কিছুই নেবে না সে। তার কোনো লোভ নেই।
তার কোনো আবেগ অথবা অনুভূতি নেই।
নিঝুম অন্ধকারে গা ঘেঁষে দাঁড়ালে তার শরীরও নির্জীব অন্ধকার
সে খেলে না আমায় নিয়ে সুলভ অভ্যাসের মতো
আমার অঙ্গে অঙ্গে বিপুল মাৎসর্য্য দাহন
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করি তার জীবন ও সংসার
আমাকে সুখ দেয় অনিন্দ্য রহস্যের প্রেমাপন্ন পাপ
একটা ধারালো তরবারি চোখের সামনে খাপ থেকে খুলে
হাতে নেব তুলে
আর তার নির্জন শয্যায় একটা আগুন শরীর বিছিয়ে দেব
ভেবেছি কতদিন
ও একটা বড্ড সুপুরুষ, সারাবেলা প্রেম দেয়
ও একটা ছা-পোষা কাপুরুষ, নিপাতনে প্রণয় শেখে নি
ও এত ভালো কেন? ও এত পাষণ্ড কেন, জানি না।
আমরা যাই লং ড্রাইভে, রিকশায় সারা শহর
পার্কে, রেস্তরাঁয় ঘুরি; সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখি
আলগোছে হাতের আঙুল নাড়ি মুঠো ভরে
তারপর বুকের উপর রোমশ বলিষ্ঠ হাত
‘তামাম পৃথিবী তোর’, ফিশফিশিয়ে বলি, ‘এই নে!
তামাম পৃথিবী তোর!’
মোমের মতো গলতে গলতে হাত নেমে গেলে
অস্ফুট উচ্চারণে বলে, ‘থাক না এসব!’
যার সবই আছে, না চাইতেই সব সে পেয়ে যায়
সব পাওয়া যার নিয়তি, সে কিছুই নেয় না।
কিছুই নেয় না সে। তার কোনো লোভ নেই।
তার কোনো আবেগ অথবা অনুভূতি নেই। ছিল না।
মাটি কিংবা পাথরের শরীর তার।
সে এক পাষাণ সুপুরুষ।
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১২