somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ICC Men's T20 World Cup 2022/23 : সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশের সম্ভাবনা; অন্যান্য দলের সম্ভাবনা

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
গ্রুপ নাম্বার-২ - বাংলাদেশ যে-গ্রুপে

সবার আগে নীচের ছবিতে পয়েন্ট টেবিলটা দেখে নিন।



এই লিংকে গিয়েও পয়েন্ট টেবিলটা দেখে নিতে পারেন - পয়েন্ট টেবিল

অংকে যাদের মাথা ঘোরায়, তারা প্লিজ স্কিপ করুন। উল্লেখ্য, আমি অংকে ভালো :)

আগামী ০৬ নভেম্বর, রবিবার ভোরেই সাউথ আফ্রিকার ভাগ্য নেদারল্যান্ডসের সাথে খেলায় স্থির হয়ে যাবে। সহজ প্রতিপক্ষ। কোনো অঘটন না ঘটলে, বৃষ্টি বাগড়া না দিলে সাউথ আফ্রিকা জিতবে এবং সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করবে ৭ পয়েন্ট নিয়ে। তবে, সাউথ আফ্রিকা যদি হেরে যায়, তখন খেলা জমে উঠবে।

আগামী ০৬ নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটা নরমাল কোনো ম্যাচ হবে বলে মনে হয় না। যে জিতবে তারই হবে ৬ পয়েন্ট। কিন্তু সেমির আশা জিইয়ে রাখার জন্য নেট রান রেটে ইন্ডিয়ার চাইতে এগিয়ে থাকার জন্য বিজয়ী দলকে অনেক বড়ো ব্যবধানে জিততে হবে। এজন্য পিচে আগুন জ্বালতে হবে, কিছু ব্যাট ফাডাইতে হবে, ক্রিজ ভাঙতে হবে, মাটি গর্ত কইরা ফালাইতে হবে।

ইন্ডিয়ার সামনে থাকবে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে জিতলে ইন্ডিয়ার পয়েন্ট ৬-ই থাকবে। তখন বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের বিজয়ী (ইনশা'ল্লাহ সেটা বাংলাদেশই হবে) এবং ইন্ডিয়ার মধ্যে নেট রান রেট সাহেব ভূমিকা রাখবেন। আর ইন্ডিয়া জিতে গেলে, ঐদিকে সাউথ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে গিয়ে থাকলে ইন্ডিয়ার পয়েন্ট ৮ হবে, ইন্ডিয়া সেমিফাইনালে চলে যাবে, আর বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের মধ্যে বিজয়ী দল হবে বাংলাদেশ, এবং রানার আপ, ইন শা'ল্লাহ। আর যদি ইন্ডিয়া জিম্বাবুয়েকে হারায়, সাউথ আফ্রিকা হারায় নেদারল্যান্ডসকে, তাহলে ইন্ডিয়ার ৮ পয়েন্ট, সাউথ আফ্রিকার ৭ পয়েন্ট, আমরা পাকিস্তানকে হারাইয়াই ৬ পয়েন্ট লইয়া বগলে ডুগডুগি বাজাইয়া নাচতে থাকুম :)

গতকাল ০৩ নভেম্বরে পাকিস্তান ৩৩ রানে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে নেট রান রেটে বাংলাদেশ ও ভারতের চাইতে অনেক বেশি ফেভারেবল পজিশনে চলে গেছে - এটা বাংলাদেশের জন্য ডিজঅ্যাডভান্টেজ।

