
আপার দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে অনেক দেশ আমাদের দিক থেকে সহযোগিতার হাত গুটিয়ে নিবে। আমাদের আবার বিশ্বের প্রায় সব দেশের সহযোগিতা লাগে। সেজন্য আমাদের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হওয়ার দরকার আছে।
আপার বিরুদ্ধে জোট করতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন পিআরএ জাতীয় সংসদের নিম্ন কক্ষের আগে করতে হবে। তাতে জানা যাবে আপা বিরোধী জোটের নেতৃত্ব দিবে কোন দল এবং সেই দল শরীক দলের কোন দলকে কোথায় কোন আসন ছাড়বে। জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন পিআরএ আগে হলে নিম্ন কক্ষের নির্বাচনের উচ্চ কক্ষের মাধ্যমে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নেওয়া যাবে।
আপার দলের সাথে ভারত ও রাশিয়া এবং ‘র’ ও ‘কেজিবি’ আছে। সুতরাং আপার দলকে হিসাবের খাতার বাইরে ছুড়ে ফেলা ঠিক না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আপা বিরোধী জোট জাতীয় সরকারের মত সরকার হলে শক্তিশালী হবে। আপা যেহেতু ফাঁসির আসামী সেহেতু আপার দলে একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেই চলবে। আপার দল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না এমন ধারণা আসলে ভুল ধারণা। আপার দলকে চেপে ধরে রাখলে সেখান থেকে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারলে অনেকের জন্য অনেক বেশী অসুবিধা হবে। তারচেয়ে বরং যা হয় হোক তা’ নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হোক। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি কোন কালে ভালো না। আর আপা বিরোধীদের কারো এখনো এককভাবে ক্ষমতা ভোগের সময় আসেনি। তাদের কেউ এককভাবে ক্ষমতা ভোগ করতে চাইলে আপা ভয়ংকরভাবে ফিরে এসে তাদের ঘাড় মটকাবার সম্ভাবনা। পালিয়ে থেকেও আপা কিন্তু হুমকি-ধামকি কম দিচ্ছেন না। সঠিক নির্বাচনে আপা যদি দেখেন তাঁর জনসমর্থন খুব বেশী কমে গেছে তখন আপা কিছুটা দমে থাকবেন। তখন আপা বিরোধীদের লিডিং দল একক নির্বাচন করতে চাইলে তাদের শরিকেরা জোট করে নির্বাচন করতে পারবে। যে কোন অবস্থায় আপার দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে করা নির্বাচন জাতির জন্য আত্মঘাতি হবে। আমাদের এমনিতে সমস্যার অন্ত নাই। তার উপর একটা গৃহযুদ্ধ লেগে গেলে এর ধকল আমরা সইতে পারব না। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হলে সবাইকে সাথে নিয়ে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা উত্তম। আপা বিরোধী উত্থান সিএইএ কেন্দ্রীক হলেও ট্রাম্পের কারণে এটি এখন দূর্বল। সংগত কারণে সব দিক হিসাব করে কাজ না করলে জাতির জন্য বিপদ হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


