somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহ রাজত্ব/ক্ষমতা কাকে দান করেন?

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

* রাজত্ব/ক্ষমতা লাভের শর্ত হলো নিজের শত্রু/আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার শক্তির সঞ্চয়। অমুসলিমগণ নিজের শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার শক্তির সঞ্চয় করলেই ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। ইসরায়েল রাষ্ট্র এ শর্তে গঠিত। তাদের থেকে আত্মরক্ষায় তাদের নিকটস্থ মুসলিম জাতি সমূহের নিজের শত্রু/আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার শক্তির সঞ্চয় করতে হবে। আমরাও এ একই শর্তে আবদ্ধ। এ শর্ত পূরণে সক্ষম হওয়ায় মহানবি (সা.) রাষ্ট্র গঠন ও তা’ টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হন। আব্বাসীয়গণ এশর্তে পিছিয়ে পড়ায় মঙ্গল আক্রমনে ক্ষমতা হারায়। এশর্তে এগিয়ে গিয়ে তুর্কীরা ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। অমুসলিম মুসলিম থেকে এ শর্তে এগিয়ে যাওয়ায় মুসলিম অমুসলিমের তাবেদারে পরিণত হয়েছে।এ শর্তে সমৃদ্ধ হওয়ায় পাকিস্তান আত্মরক্ষায় সক্ষম হচ্ছে। এ সংক্রান্ত এলেম সবচেয়ে বড় দ্বীনি এলেম। এদেরকে আলেম না বলে কওমীদেরকে কেন আলেম বলা হয় সেটা বুঝা মুশকিল। যে এলেমে মুসলিমদের আত্মরক্ষার সক্ষমতা অর্জীত হয় না সে এলেমকে খুববেশী গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নাই।আর কোন অঞ্চলে ইসলামী শাসন আসতে হলে সে অঞ্চলের এক তৃতীয়াংশ নাগরিক ইসলামী অনুশাসন পালনকারী হতে হবে। নারীর মসজিদে যেতে হয় না বিধায় যদি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের ১৭% ফয়জরের জামাতে হাজির থাকে তাহলে কোন এলাকায় ইসলামী শাসনের সম্ভাবনা তৈরী হয়। বাংলাদেশে ফয়জরের জামায়াতে প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের ৫% হাজির হয় কি না এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। সংগত কারণে এখানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং তারপর ইসলামী শাসন টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। যারা এখানে ইসলামী শাসন চায় তাদের প্রথম কাজ ১৭% নাগরিককে নিয়মিত ফয়জরের জামায়াতে হাজির রাখা এবং নারীদের ১৭% কেউ ওয়াক্তমত ফয়জরের নামাজ আদায় করতে হবে। ৩৪% নাগরিকের সব নামাজ আল্লাহর দরবারে গৃহিত হতে হবে। তারমানে এরা হারামখোর হবে না। তারপর ইসলামী শাসনের ঘোষণা আসলে এরা পৃষ্ঠপ্রদর্শ করবে না এদের অবস্থা এমন হতে হবে। এদের নেতাগণ বেয়াক্কেল হলেও এদের দ্বারা ইসলামী শাসন আসবে না। ইসলামী শাসনের শর্ত পূরণের কিছুই নাই, তথাপি এখানে ইসলামী শাসনের আশা কিভাবে করা যায় এটা বোধগম্য নয়। এখানে এখন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে হবে। এদেশের জন্য এখন এটাই উপযুক্ত।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১১
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×