সিমিলার কন্ডিশনে সাউথ আফ্রিকার চাইতে বাংলাদেশ গত ০২ নভেম্বরে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে অনেক ভালো খেলেছিল। ইন্ডিয়ার ভিত তছনছ করে দিয়েছিল বাঙালিরা, যদিও হার মানতে হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ঐ ম্যাচের আগের দিন এডিলেইডে শাকিবের স্টেটমেন্ট নিয়ে অনেকেই বিতর্ক করছেন। মিডিয়ায় অনেক উলটাপালটা কথা লেখা হয়েছে, যা শাকিবের বলা মূল কথা থেকে অনেক ফ্যাব্রিকেট করা হয়েছে। আমি পুরা ভিডিওটা দেখেছি। খুব নরমাল ভাবে শাকিব কথাটা বলেছিলেন। এটা ছিল কিছু স্ট্র্যাটেজিক বক্তব্য, যদিও বেশ ক্যাজুয়ালিই তিনি কথাগুলো বলছিলেন। এটা ইন্ডিয়ার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করার একটা কৌশল, খেলাধুলায় যা অহরহ ঘটে থাকে। একইভাবে, নিজেদের উপর থেকেও চাপ কমে যায় অনেকখানিই। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে কেবল আয়োজক হবার সুবাদে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে কাতার। তো, তারা যদি বলে আমাদের টার্গেট হলো বিশ্বকাপ জয় করা, এটা ইতিহাসের সেরা কৈতক হইয়া যাইব। ফর দ্যট ম্যাটার, জাপান, তিউনিশিয়া, মরক্কোর মতো দলও যদি বলে ফেলে, আমাদের লক্ষ সেমি-ফাইনাল, সেগুলোর ইতিহাসের সেরা কৈতকই হইয়া যাইব। 'ইন্ডিয়া একটা ফ্যাভারিট টিম, তারা চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছে, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে আসি নি। আমরা ভালো করেই জানি, ইন্ডিয়ার বিপক্ষে আমরা জিতলে সেটাকে আপসেট বলা হবে। আমরা আমাদের সেরা খেলাটাই খেলবো, এবং আপসেট ঘটাব।' এই নিষ্কলুষ ও নির্দোষ কথাগুলো শাকিব খুব সাধারণ ভাবে বলেছেন, এবং 'আমরা ভালো করেই জানি, ইন্ডিয়ার বিপক্ষে আমরা জিতলে সেটাকে আপসেট বলা হবে। আমরা আমাদের সেরা খেলাটাই খেলবো, এবং আপসেট ঘটাব।' কথাটার মধ্যে কতখানি জেদ ও ক্ষোভ কাজ করেছে, অনেকেই সেটা ধরতে পারে নি। কিছু অসৎ মিডিয়া ও অসৎ লোক এ কথাগুলোকে আবার বিকৃত করেছে এভাবে - 'আমরা জিততে আসি নি। আমরা ইন্ডিয়াকে হারাতে আসি নি। ইন্ডিয়াকে হারালে সেটা আপসেট হবে'। ইত্যাদি। চিন্তা করুন, মানুষ কতখানি অসৎ ও নিকৃষ্ট হলে একজন ক্যাপ্টেনের কথাকে এভাবে বিকৃত করতে পারেন।

০২ নভেম্ব ঐ ম্যাচে আইসিসি আবারও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ করেছে; অর্থাৎ, যে-সুবিধাগুলো বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছিল, তা আম্পায়ারগণ বাংলাদেশকে দেন নি। যেমন, কোহলির ফেইক থ্রোয়িং-কে আইনের আওতায় আনা হয় নি, কোহলির আবেদনের প্রেক্ষিতে আম্পায়ার 'নো' বল কল করেছেন; বৃষ্টির ফলে মাঠে কাদা থাকা সত্ত্বেও, শাকিবের আবেদন বা প্রতিবাদে আম্পায়ার ভেজা মাঠে খেলা শুরু করেন, যার মূল্য দিতে হয় লিটন দাসের পা পিছলে যেয়ে রান আউট হওয়ার ঘটনায়। বাংলাদেশের সাথে এরকম সৎছেলে সুলভ আচরণ না করলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।

ইন শা'ল্লাহ, পাকিস্তানকে হারাতে হবে, এটা হলো আমাদের ইমিডিয়েট টার্গেট। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ হবে ০৬ নভেম্বর রবিবার সকাল ১০টায়। সাউথ-আফ্রিকা নেদারল্যান্ডস ম্যাচ হবে সকাল ৬টায়, ইন্ডিয়া-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দুপুর ২টায়।


**
এবার আপনাদের মাথায় আরেকটু চক্বর লাগাইয়া দিই :)

বাংলাদেশকে সেমিতে খেলতে হলে নিম্নের তিনটা 'যদি' পার হতে হবে :

*NL beats SA*
ZMB beats India - অনেক বড়ো ব্যবধানে, মানে গো-হারা হারাইতে হবে, কিছু রেকর্ডসহ
BD beats Pak - অনেক বড়ো ব্যবধানে। কত বড়ো ব্যবধানে, তা নীচে হিসাব দেখুন।

যদি NL beats SA, তাতে বাংলাদেশের সামনে থেকে একটা প্রতিযোগী কমে যাবে; সাউথ আফ্রিকা তখন ৫ পয়েন্ট নিয়া সেমির দৌড় থেকে আউট। তবে, সাউথ আফ্রিকা যদি জিতে যায়, তখন সাউথ আফ্রিকা অলরেডি সেমিতে উঠে যাবে ৭ পয়েন্ট নিয়ে। আমাদের সামনে থাকবে কঠিন চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানকে হারানো আর একটা যদি *জিম্বাবুয়ের কাছে ইন্ডিয়ার হেরে যাওয়া।*

