
সরকার প্রধান জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দেশের এক ইঞ্চি জায়গা অনাবাদী না রাখার উপদেশ প্রদান করেছেন। তারপর তিনি সরকারি জায়গায় ব্যক্তিগত চাষাবাদ অব্যাহত রেখেছেন। এতে বুঝাগেল সরকারি জায়গায় সরকারি লোকের ব্যক্তিগত চাষাবাদ অসংগত নয়। সরকারি জায়গায় সরকারি লোকদের এমন চাষাবাদের দৃষ্টান্ত রয়েছে হাজার হাজার। আমার বসবাসের সরকারি ডরমেটরির পিছনে আমার দুই কলিগ হাঁস, মোরগ, মুরগী ও কবুতর পালনের ছোট ছোট অস্থায়ী স্থাপনা তৈরী করে তাতে হাঁস, মোরগ, মুরগী ও কবুতর পালন শুরু করে। তাদের দেখা দেখী আমিও একটি ছোট অস্থায়ী স্থাপনা তৈরী করে তাতে মোরগ ও মুরগী পালন শুরু করি।আমার জামাই বেড়াতে আসলে আমি নিজম্ব উৎপাদিত চারটি মোরগ জবাব করি। অবশ্য আমি বাজার থেকেও মুরগী ক্রয় করেছি। তবে নিজস্ব মুরগী জবাই করায় আমার আর্থিক অবস্থায় কিছুটা চাপ কম পড়ে।
গত ০৩-০৯-২০২৫ খ্রি. তারিখে আমার প্রতিষ্ঠান প্রধান বাসা বরাদ্ধ কমিটির ২০-০৮-২০২৫ খ্রি. তারিখের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরিবেশ সুরক্ষায় যুব ভবন ক্যাম্পাসের ডরমেটরীর ছাদ সহ পাশের খালি জায়গায় হাস-মুরগী ও পশু-পাখি পালনের স্থাপনা আগামী ২০-০৯-২০২৫ খ্রি. তারিখের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ প্রদান করেন। এরমধ্যে আমার দুই কলিগের স্থাপনা ডরমেটরির ছাদে এবং আমি সহ তিন জনের স্থাপনা ডরমেটরির পাশে ও পিছনে।যা ময়লাফেলার স্থানের পাশে।আমাদের হাঁস, মোরগ ও মুরগী ঝুটা ও বাসি খাবার খেয়ে সাবাড় করে সরকারি বৃক্ষে প্রতিনিয়ত জৈব সার প্রদান করে।প্রাণী গুলো পরিবেশের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করছে। এসকল চাষাবাদ না করার পূর্বে উক্ত ময়লা স্থানে যে পরিমাণ পোকা উৎপন্ন হত তাতে আমার বাসায় বসবাস করাই দায় ছিল। এখন সেসব পোকা-মাকড়ের উৎপাত নাই। সুতরাং এসব প্রাণী পরিবেশ বান্ধব বিধায় পরিবেশ সুরক্ষায় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি আমার বিবেচনায় সঠিক নয়।
আমার এক কলিগ বলেছেন তিনি তাঁর সন্তানদেরকে এসব দামী প্রাণী ও এদের ডিম কিনে খাওয়াতে পারেন না বিধায় তিনি নিজে এসব প্রতিপালন করে তাঁর পরিবারের উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করেন। নিষেধাজ্ঞার পত্রে উক্ত কাজকে সরকারি কর্মচারী চাকুরী বিধির সসম্পূর্ণ পরিপন্থি বলা হয়েছে। এ বক্তব্য কতটা সঠিক। আর আইন হলো মানুষের জন্য মানুষ আইনের জন্য নয়। সংগত কারণে বিলম্ব হওয়ার পরে ছাত্রীকে আইন অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ কিরস্কৃত হয়েছেন এবং সরকার প্রধান বিশেষ ভাবে উক্ত ছাত্রীর পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করেছেন। মানবিকতার প্রশ্নে আইন অচল হয়ে পড়ে। আইনের দোহাই দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে প্রধান বিচারপতি এখন কারাগারে আছেন। আমাদের দেশের আমলাগণ আইনের অপপ্রয়োগ করতেই পছন্দ করেন।সরকার কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষিসম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালিত করছে, আর সরকারি আমলাগণ দলবদ্ধভাবে কৃষি অপসারণের আদেশ জারি করেছে। যে চাষাবাদ বন্ধে তারা আদেশ জারি করেছেন তা’ জাতীয় অগ্রগতিতে অবদান রাখছে। তারা বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াচ্ছে এবং বাজারে চাহিদা কমাচ্ছে। প্রাণীর খাবার ও ঔষধ ক্রয় করে তারা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্প্রসারণ করছে। তথাপি আইনের অযুহাতে এটা বন্ধের উদ্দৌগ কতটা যৌক্তিক? আমি তাদের বিরোধীতা করায় তারা আমাকে বদলীর হুমকী প্রদান করেছে। আমি তাদের এ হুমকীর তোয়াক্কা করিনি। তারা সরকারি জায়গা লিজ দিয়ে আমরা লিজ নিয়ে চাষাবাদে সম্মত আছি। কিন্তু কোনক্রমে উক্ত চষাবাদে বন্ধে সম্মত নই। এ ক্ষেত্রে আসলে কি করা উচিত? আমার কাজ যদি আসলেই বে-আইনী হয় তবে আমি এটা পরিত্যাগ করব। আর এটি বে-আইনী না হলে আমি আমলাগণকে এটা বুঝাতে চেষ্টা করব। এ ক্ষেত্রে সঠিক বিষয় জানতে আমি সবার সহায়তা কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



