে তা’ দিয়ে আবুলদের বাপের কি? আর তখন আবুলদের বাপ হুর দিয়ে ব্যস্ত থাকলে আবুলদের মায়ের সমস্যা কি? যদি তার থেকে সতীনের হিংসা তুলে নেওয়া হয়। তবেতো এতে সমস্যা হবার কথা নয়। আমার মা খুব ধার্মিকা ছিলেন। তিনি বলতেন জান্নাতে সতীনের হিংসা থাকবে না।আর জান্নাতেই যখন যাবে তবে সেখানে কষ্টে থাকার মত কিছুই নারীরা পাবে না- এমন বিশ্বাস তাদের আল্লাহর উপর থাকা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:১৪