কিন্তু, ইন্ডিয়া হেরে গেলেও এবং বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেও বাংলাদেশের পথ ক্লিয়ার হবে না। ঐদিকে জিম্বাবুয়ের কাছে ইন্ডিয়াকে বেশ গো-হারা হারতে হবে, যাতে ইন্ডিয়ার নেট রান রেট নেগেটিভ হয়ে বাংলাদেশের চাইতেও বেশি নেগেটিভ হয়।

এবার আমাদের ক্যালকুলেশন দেখা যাক। ৭৬ ওভারে বাংলাদেশ পক্ষে করেছে ৫৪০ রান এবং একই সংখ্যক ৭৬ ওভারে বিপক্ষে হয়েছে ৬৩৭ রান, পার্থক্য হলো ৯৭ রান (নেট রান রেট -1.276)। ঐদিকে ভারত আছে ৫৮-৬০ রানের প্লাসে। ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন? ইন্ডিয়া যদি ১ রানে হারে, আমাদেরকে পাকিস্তানকে হারাতে হবে আগে ব্যাট করে ৯৭+৫৮+১= ১৫৬ রানের ব্যবধানে :) এটা একটা রাফ হিসাব। ভারত যদি ১০০ রানে হারে, তাহলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫৬-১০০=৫৬ রানে জিতলেই হবে। বুজেছেন, প্রিয় বন্ধুরা?

এগুলো রাফ হিসাবে। সূক্ষ্ম হিসাব হয়ত এর সাথে ৫-১০ প্লাস মাইনাস হতে পারে।

তো, এই থেকে কী মনে হয়?

আমাদেরকে পাকিস্তানকে হারানোই হবে ইমেডিয়েট টার্গেট। বিশাল ব্যবধানে হারাইতে যাইয়া টাইগাররা আবার নিজেরাই সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড কইরা বসলে সেটা খুব খারাপ হবে, তাই না?

গ্রুপ নাম্বার-১

আগে গ্রুপ-১ এর পয়েন্ট টেবিল দেখে নিন।

এবার চিন্তা করুন, আজ আয়ারল্যান্ড হারালো নিউজিল্যান্ডকে, এবং আফগানিস্তান হারালো অস্ট্রেলিয়াকে। তখন অবস্থা কেমন হবে?

নিউজিল্যান্ড - ৫
আয়ারল্যান্ড-৫
ইংল্যান্ড -৫
অস্ট্রেলিয়া-৫
শ্রীলংকা-৪
আফগানিস্তান-৪

আফগানিস্তান আজ জিতলেও সেমির দৌড় থেকে বাদ পড়ে গেছে আগেই।

শ্রীলংকা আর ইংল্যান্ডের ১টা করে ম্যাচ বাকি আছে এবং তাদের ম্যাচটা হবে গ্রুপের লাস্ট ম্যাচ। দুই দলই জেতার জন্য পিচে আগুন জ্বালাবে, ক্রিজ ভাঙবে, ব্যাট ফাডাইবে, ইত্যাদি ইত্যাদি যাবতীয় কর্ম সম্পাদন করিবে।
ঐ ম্যাচে শ্রীলংকা জিতলে চলে যাবে সেমিতে। ইংল্যান্ড হারলেও ৫ পয়েন্ট নিয়ে আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের সাথে নেট রান রেট নিয়া যুদ্ধ করিতে থাকিবে।

