খাঁ-খাঁ ফেটে যাচ্ছে অনিকেত শহর। আমার দু চোখে
গনগনে সূর্য আর বিরাণ পা জুড়ে হাজারমণী পাথর।
ভেঙে ভেঙে হাঁটছি, ঐ তো ওখানে পুরোনো কবিতাঘর
ওখানে আমার হৃদয় পুড়েছিল। ওখানে আমায়
শান্তি দেবে কাজল পরা কবিতার মেয়ে।
সে আমায় কবিতা শুনিয়েছিল
অধীত অতীতের হেমখনি খুঁড়ে
আজও সেই পঙ্ক্তির ভেতর থেকে
স্রোতস্বিনীরা স্নিগ্ধ ভিজিয়ে দেবে।
হয়ত আমারে সে আজও ভালোবাসে
হয়ত আমারে সে আগেও বাসতো ভালো
যেমন সে কবিতা ভালোবাসে
কত না নিটোল, কত না মধুর সেই ভালোবাসা
কতদিন দেখি না মেয়েকে। তৃষ্ণায় চৌচির
নিগূঢ় বাসনায় উদ্ভ্রান্ত হেঁটে চলি
কবিতার অন্বেষণে।
কড়া নাড়তেই ঝাপসা হয়ে আসে চোখ -
দরজা বন্ধ। কে জানে, কতকাল আগে
স্ব-ভূমে ফিরে গেছে কবিতার মেয়ে
আর কোনোদিনই ফিরবে না বলে।
আকাশ ভেঙে খান খান, সূর্যরা গলে পড়ে।
আমারে একদণ্ড শান্তি কোথায় কে দেবে?
আমারে কি বাসতো ভালো কাজল পরা কবিতার মেয়ে?
১৯ এপ্রিল ২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৬