নোভা আর হিরনের ২ বছরের নির্দোষ প্রেম বিয়েতে গড়িয়েছিল। বিয়ের পর কয়েক মাস ওদের প্রেম খুব উদ্দাম ছিল। এরপর ভাটা পড়ে; তারপর মরানদীর মতো ওদের প্রেম মরে গেলো।
কখনো কখনো প্রেমের উদ্দামতা অর্থক্ষমতার সমানুপাতিক হয়ে থাকে; হয়ত-বা এটা একটা চিরন্তন সত্যও হয়ে থাকবে। হিরনের জীবনে স্ত্রী একসময় খুব বোঝা হয়ে উঠলো, যখন সে একেবারে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়লো।
— চলো, আমরা ডিভোর্স নিয়ে ফেলি। তোমার জীবনটা এভাবে নষ্ট করবে কেন? একদিন খুব স্বাভাবিকভাবে হিরন এ কথাটা বললো। আশ্চর্য, সত্যিই ওরা পরস্পরের কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে নিল।
দু বছর পর পরিবারের দেয়া সেটল্ড ম্যারেজের মাধ্যমে নোভার জীবনে সুখ নেমে এলো। আহা, এত সুখ ওর কপালে ছিল, তা কি সে নিজেই জানতো?
নোভা একদিন স্বামীর সাথে ঘুরতে বেরোলো। ঘুরতে ঘুরতে চলে গেলো হিরনের বাড়ি।
আমাদের চোখের সামনে, কিংবা বাস্তব জীবনে প্রতিদিন কত নাটকীয়তা ঘটতে দেখি, তার কোনো শেষ নেই।
হিরনের অবস্থা সামান্য ভালো। একটা শনের ঘর। একটা বউ। একটা চিকন, শুকনো শরীর, আর আছে মহাজনের একটা রিকশা।
নোভা নিশ্চয়ই এতখানি ভাবে নি। কিন্তু জীবন এমনই। নোভার মনটা হুহু করে কেঁদে উঠলো।
৭ অক্টোবর ২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০