ঐ ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে তাদের হবে ৭ পয়েন্ট, চলে যাবে সেমিতে, আর দুই বারের ফাইনালিস্ট শ্রীলংকা বিরস বদনে বাসায় ফিরে এসে তামাক খাবে। উল্লেখ্য, আমার প্রিয় দলের নাম শ্রীলংকা, ব্লগার ও ফেইসবুকার বন্ধুরা সেই আদিকাল থেকেই এটা জানেন। একমাত্র শ্রীলংকা টিমেই আমি বাংলাদেশের ছায়া দেখতে পাই। শ্রীলংকাকে অনুসরণ করে বাংলাদেশও একদিন বিশ্বকাপ জেতার মতো উচ্চতায় উঠবে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এই সাথে এটাও বলে রাখি, পাকিস্তান জিতলে যাদের মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, আনন্দে গুলুগুলু করতে থাকে, আবার পাকিস্তান হারলে কষ্টে যাদের বুক ফাইট্ট্যা যায়, আমি কোনোদিন তাদেরকে আপন মনে করি নাই। এই গোষ্ঠিটাই সেই গোষ্ঠি, যারা কখনো বাংলাদেশের জয় সহ্য করতে পারে না, যাদের কাছে বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তানই প্রিয় দল। আপনি হয়ত অবাক হতে পারেন, ফেইসবুকের নানান থ্রেডে আমি দেখেছি, এই গোষ্ঠিটা পাকিস্তান টিমের প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুইল্যা ফালাইছে, আর বাংলাদেশ টিমের প্রতি অবজ্ঞার অন্ত নাই। এবং এই গোষ্ঠিটাই সেই গোষ্ঠি, যারা বাংলাদেশের পরাজয়ে প্রভূত আনন্দ পায় এবং ট্রল করতে করতে অর্গাজম ঘটাইয়া ফেলে। আপনার হয়ত বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে পারে - আপনি এদের অন্তরে ঢুকে দেখুন, বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে এরা কোন দলের সাপোর্ট করে থাকে। ২০০৩ সালে প্রকাশিত আমার প্রথম উপন্যাস 'স্খলন' যারা পড়েছেন, তারা নিশ্চয়ই দেখেছেন, এ উপন্যাসের একটা বড়ো বিষয় হলো ক্রিকেট, যেখানে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা, ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটের ইস্যুটা হাইলাইট করা হয়েছে। ঐ উপন্যাসের গোড়াপত্তন হয়েছিল ৯৬ বা ৯৭ সালে অনুষ্ঠিত কোনো এক শ্রীলংকা-পাকিস্তান ওডিআই সিরিজকে কেন্দ্র করে, যেখানে শ্রীলংকা সিরিজ জিতেছিল।

যাক, বাস্তবতায় ফিরে আসি।

আয়ারল্যান্ড টসে জিতে ফিল্ডিঙ নিয়েছে। নিউজিল্যান্ড ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৮৫। ভালো পারফরম্যান্স। আয়ারল্যান্ডের লিটল হ্যাট্রিক করেছেন, টি২০ বিশ্বকাপের ২য় হ্যাট্রিক এটা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮ ওভারে আয়ারল্যান্ড ৬৮/১ রান করেছে। আয়ারল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে কিন্তু।

এবার আরেকটা অপশন চিন্তা করি, যেটা সম্ভাব্যতার দিক থেকে সবার উপরে থাকবে।
আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান ২ টিমই যদি হেরে যায়, তখন পয়েন্ট :

নিউজিল্যান্ড - ৭
অস্ট্রেলিয়া-৭
ইংল্যান্ড -৫
শ্রীলংকা-৪
আয়ারল্যান্ড-৩
আফগানিস্তান-২

এই অবস্থায় আগামীকাল শ্রীলংকা জিতলেও গ্রুপে ৩ নাম্বার অবস্থান নিয়াই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ইংল্যান্ড জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে এবং শ্রীলংকাকে গুঁড়িয়ে দিতে চাইবে। শ্রীলংকার যেহেতু সেমির চান্স থাকবে না, তারাও নিশ্চয়ই জীবন দিয়া দিতে চাইবে না জেতার জন্য। তখন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যে নেট রান রেটের ভিত্তিতে অবস্থান নির্ধারিত হবে।

আরো অপশন আছে, যেমন, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড জিতলে কী হবে? নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান ও শ্রীলংকা জিতলে কী হবে? ইত্যাদি। এগুলো আপনারা একটু কষ্ট কইরা হিসাব কইরা বুইঝা লন। সবই যদি আমি বলে দিই, তাইলে আপনাদের কাজ কী? :)

গ্রুপ-১ এর আপডেট, রাত ৮ঃ১০ মিনিট, ০৪ নভেম্ব ২০২২

নিউজিল্যান্ড ৩৫ রানে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে (নিউজিল্যান্ড ১৮৫/৬, আয়ারল্যান্ড ১৫০/৯)। উত্তেজনাপূর্ণ ২য় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৪ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে (অস্ট্রেলিয়া ১৬৮/৮, আফগানিস্তান ১৬৪/৭)। এর ফলে পয়েন্ট টেবিল হলো :

নিউজিল্যান্ড - ৭, নেট রান রেট 2.113
অস্ট্রেলিয়া-৭, নেট রান রেট -0.173
ইংল্যান্ড -৫, নেট রান রেট 0.547
শ্রীলংকা-৪
আয়ারল্যান্ড-৩
আফগানিস্তান-২

নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ৭ পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে ১ম ও ২য় অবস্থানে আছে। শ্রীলংকা অলরেডি আউট হয়ে গেছে সেমি'র দৌড় থেকে। উপরে দেখতে পাচ্ছেন, সব চাইতে ভালো নেট রান রেট হলো নিউজিল্যান্ডের, আর খারাপ নেট রান রেট হলো অস্ট্রেলিয়ার। আগামীকাল শ্রীলংকা-ইংল্যান্ড ম্যাচে শ্রীলংকা জিতে গেলে শ্রীলংকা ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে ৩য় হবে, ইংল্যান্ড ৫ পয়েন্ট নিয়ে ৪র্থ। বৃষ্টিতে পণ্ড হলেও ইংল্যান্ড ও শ্রীলংকা আউট। ইংল্যান্ড জিতলেই গ্রুপে ২য় অবস্থান নিয়ে সেমিফাইনালে চলে যাবে নিউজিল্যান্ডের সাথে, যেহেতু নেট রান রেট অস্ট্রেলিয়ার চাইতে বেটার। অস্ট্রেলিয়া তখন ৩য় অবস্থানে বসে ঘরের মাঠে দর্শক হিসাবে অন্য টিমের সেমি ও ফাইনাল খেলা দেখবে :(

০৫ নভেম্বর দুপুর ২টায় ইংল্যান্ড-শ্রীলংকার ম্যাচটি হবে সিডনিতে।



বিঃদ্রঃ

যারা ক্রিকেট পছন্দ করেন না, কিন্তু ফুটবল করেন, তারা আপাতত কিছুদিন ঘুরে বেড়িয়ে আসুন, নব-বিবাহিতরা হানিমুন বা মধুচাঁদ ঘুরে আসুন ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ২০ নভেম্বর থেকে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু। উল্লেখ্য, আমার প্রিয়দল ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা :) (এবার আপনারা নিজেরা-নিজেরা মারামারি করেন :)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৮
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। অন্য দেশে চলে যাচ্ছে গার্মেন্টসের অর্ডার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২০




এবার বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অর্ডারের একটি অংশ প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানসহ অন্য দেশের বাজারে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরকার পতন এবং শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের সবচেয়ে বড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

অ্যাকশন মুভি সিরিজ - ডাই হার্ড ফ্র্যাঞ্চাইজি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০




আমার পছন্দের অভিনেতাদের একজন হচ্ছেন ব্রুস উইলিস। তার অভিনীত অসংখ্য সিনেমার মধ্যে আমি অল্প কিছু দেখেছি। সেগুলির মধ্যে ডাই হার্ড ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আমার বেশ পছন্দের। বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম কয়েকটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ভারতের উদ্বেগ!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


ভালোভাবেই শেষ হলো সনাতনীদের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা কিন্তু দুর্গাপূজা ভালো ভাবে শেষ হওয়ায় অনেকেই বড্ড হতাশ হয়েছে; পূজা নিয়ে তারা ট্রামকার্ড খেলতে চেয়েছিল কিন্তু ট্রামকার্ড খেলার পরও সফল হতে পারেনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সংস্কৃতি সংকরায়ন

লিখেছেন বিষাদ সময়, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

কোথায় চলছে আমাদের সংস্কৃতি!! একদিকে পাড়ায় পাড়ায় মাদ্রাসা, অপরদিকে মহল্লায় মহল্লায় ক্লাবে মদ্যপান, জুয়ার আড্ডা। হজ, হিজাবের উত্থানের সাথে দুর্নীতি, অবৈধ প্রণয়ের মহোৎসব। ভারত খেদাওদের মুখে হিন্দি গান, লুঙ্গি ড্যান্স... ...বাকিটুকু পড়ুন

"গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রি" ব্যতিত জাতির বাঁচার পথ নেই।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫



"নতুন স্বাধীনতা" আসার সময় বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে এনার্খী এসেছে সমাজে, প্রশাসনে, রাজনীতিতে ও ব্যবসায়; তাতে গার্মেন্টস'এর সাপ্লাইচেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা, এবং হয়েছে; উহাকে রিকোভার করার দায়িত্ব কার? দায়িত্ব ড:... ...বাকিটুকু পড়ুন

×